টপিকঃ আদি কালের যাত্রা

আদি কালের যাত্রা
গিনি

এরা যাযাবর। একস্থানে বেশী দিন থাকতে পারেনা। কারণ মাঠের ঘাস শেষ, অতি ঠাণ্ডা, জলের অভাব, খাদ্য পাওয়া দুষ্কর। তপ্লি তল্পা, সহ ঘোরা, ছাগল, ভেরা, মুরগী সব নিয়ে দুর্গম এলাকা পারি দেয়। এদের শিক্ষার বিষয় ছিল শুধু প্রকৃতি অবস্থা বিবেচনা করা আর সে মত নিজের জীবন রক্ষা করার উপায়। যখন খাদ্য উতস্য শেষ তখন চলার শুরু। এই যে চলার ধারা এর জন্য এরা প্রক্রৃতির খুব কাছে ছিল। এরা জানতো কোন সময় কি হবে, কোথায় মিথা জলের স্রোত, কোথায় বিপদ স্থায়ী। কত চ্রাই, উতরাই, দিঘী, নালা, বরফ, বন, পাহার, সমতল এরা পারি দিত এবং কোথা থেকে কোঠায় বাঘেড় ভয় শব এড়া ওটী সহজেই ধারণা করতে সিদ্ধ ছিল। ধর্ম ছিল অজানা শক্তি মানের গুন গাওয়া। যেমন, সূর্যের, বা ঝড়ের কাছে সমর্পণ করা। এদের ওষুধ ছিল গাছ গাছালির রস, গরম জল, তাড়ির কষ, পোড়া মাটি বা লৌহের ছ্যেকা।
এরা বিশ্বের সব অঞ্চলে ছিল, ছিল বঙ্গেও।
বয় বৃদ্ধ জ্ঞানী দলের আগে চলে। হাল্কা কণ্ঠে ধুন তোলে পিছনে সবাই সুর ধরে। এভাবে চলার কষ্ট কম হয়। সকল বিপদ থেকে রক্ষা এবং ভালো স্থানের সন্ধান যাতে তাড়াতাড়ি পায় তার আর স্রষ্টা কে প্রশংসা করার গান।
মুখ্য গায়,
" কে নিবে রে?
দয়াময় যে।
কোথায় নিবে সে?
ফলের বাগে।
কেন বাচাবে?
তারে মানি তাই।
ঐ দেখা যায়,
ঐ দেখা যায়,
আর দেরি নাই,
আর দেরি নাই,
চালা পা চালা ভাই।"