টপিকঃ ঈশ্বরের মানুষ ও আমরা

কদিন আর, এই তো দু-তিন দিন আগের ঘটনা।ফেশবুকে একজন বড়ভাই টাইপ মানুষ নক দিয়ে খুব শক লাগানো কথা বললেন। তার মেসেজ টি এমন ছিলো-

" যদি তুমি আর একটু লম্বা হতে,আমি অবশ্যই তোমার প্রেমে পড়তাম।"

মেেসজটি দেখে আমি খুশি হবো না কস্ট পাবো বুঝছিলাম না।আমি শুধু তাকে রিপ্লাই দিলাম এই বলে যে-

"ভালোবাসা উচ্চতা,রং,ধর্ম,বয়স,সমাজ কিছুই মানে না।ভালোবাসা সবকিছুর উপরে।"

তার পরের মেেসজ টা ছিলো-

" আমার উচ্চতা ৫.৯' আর তোমার ৫.১'। পাশাপাশি দাড়ালে মানাবে না।"

আমি এই মেসেজ টা পাবার পর অতি ভদ্রতার খাতিরে আর কোন কথা বলিনি আর কথা বলার সুযোগ ও দেইনি।শুধু ভাবলাম,দুনিয়ায় হচ্ছে টা কি? আমি কি ইচ্ছে করেই এমন? নাকি আমার বাবা-মা অর্ডার দিয়ে আমাকে বানিয়েছে?  স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আমাকে বানিয়েছেন আর তার সবটুকু দিয়েই বানিয়েছেন।হয়তো এর চেেয় বেশি লম্বা হলে আমাকে মানাতো না,তাই তিনি আমাকে এমন করে সৃষ্টি করেছেন।আমরা নগন্য প্রাণী হয়ে যখন তার সৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলি,তখন বড় বেশি অপরাধ করি।এই অপরাধের জন্য কখনও ক্ষমাও চাই না। মনেও করি না যে,আমি কোন অপরাধ করেছি। এজন্যই আমরা মানুষ।অন্যায় করেও হাসিমুখে বুলি ফুটাই।কারও কষ্ট হচ্ছে কি না,কারও মনের ক্ষত আরো গাঢ় হচ্ছে কি না,এসব নিয়ে আমরা ভাবি না।এজন্যই আমরা মানুষ।কিন্তু আদৌ ভাবি না,কতটুকু মানুষ আমরা! আদৌ মানুষ না কি অন্যকিছু।

ডিজিটাল বাংলাদেশে ত আর সাক্ষরের নিয়ম চালু নাই।সবটায় দেখি বায়োমেট্রিক।তাই আর সাক্ষর দিতে পারলাম না।দুঃখিত।