টপিকঃ শুভ ১১তম জন্মদিন প্রজন্ম ফোরাম!
দেখতে দেখতে ১০টি বছর শেষ হয়ে গেলো। ১১তম বছরে পড়লো প্রজন্ম ফোরাম।
একসময় দোড়াতে থাকা প্রজন্ম যদিও এখন কিছুটা খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে, তবুও মন্দ কি! বাংলা সোশ্যাল মিডিয়ার এতো উত্তান পতন; কত ফোরাম ব্লগ এলো গেলো; তার মধ্যে টিকে থাকাই বড়ো সাফল্য। কঠিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাইতো এখন (নাকি বরাবরই) বড় আশ্চর্য!
১১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তেমন কিছু বলার নাই। অনেক কিছুর আশাও দিতে পারছি না। বার বার আশা দিয়ে হতাশ করার চেয়ে না দেয়াই ভালো(!) শুধু একটি সাম্প্রতিক ঘটনা শেয়ার করবো।
তবে সামনের দিকে কয়েকটি কাজের ইচ্ছা আছে:
- নতুন মডারেটর নিয়োগ দেয়া। বর্তমান মডারেটরদের বেশির ভাগই অনিয়মিত।
- এখনো একটি ভালো (?) ফোরাম ইঞ্জিনের খোঁজাখুঁজি করছি। ফোরাম মাইগ্রেশন করা অনেক কাজ। এমন একটু খুজতেছি যেখানে কম শ্রম দেয়া লাগবে। সেস্ছাসেবী না পেলে মুশকিল।
------------
ফোরামের প্রথম দিকের যারা তাদের নিশ্চয় প্রকৃতিপ্রেমিক এর কথা মনে থাকার কথা। আমি তখন বাংলাদেশ আর তিনি সম্ববত: কানাডায়। বর্তমানে আমরা দুজনে উত্তর আমেরিকাতে বসবাস করলেও আমাদের দুজনের বাস সহস্রাধিক কিলোমিটার দূরে।
গত বছরের কোনো এক সময় বিচ্ছেদ হওয়া যোগাযোগ আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে ফ্লিকার এর মাধ্যমে। অবশেষে অনেক চড়াই - উৎরাই পেরিয়ে গত ৭ই জানুয়ারি, ২০১৮ প্রকৃতিপ্রেমিক তথা এনায়েত ভাইয়ের সাথে দেখা হয় নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট এ তাঁর বাসায়। জর্জিয়া'র আটলান্টা থেকে ফেরার পথে তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করি। অনেক গল্প আলাপ আর খাওয়া দাওয়া শেষে আবার দেখা হবে সেই প্রত্যাশা রেখে নিউ ইয়র্ক এর উদ্দেশে রওনা দেই।
মানুষ নয়; তবুও প্রজম্ন নামের এই ফোরাম এর মাধ্যমে যে কত মানুষের সাথে পরিচয় হল তার পরিসখ্যান দেয়া কঠিন। আমরা ফোরাম তৈরী করলেও এই ফোরাম ই আমাদের অনেক কে; নূন্যতম আমাকে নতুনভাবে তৈরী করেছে। তাই এই ফোরামের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।
শুভ জন্মদিন প্রজন্ম ফোরাম; হোক শতায়ু!
what to do?