টপিকঃ আমেরিকান বৃষ্টি
বৃষ্টির সাথে আমার প্রথম পরিচয় বাংলাদেশে থাকতে। আমেরিকায় আসার পর এই বৃষ্টিকেই নতুন করে চিনতে হল। বৃষ্টির ব্যাক্তিত্বই সব চেয়ে আকর্ষণীয় ছিল আর এখানে আসতেই যেন সেটি হুট করে পাল্টে গেলো। অবশ্য আবার দেখা করতে আমাকে বেশ কিছুটা দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ঠিক কতটা দিন মনে নেই। মাস বা বছরও হতে পারে। তবে দেখা হতেই বুঝতে পেরেছিলাম এই বৃষ্টি আর আগের বৃষ্টি নেই। বৃষ্টির আগে সব কিছুর থেমে যাওয়া আর দমকা হাওয়ার পাতা ছড়ানোটাই সব চেয়ে বেশি করে মনে পড়ে। আর ভিজতে গেলে ধরণির উষ্ণ ভালোবাসার আলিঙ্গন, মনের সব অভিমান ছাপিয়ে এনে দিত প্রশান্তি । প্রতিটি ফোটা অনুভব করা যেত আলাদা আলাদা করে। এখানে কোনো বাতাস বয় না। কোনো পাতা ওড়ে না। কেউ ফিরেও তাকায়না । যান্ত্রিক জীবন একটুও থামেনা। ছাতার বদলে শুধু গাড়ির ওয়াইপার গুলোই চালু হয়। এক একটি ফোটা আলাদা করার কোন উপায় নেই যে এতই ছোট ছোট । মনে হয় কেউ পানি অ্যারোসলের বোতলে করে স্প্রে করছে। দেশের বৃষ্টির পর হয়ত কাদা হয়। কিন্তু হুট করেই সব কিছু নতুন মনে হয়। আর এখানে হবার আগেই সব ঝকঝকে থাকে। হবার পর হয় প্যাচপেচে! এই ব্যাক্তিত্বহীন বৃষ্টি হয়ত রাস্তায় কাদা মাটি জমায় না। কিন্তু মনের ভেতর ঠিকই কাদা লাগিয়ে যায়।