সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন ফারহান খান (১৭-১১-২০১৭ ১৫:১৫)

টপিকঃ আমেরিকান বৃষ্টি

বৃষ্টির সাথে আমার প্রথম পরিচয় বাংলাদেশে থাকতে। আমেরিকায় আসার পর এই বৃষ্টিকেই নতুন করে চিনতে হল। বৃষ্টির ব্যাক্তিত্বই সব চেয়ে আকর্ষণীয় ছিল আর এখানে আসতেই যেন সেটি হুট করে পাল্টে গেলো। অবশ্য আবার দেখা করতে আমাকে বেশ কিছুটা দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ঠিক কতটা দিন মনে নেই। মাস বা বছরও হতে পারে। তবে দেখা হতেই বুঝতে পেরেছিলাম এই বৃষ্টি আর আগের বৃষ্টি নেই। বৃষ্টির আগে সব কিছুর থেমে যাওয়া আর দমকা হাওয়ার পাতা ছড়ানোটাই সব চেয়ে বেশি করে মনে পড়ে। আর ভিজতে গেলে ধরণির উষ্ণ ভালোবাসার আলিঙ্গন, মনের সব অভিমান ছাপিয়ে এনে দিত প্রশান্তি । প্রতিটি ফোটা অনুভব করা যেত আলাদা আলাদা করে। এখানে কোনো বাতাস বয় না। কোনো পাতা ওড়ে না। কেউ ফিরেও তাকায়না । যান্ত্রিক জীবন একটুও থামেনা। ছাতার বদলে শুধু গাড়ির ওয়াইপার গুলোই চালু হয়। এক একটি ফোটা আলাদা করার কোন উপায় নেই যে এতই ছোট ছোট । মনে হয় কেউ পানি অ্যারোসলের বোতলে করে স্প্রে করছে। দেশের বৃষ্টির পর হয়ত কাদা হয়। কিন্তু হুট করেই সব কিছু নতুন মনে হয়। আর এখানে হবার আগেই সব ঝকঝকে থাকে। হবার পর হয় প্যাচপেচে! এই ব্যাক্তিত্বহীন বৃষ্টি হয়ত রাস্তায় কাদা মাটি জমায় না। কিন্তু মনের ভেতর ঠিকই কাদা লাগিয়ে যায়।

মুইছা দিলাম। আমি ভীত !!!

লেখাটি CC by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: আমেরিকান বৃষ্টি

আমােদর দেশের বৃষ্টিই ভালো।
ছিলো,আছে,থাকবে smile

ডিজিটাল বাংলাদেশে ত আর সাক্ষরের নিয়ম চালু নাই।সবটায় দেখি বায়োমেট্রিক।তাই আর সাক্ষর দিতে পারলাম না।দুঃখিত।

Re: আমেরিকান বৃষ্টি

আহা, বৃষ্টি আমারও বড় প্রিয়। ইংল্যণ্ডে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টি হয়, কিন্তু দেশের মত কাঁপিয়ে দাপিয়ে মন ভিজিয়ে ঝরে না! এখন হয়তো যারা দেশে থাকেন, তাঁরা সাম্প্রতিক বৃষ্টি-কাদা-জলে জেরবার হয়ে আমাদের মনের কোণে বৃষ্টি নিয়ে লুকিয়ে থাকা ভালবাসাকে কটাক্ষ করবেন। কিন্তু তবুও বলবো, দেশের মত বৃষ্টি আর কোথাও নেই!!

উদাসীন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: আমেরিকান বৃষ্টি

ডিজিটাল বাংলাদেশে ত আর সাক্ষরের নিয়ম চালু নাই।সবটায় দেখি বায়োমেট্রিক।তাই আর সাক্ষর দিতে পারলাম না।দুঃখিত।

Re: আমেরিকান বৃষ্টি

আহা বাংলাদেশের বৃষ্টি! বৃষ্টি যে একটা আনন্দের উপলক্ষ হতে পারে এটা আমি এদেশের কাউকে বুঝাতে পারিনি। তপ্ত দিনের শেষের এক পশলা বৃষ্টি হৃদয়, মন ছুঁয়ে যেত। আমাদের বাসা ছিল টিনের চালা। আব্বা সবসময় বলতো টিনের চালায় বৃষ্টির শব্দের আবেদনই আলাদা। আর আমি সকালে বৃষ্টির শব্দ শুনে ভাবতাম দুনিয়া মনে হয় ভেসেই যাচ্ছে, এহেন দুর্যোগে কেউ বুঝি ঘর থেকে বেরোবে না, তাই সকালের ক্লাশে যাওয়ার চিন্তাও করতাম না। পরে দেখতাম দুনিয়া ঠিকঠাকই আছে, সবাই ক্লাশে উপস্থিত আমিই শুধু কাঁথা মুডি দিয়ে ঘুমিয়েছি।

বেদনাদায়ি, তবুও দিনান্তে যে তোমায় ভালবাসি!

Re: আমেরিকান বৃষ্টি

ভালো লিখেছেন ভাই smile শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ smile

সব কিছু ত্যাগ করে একদিকে অগ্রসর হচ্ছি

লেখাটি CC by-nd 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত