টপিকঃ অসহায় মানুষের পাশে জননেত্রী
দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই্ বর্তমান সরকারের প্রমথ ও প্রধান দায়িত্ব। সরকার তা অত্যন্ত সততা ও নিষ্টার সাথে পালন কর যাচ্ছে। সব সময় আওয়ামী লীগ দুর্গত মানুষের পাশে ছিল আছে থাকবে। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। নদী মার্তৃক বাংলাদেশে নৌকার প্রয়োজন সব সময় ছিল, আছে থাকবে, নৌকা ছাড়া গতি নাই, তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনেই আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিতে হবে। সরকারের দক্ষ পরিচালনায় ইতোমধ্যেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলের স্বীকৃতি পেয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এবারের বন্যার শুরু থেকেই ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও সেল খোলা হয়েছে। চালের সংকট যাতে না হয় সেজন্য এলসি মার্জিন ২৮ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রয়োজন মেটাতে সরকারিভাবে ১৫ লক্ষ মেঃটন চাল আমদানীর ব্যবস্থা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের জন্য ৫০ লাখ দরিদ্র মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে একজন সর্বোচ্চ ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। বন্যায় যাদের বাড়ী নষ্ট হয়েছে তাদের ঘর করে দেবে সরকার। যেসব স্কুল নষ্ট হয়েছে সেসব স্কুল করে দেয়া হবে। রাস্তা নির্মানসহ যেসব শিক্ষার্থীদের বই খাতা নষ্ট হয়েছে তাদের বই খাতা দেয়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ত্রানের কোন সমস্যা হবে না। ত্রাণ পৌঁছে যাবে ঘরে ঘরে। বন্যার পর যাতে কৃষকরা গম, ডালসহ সব ধরণের শস্য চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের বিশেষ প্রনোদনা দেয়া হবে। নদী ভাঙন থেকে গোটা দেশ রক্ষায় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার প্রত্যেক মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, কৃষি পূনর্বাসনে বিনামূল্যে বীজ ও চারা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করা হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় কোন ধরণের ব্যাংক ঋণের সুদ আদায় করা হবে না। কৃষির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনাজামানতে সুদমুক্ত ঋণ, আমন ধানের চারা বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ৫৮ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা করা হবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বন্যার আগাম খবর সরকার জেনেছে। একারনে সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের ফলে কোন মানুষ অনাহারে থাকেনি। খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, এ জন্য আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সেটাই সরকারের লক্ষ্য। বর্তমান সরকার সব ধরণের বিপদে মানুষজনের পাশে আছে এবং থাকবে। কিন্তু বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া বন্যার্তদের পাশে না দাড়িয়ে আয়েশি জীবনযাপন করছেন। আবার তারা মুখে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছে। দেশের মানুষ বিচার করবে কোন দল জনগণের দল আর কোন দল লুটেরা।