টপিকঃ “পবিত্র কাবা ঘর ও মহানবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এঁর রওজা মুবারক জিয়ারত
৭
অর্থের বিনিময়ে মনোনিত হলেন ( উক্ত মোয়াল্লেম নিশ্চয় আমাদের নিকট থেকে অনেক টাকা ফি বাবদ নিয়েছেন)। আমাদের হজ মিশনের নীতি নির্দ্ধারকদের মধ্যে অবশ্যই পাকিস্থানীদের ভালবাসার ব্যাক্তি লুকে আছেন। আর আমাদের সরকারী ভাবে পাঠানো প্রতিনিধিগন কোথায় থাকেন? আমাদের নিকট একবারও এসে খোঁজ খবর লন নাই। শুধু গাইড একবার, দুবার এসে রুমে দেখা করেছেন, তিনি কিন্তু কোন হাজীদের কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেন নাই। আমাদের সরকারী আমলাদের ব্যবস্থাপনার মান নি¤œ মানের হওয়ায়, অনেক ব্যাক্তিগন সরকারী ভাবে হজে যেতে চান না বা ইচ্ছুক নয়, ফলে বাংলাদেশের কিছু প্রতারক মোয়াল্লেমদের মিথ্যা প্রলোভনে ভুলে অনেক সরল ধর্মপ্রান ব্যাক্তিগন হজে যেতে পারেন না বা সৌদিতে যেয়েও অনেক কষ্ট পান। যার কিছু ঘটনা মিডিয়াতে প্রকাশ পেয়েছে।
৩। মিনাতে একদিন আমাদের তাঁবুর পার্শ্বে রাস্তার ধারে এক সহৃদয়বান ব্যাক্তি খিচুড়ী বিতরন করতেছিলেন। অনেক হাজীগন ভীড় করে তা নিতে ছিলেন। আমি ক্ষুদার জ্বালায় অস্থির হয়ে, লজ্জা শরম ত্যাগ করে, খিচুড়ী লওয়ার জন্য ওখানে এক ব্যাক্তির নিকট থেকে ওয়ান টাইম বাটি নিয়ে, যখন বিতরনকারীর নিকট বাটিটি দিলাম, তখন হাড়ীর খিচুড়ী শেষ। আমার রিযেকে আলাøাহ্ তা রাখেন নাই, তবুও মহান আল্লাহ্র নিকট শুকুর জানালাম।
৪। একদিন মুরুব্বী বললেন, (তিনি ৮ম বার হজ করতেছেন ও খুবই পরহেজগার ব্যাক্তি) বাবাজী, বাহিরে কোথাও বাংগালী খাবার কিনতে পাওয়া যাবে কি? আমি মিনার তপ্ত রৌদের মধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত কষ্ট করে, খাবারের খোঁজে রাস্তা হাঁটলাম, রাস্তার মধ্যে অনেক স্বেচ্ছা সেবকদেক জিজ্ঞাসা করে জানলাম, সামনের রাস্তায় হোটেল আছে, সেখানে খাবার কিনতে পাবেন। সেখানে যেয়ে দেখি, তপ্ত রৌদের মধ্যে অনেক বড় লাইন ধরে, বিভিন্ন দেশের হাজীগন খাবার কিনার জন্য দাঁড়াইয়া আছেন। আমি অনেক দূর পর্যন্ত বাংগালী হোটেলের খোঁজ করে পেলাম না। বাধ্য হয়ে ঐ তপ্ত রৌদের মধ্যে খাবার কিনার জন্য দীর্ঘ লাইনের পিছনে দাঁড়ালাম। অনেক ক্ষন অপেক্ষার পর আমি ১০ রিয়াল দিয়ে ২টি রুটি ও কিছু ভাঁজা কলিজা পেলাম। আমি তাঁবুতে এসে মুরুব্বীক নিয়ে খাবার বসলাম, যেমন রুটি ছিড়তে গেলাম, তা খুবই শক্ত, আর যখন কলিজা ভাঁজার একটুকরা মূখে দিলাম, তখনি বমি বের হচ্ছিল। কলিজাতে কোন লবন বা ঝাল দেয় নাই, শুধু তেলে ভেজে তা পোড়া হয়েছে, তা থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। আমি ও মুরুব্বী সেগুলি কিছুই খেতে পারলাম না। শুধু মুল্যবান ১০ রিয়াল নষ্ট হলো। তা ডাষ্টবিনে ফেলে দিলাম। পকেটে খাবার জন্য প্রচুর অর্থ থাকা সত্বেও মিনাতে আমি বাংগালী খাবার কিনতে পাইনি। আমরা কয়েক দিন কয়েক কেজি চিঁড়া ও বাতাসা নিয়ে ছিলাম, সেগুলি ও জুস খেয়ে অনেক কষ্টে আল্লাহ্র রহমতে টিকে ছিলাম।
৫। মিনায় তাঁবুতে শুধু আমিই ভীষন অসুবিধায় পরেছিলাম, তা এই, তাঁবুর শেষ প্রান্তে আমার শুবার জায়গা হয়েছিল, তাঁবুর উপড় দিকে লম্বা করে ইয়ার কুলারের ড্রাম ছিল, তা দিয়ে তাঁবুতে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে তাঁবু ঠান্ডা রাখতো। ঠিক আমার বেডের উপরেই ইয়ার কুলারের
৮
ড্রামটিতে ছোট ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে আমার বেডটি সম্পূর্ন ভিজে যাচ্ছে, সে বেডটিতে শুবার মত অবস্থা ছিল না। ইহার জন্য কয়েকবার পাকিস্থানী অফিসে যেয়ে কর্মীদেক বলে ও তা দেখে দিলেও তা ঠিক করে দেন নাই বা শুবার জন্য অন্য বেডের ব্যাবস্থা করে নাই। ইহা সৌদি মোয়ল্লেমের ব্যাবস্থাপনার চরম অবহেলার বহির্প্রকাশ। তার জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
পরের দিন ১২ই জিলহজ শেষ দিন, মিনায় নিজেদের তাঁবু হতে শেষ বিদায় নিয়ে, আমাদের সংক্ষিপ্ত ব্যাগেজ লইয়া তিন শয়তানকে পাথর বা কঙ্কর মারা বা নিক্ষেপ করার জন্য প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যেই নির্দ্দিষ্ট ছোট শয়তানের নিকট যেতেই আমার সকল সঙ্গীরা বিছিন্ন হয়ে গেল। আমি একাই যথারীতি ভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় তিন শয়তানকে পাথর বা কঙ্কর যথারীতি ভাবে নিক্ষেপ করতে পারলাম। পরে আমার রুমের কোন সাথীদেক খোঁজে আর পেলাম না। একাই জনসুমুদ্রের ¯্রােতের সংগে আমি পবিত্র মক্কা নগরীর দিকে রওনা দিলাম। আমি ভুল পথে চলতে ছিলাম, তা পরে বুঝতে পারলাম। আমি জনগনের সংগে আজিজিয়া শহরে পৌছিলাম, সেখানে উল্টা পথে অনেক দূর যাওয়ার পর আমার ভুল ধরতে পারলাম। তখন দুইটি টগবগে তরুন পাকিস্থানীকে মক্কার পথের কথা জিজ্ঞাসা করতেই, উর্দ্দুতে বললেন, আমাদের সংগে আসেন, আমরাও মক্কায় যাব। আমরা কিছু দূর যাইতেই একটি হাই রোড পেলাম, সেখান দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের পতাকা উড়ে একদল বাংগালী হাজীগন যাচ্ছিলেন। তখন পাকিস্থানী তরুন বললেন, ঐ যে আপনার দেশের হাজীগন যাচ্ছেন, আপনি এখন তাঁদের সংগে যেতে পারবেন। আমি তাদের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে, আমাদের দেশের হাজীদের দলে যাচিছলাম। তখন আমি ভীষন ভাবে পিপাসায় কাতর, সংগে পানির বোতলও নেই। আমার সংগে খুবই ফর্সা করে এক সহৃদয়বান বিদেশী হাজী সাহেব যাচ্ছিলেন, তিনি আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন। তাঁর হাতে থাকা পানির বোতলের ছিঁপি খুলে ইংরাজীতে বললেন, ইহা লও এবং পানি পান কর। আমি তো অবাক! তাঁর থেকে পানির বোতল নিয়ে, অর্দ্ধেক পানি খেয়ে তাঁকে বোতলটি ফেরত দিলাম, তিনি তখনিই বোতলটি আবারও আমাকে দিয়ে আরও পানি খেতে বললেন, আমি তাঁর জন্য কিছু পানি রেখে দিয়ে বোতলটি তাঁকে ফেরত দিলাম, আমার দুচোখ ভরে পানি আসলো, তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম এবং তাঁর জন্য কায়মনে মহান দয়ালু আল্লাহ্র নিকট দোয়া করলাম। তিনি বোতলের অবশিষ্ট পানিটুকু খেলেন। এই ছোট ঘটনাটি আমার প্রতি মহান দয়ালু রহমানুর রহিম আল্লাহ্র দয়া। অবশেষে আমার দেশের হাজীগনের সংগে পবিত্র নগরী মক্কায় পৌছিলাম।
৫নং বিল্ডিংএ ৪তলায় আমরা আমাদের রুমে সকলেই একত্র হলাম। অনেক অনেক কষ্ট হলেও মুরুব্বীসহ সকলেই আল্লাহ্র রহমতে তিন শয়তানকে পাথর মেরে সুস্থ্য ভাবে এসেছেন। আমার ভয় মুরুব্বীকে নিয়ে, তিনি অনেক বয়স্ক ব্যাক্তি। কয়েক দিন পর আমরা বাংগালী হোটেল থেকে বাংগালী খাবার নিয়ে এসে তৃপ্তি সহকারে খেলাম ও বিশ্রাম নিলাম।
৯
বিদায় তোয়াব ( ওয়াজিব) :- আমরা বিদায় তোয়াব করার জন্য প্রস্তত হলাম। গোসল ও অযু করে মুরুব্বীর নেত্তৃতে যথারীতি নিয়মে কাবা ঘর তোয়াব (ওয়াজিব) ও অন্যান্য করনীয় কাজ সম্পূর্ন করলাম। আমাদের ফ্লাইট কয়েক দিন দেরী হলো। মুরুব্বীর ছেলের বন্ধুর বাসায় যাঁরা কোরবানী দিয়ে ছিলেন, তাঁর বাসায় আবারও খাবার জন্য সকলকে দাওয়াৎ করলেন। যিনি ইতিপূর্বে আমাদের রুমে খাবার নিয়ে এসে, সকলকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ায় ছিলেন। আমরা জহুরের নামাজ কাবায় পড়ে, তাঁর বাসায় গেলাম, তাঁর বাসা এক পাহাড়ের উপড়, উঠতে অনেক কষ্ট হলো। যেয়ে দেখি, আমাদের সকলের অনেক আগে জয়পুরহাটের বটতলার (মাদ্রসার প্রন্সিপাল) হাজী সাহেব সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি কেন যেন আগে থেকে আমাদের সংগে মিশতে চান না। আমাদের কথা ছিল, সকলে বিল্ডিংএর আমাদের রুমে একত্র হয়ে, সকলে মিলে দাওয়াৎ খেতে যাব। তিনি এবং আমাদের রুমের ফ্যান ও ইয়ারকুলারের সুইচ বন্ধকারী হাজী সাহেবদ্বয়, আমাদের ছোট রুমের মধ্যে মুখ অন্য দিকে ঘুরে খাবার খেতেন, অন্য হাজীদেক খাবার দিত না বা নিত না। আর একা একা কাবায় নামাজ পড়তে ও তোয়াব করতে যেতেন। ইহা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগতো, আমরা পবিত্র জায়গায় হজ করতে এসে, সকলে মিলে মিশে থাকবো, একে অপরকে সাহায্য্য করবো, ইসলামের এই নীতি পালন করা সকলের উচিত।
মক্কায় অনেক দিন পর্যন্ত আমাদের রুমে থাকা হলো। বাংগালী হোটেলের বেশী তেল দেওয়া খাবার খেতে খেতে অরুচি ও পেটে অসুখ দেখা দিলো। আমি একদিন রুমের সকলকে বললাম, আপনারা কেহ কি খিচুড়ী রান্না করতে পারেন। উক্ত বটতলার (মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল) হাজী সাহেব জোর গলায় বললেন, বাড়ীতে আমি অনেক বার ভালো খিচুড়ী রান্না করেছি, আমার খিচুড়ী রান্না করার অভ্যাস আছে। আপনারা রাইচ কুকার, ডাল চাল এনে দেন, আমি আপনাদেক ভালো খিচুড়ী রান্না করে খাওয়াতে পারবো। সকলে আমাকে ধরলো, পাশের রুমের কুড়িগ্রাম হাজীদের সংগে আপনার ভালো খাতির আছে, আপনি কিছু সময়ের জন্য একটা রাইচ কুকারের ব্যবস্থা করে দেন। আমরা বাজারে গিয়ে চাল, ডাল ও অন্য সব জিনিষ কিনে আনতেছি। পাশের রুমে যেয়ে, কুড়িগ্রামের খবুই ধনী এক হাজী সাহেবকে সালাম দিলাম, তিনি বললেন, মোহাম্মদ আলী ভাই কেমন আছেন, কেন আমার কাছে আসলেন, আমি আপনার কি খেদমত করতে পারি? আমি বললাম, হাজী ভাই, আমরা হোটেলের খাবার খেতে খেতে অরুচি ধরেছে। তাই আপনার রাইচ কুকারটি কিছু সময়ের জন্য দিতেন, তাহলে আমরা একবার খিচুড়ী রান্না করে খেতে পারতাম। তিনি বললেন, আমি আপনাকে আমার রাইচ কুকারটি কিছু সময়ের জন্য দিব, তবে আমার এখানে এসে খিচুড়ী রান্না করে নিয়ে যান, রাইচ কুকারে কত চাল রান্না করা যাবে তা বলে দিলেন। আমি রুমে এসে বললাম, আমি রাইচ কুকারের ব্যবস্থা করেছি , খিচুড়ী রান্না করতে যা যা লাগবে, আপনারা বাজার থেকে সে সব নিয়ে আসেন। খিচুড়ী রান্না করতে যা যা লাগে, সব কিছু তাঁরা বাজার থেকে নিয়ে আসলো। সকলে মিলে চাল, ডাল পানিতে পরিস্কার করে, লবন, ঝাল, পিঁয়াজ, তেল সব কিছু মিশানো হলো। আমি বললাম, তাঁর রাইচ কুকারে এতোটি চাল খিচুড়ী রান্না করা যাবে। উক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সাহেব গোয়ার্তুমি করে সম্পূর্ন চাল খিচুড়ীর
১০
জন্য পানিতে ভিজালেন, ঐরুমে যেয়ে রাইচ কুকারে সমস্ত চাল, ডাল ও পানিসহ অন্যান্য জিনিষগুলি যখন দেওয়া হলো, তখন রাইচ কুকার ভরে গেল। কুড়িগ্রামের হাজী সাহেব বললেন, মোহাম্মদ ভাই, আপনার হাজী সাহেব, খিচুড়ী রান্না করা জানে না। আপনি অর্দ্ধেক চাল উঠান, তবে আপনাদের খিচুড়ী ভালো ভাবে রান্না হবে। আমি প্রিন্সিপাল সাহেবকে অর্দ্ধেক চাল উঠাতে বলায়, উনি অল্প কিছু চাল উঠলো এবং বললো এতেই খিচুড়ীর চাল ফুটবে, পরে দেখা গেল, খিচুড়ীর চাল অর্দ্ধেক সিদ্ধ হয়েছে। ঐরকম আধা সিদ্ধ খিচুড়ী কিছু খাওয়া গেল, বাঁকী খিচুড়ী ডাষ্টবিনে ফেলে দিতে হলো। এইতো মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের ভালো খিচুড়ী রান্না করার অভিজ্ঞতা। যা আমি জানি না, তা কেন গর্ব করে বলা, আমি এইটা ভালো করতে পারি।
আমরা যারা বাংলাদেশের সরকারী ভাবে হজ করতে এসেছি, আমরা ঘর ভাড়া বাবদ যে অর্থ দেয়েছি, সে অর্থের তুলনায় নি¤œ মানের বাসা হওয়ায়, আমাদেক প্রত্যেক হাজীগনকে হিসাবে যে অর্থ পাওনা হয়েছে, তা পবিত্র মক্কায় সৌদি মোয়ল্লেম আমাদেক সে অর্থ ফেরৎ দিয়াছেন, পরিমানটি আমার মনে নাই।
পবিত্র শহর মক্কা, মদিনা ও মুযদালিফার ব্যতিক্রম কিছু ঘটনার কথা এখানে তুলে ধরলাম ঃ- পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনাতে যত দূর ঘুরেছি, কোথাও কুকুর দেখতে পাই নি। মক্কায় মাঝে মাঝে বিড়াল দেখতে পেয়েছি। তবে মুযদালিফায় অনেক রাত্রে কয়েকটি কুকুর দেখেছি।
পবিত্র শহর মক্কায় হাত কাটা পুরুষ নিগ্র ভিখারী ও নিগ্র মহিলা ভিখারীকে ভিক্ষা দেখেছি। পবিত্র শহর মদিনাতে কোন ভিখারী আমার চোখে পড়ে নাই। তবে দুই পবিত্র শহরের রাস্তায় নিগ্র মহিলাদেক কবুতরকে খাওয়ার জন্য হাজীগনের নিকট শস্যদানা বিক্রয় করতে দেখেছি, দুই পবিত্র শহরে লক্ষ লক্ষ কবুতর ও ছোট ছোট লক্ষ লক্ষ পাখী দেখা যায়। পবিত্র নগরী মক্কায় রাস্তার ধারে এক জায়গার নাম কবুতর চত্তর, সেখানে হাজার হাজার কবুতর থাকে।
আমরা বাংলাদেশের হাজীগন নিজ নিজ বাড়ীতে আসার জন্য জেদ্দা বিমান বন্দরে আসলাম। জেদ্দা বিমান বন্দরে সৌদি সরকারের অনেক নিয়ম কানুনের বেড়া কয়েক ঘন্টা লাইন ধরে পাড়ি দিয়ে, যখন একটা বড় রুমে আসলাম, সেখান থেকে একটা দরজা দিয়ে আমদেক বিমানে উঠতে হবে। সেখানে কিছু হাজী সাহেবেরা হজের সময় যে ধর্য্য বা সবুর শিক্ষা গ্রহন করেছেন, তা সম্পূর্ন ঐ বড় রুমের ভিতর বিসর্জন দিয়া, বিমানের উঠার ছোট দরজা দিয়ে সকলেই এক সংগে যেতে চান। ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা প্রায় ২ঘন্টার উপড় স্থায়ী হয়। বিমান বন্দরের অফিসার ও কর্মীরা তা সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয়। অনেক অনেক পরে বিমান বন্দরের অফিসার ও কর্মীগন শৃঙ্খলা ফিরে আনতে সক্ষম হন। কিছু উশৃঙ্খল নামধারী হাজীগনের জন্য সকলের মূল্যবান ২ ঘন্টা সময় নষ্ট হলো এবং বালাদেশের সুনাম সৌদিতে ক্ষুন্ন হলো। এই ঘটনায় আমি খুবই ব্যথিত হলাম। আমার কাহারো বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করা ইচ্ছা নহে, তাই আমি ব্যাক্তি গতভাবে তাঁদের নাম ও ঠিকানা দেই নাই। আমি শুধু আমার কষ্ট, ভালো না লাগা সমস্যাগুলি প্রকাশ করলাম।
১১
বিঃ দ্রঃ হাজী গোলাম রসূল সওদাগর ওয়াক্ফ এষ্টেট থেকে প্রকাশিত নামাজ হজ্জ অজিফা ও মাস্য়াল-মাসায়েল গ্রন্থ থেকে, প্রথম আলো থেকে প্রকাশিত হজ গাইড এবং আওলাই গ্রামের আমার সুহৃদ বড় ভাই আলহাজ সামছুল হক চৌধুরী ও পিয়ারা গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ হাফেজ মো: সাহিদুর রহমান ( ফটু) থেকে আমি আমার স্মৃতি হতে “পবিত্র কাবা ঘর ও মহানবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এঁর রওজা মুবারক জিয়ারত।” লিখার জন্য কিছু তথ্য নিয়েছি তার জন্য তাঁদের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দীর্ঘ দিন পর এই স্মৃতি কথা লিখতে যেয়ে, অনেক তথ্য উল্টা- পাল্টা হয়েছে ,এবং ভুল হতে পারে, তাই পাঠকবৃন্দের নিকট আমার সবিনয় অনুরোধ, ভুলগুলি আমাকে জানালে চির কৃতজ্ঞ থাকব।
ইতি- আলহাজ মোহাম্মদ আলী আকন্দ,
গ্রাম : পিয়ারা, পো : ছাতিনালী, ৮নং আলাই ইউ:পি:
উপ-জেলা : পাঁচবিবি, জেলা: জয়পুরহাট।
মোবাইল নং ০১৭১৮-৪৮৪১১১ তারিখ : ০২-৫-২০১৭ ইং