টপিকঃ প্রযুক্তির ব্যবহার

সময়ের পরিক্রমায় মানবসভ্যতা এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের আগমন ও তার ব্যবহারে চলমান সময়ে সমাজে প্রযুক্তিপ্রেমীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এদেশের স্বল্প আয়ের মানুষের হাতেও আজ  স্মার্টফোন। নাগরিক জীবনে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের দিনের অধিকাংশ সময়ই গ্রাস করে নিচ্ছে স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ততা। সম্প্রতি
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯ জন মা-বাবা এবং তাদের ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী সন্তানদের মধ্যে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে দেখেছেন, অতিরিক্ত প্রযুক্তি আসক্তিতে সন্তান ও অভিভাবকদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো এবং শেয়ারিংয়ের অভ্যাসগুলোর মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জীবনযাপনে। বাস্তবতা হলো, প্রযুক্তির অতিব্যবহারে নিজ নিজ স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ততায় শুধু অভিভাবকদের নয়, সন্তানদের জীবনও প্রভাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সব মিলিয়ে স্মার্টফোন ভিত্তিক প্রযুক্তি আসক্তি এখন অভিভাবক ও সন্তানদের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো তো স্পষ্ট, তবে এর নেতিবাচক দিকগুলোর ব্যাপকতা ও মাত্রা কেমন তাও আমাদের উপলব্ধি করার সময় এসেছে। নইলে হিতে বিপরীতের আশঙ্কাই বাস্তব বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। স্মার্টফোন নির্ভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক প্রহেলিকাময় যোগাযোগ আমাদের অসামাজিক করে তোলায় বিষয়টি অনেকক্ষেত্রে এখন পরিবার ও সমাজের জন্য আপদের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনের কথা বলে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা অভিভাবকের কাছে স্মার্টফোনের আবদার করে থাকেন। অভিভাবকরাও মমতার বশবর্তী হয়ে সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন। কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো, স্মার্টফোনের সদ্ব্যবহার কতটা হয়? স্মার্টফোন তো কৌতূহলী কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের সামনে এক রঙিন পৃথিবী উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এই ফোনের মাধ্যমে যেমন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হওয়া যায়, তেমনি পরিচিত হওয়া যায় নিষিদ্ধ জগতের সাথেও। যৌনতা ও পর্নোগ্রাফি এক জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। স্মার্টফোনের বদৌলতে গান-বাদ্য, ছায়াছবির সহজলভ্যতায় বিনোদনের এখন কোন সীমা-পরিসীমা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ২৪ ঘণ্টাব্যাপী অবারিত এত সব রঙিন বিষয় ও বিনোদন কতটা ইতিবাচক? ২৪ ঘণ্টার জীবনে পেশা, খাওয়া, ঘুম ছাড়াও মানুষকে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। স্বাভাবিক ও সুস্থ মানুষ তো বিনোদনের জন্য দুই-এক ঘণ্টার বেশি বরাদ্দ করতে পারেন না। কিন্তু হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনের প্রলোভনে মানুষ অনেক সময়ই শৃঙ্খলা ভেঙ্গে সময়ের অপচয় আর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা দেখিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রযুক্তির সঙ্গত ও ইতিবাচক ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ব্যক্তিপর্যায়ে নৈতিক মূল্যবোধ ও জবাবদিহির চেতনা। নৈতিক চেতনার বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানে ব্যর্থ হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নব-নব আবিষ্কারের কাঙ্খিত সুফল কাজে লাগানো সম্ভব হবে না। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করলেই মানব জাতির মঙ্গল, করণ এতেই নিশ্চিত করা সম্ভব প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার।

Re: প্রযুক্তির ব্যবহার

এই ব্যাক্তির সকল লেখা কাল্পনিক , জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে মিল পাওয়া গেলে তা সম্পুর্ন কাকতালীয়, যদি লেখা জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে মিলে যায় তার দায় এই আইডির মালিক কোনক্রমেই বহন করবেন না। এই ব্যক্তির সকল লেখা পাগলের প্রলাপের ন্যায় এই লেখা কোন প্রকার মতপ্রকাশ অথবা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

Re: প্রযুক্তির ব্যবহার

Re: প্রযুক্তির ব্যবহার