টপিকঃ মুক্তিযুদ্ধের বীর ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা ও শ্রদ্ধা জানাবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেইভাবে প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলো সেটা ইতিহাসে বিরল কিন্তু দুর্ভাগা জাতি আমরা। ৭৫ এর পরে পাকিস্তান ও রাজাকারপন্থি ভারতবিদ্বেষী সরকারগুলো বরাবরই ভারতের অবদানকে জাতির সামনে কিভাবে কম দেখানো যায় সেই চেষ্টা করেছিলো কিন্তু মুক্তিকামী বাংলাদেশিরা অকৃতজ্ঞ নয় ভারতীয় বীর সেনাদের প্রতি। দেরিতে হলেও ভারতীয় সেনাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননা পুরো বাংলাদেশকে আরো সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাবে। মূলত ভারতীয় ও বাংলাদেশি একই জাতি। ধর্মের কারনে বিভক্তি না হলে বাংলাদেশ ভারতেই থাকতো। যাই হোক, সেটা ইতিহাসবিদেরা বিশ্লেষন করবে কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। তাই দেশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেই কিভাবে ভারতের সাথে আরো গভীর সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক করা যায় সেই লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশকে কাজ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মান জানাচ্ছে বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার : নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে সচেষ্ট শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ১৮ ডিসেম্বর দিল্লী যাচ্ছেন। তিন দিনের সফর। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা। পাশাপাশি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধে আসা ভারতীয় প্রায় এক হাজার ৬৬৮ সেনা নিহত হয়েছিলেন। সেই নিহত সেনা সদস্যদের সম্মাননা জানাবেন মুজিবকন্যা।
সম্মাননার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নিহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারকে যে অর্থ হস্তান্তর করবে তা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তর করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি টাকাকে ডলারে রূপান্তর করার পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তা ভারতীয় টাকায় রূপান্তর করা হবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৬৬৮ জন সদস্যকে সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ সরকার। নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ ভারতীয় টাকা করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় শহীদ পরিবারগুলোর হাতে একটি করে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দিতে লেখা কৃতজ্ঞতাপত্র এবং ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহিদদের অবদান নিয়ে একটি বইও প্রকাশ করা হবে। তিস্তার জল বণ্টন নিয়েও আলোচনা হবে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ মডেল’-এর কার্যকারিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মেলন করার কথা ভাবছে ভারত। সম্প্রতি ভারতের গোয়ায় ব্রিকস ও বিমসটেকের আসরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি এই বিষয়ে বেশ আগ্রহ দেখান।