টপিকঃ দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন অপরিহার্য
দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন অপরিহার্য। সমাজের কোন ক্ষেত্রেই নারীকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। প্রত্যেক নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। নিজের সংসার ও সমাজকে যেন গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন কেবল শহর পর্যায় থেকে নয়, তৃণমূল থেকেই যেন হয়, এজন্য নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহন করেছে সরকার। নারীদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ যেন তারা করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বিভিন্নভাবে তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। যেমন- মৎস্য চাষ, কৃষি, হাঁস ও মুরগি পালন, হাউজ কিপিং এ্যান্ড কেয়ার গিভিং, বিউটিফিকেশন, মাশরুম চাষ, রন্ধন প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, বেসিক কম্পিউটার, আধুনিক গার্মেন্টস, মধু চাষ, লন্ড্রি এমব্রয়ডারি, ড্রাইভিং, ছোট-ছোট যন্ত্রপাতি মেরামতকরণ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার একজন নারী, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা ও বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। জাতীয় সংসদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদই নারীরা দখল করে আছে। ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর এবং পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করে। দুইজন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকতে হবে এরকম নীতিমালাও প্রনয়ন করে। শুধু তাই নয় উন্নয়নের জন্য যেসব কমিটি হবে সেসব কমিটিরও অন্তত ৫টি কমিটিতে নারীরা চেয়ারম্যান থাকবেন, যাতে তারা উন্নয়নের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ততা এবং ভূমিকা রাখতে পারে। নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে তার সরকারের ব্যাপক কার্যক্রমের সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৮তম স্থানে রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন নারী উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে একটি উচ্চ-মাধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচিতি দিতে পারব বিশ্বের মানচিত্রে।