সদস্য_১ লিখেছেন:আপনার কি সত্যিই তাই মনে হয়? ওবামার বার্থ সার্টিফিকে থেকে শুরু করে, বছর ধরে সমস্ত স্টুপিড কমেন্ট গুলো তার সাজানো প্লান ছিল?
আমার মনে হয়না এ ধরনের কিছু। এই বয়সে এসে এতো ধন সম্পদের মালিক হয়ে, আরাম আয়েশের জীবন এবং সবার প্রশংসা পাত্র হওয়া বাদ দিয়ে (নিজে প্রার্থী না হয়ে, দু পার্থী কে কয়েক মিলিওন ডলারের একটা করে চেক লিখে দিলে... কটু কথা বলার বদলে হিলারী প্রেসিডেন্ট হয়ে সকাল বিকাল তার পাছায় চুমু খেত। বাথ সার্টিফিকেট নিয়ে কমেন্ট করার আগে ওবামাকে কখনো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু বলতে শুনেছেন?), প্রেসিডেন্সির মত স্ট্রেসফুল আর নিস্ফল কাদা ছোড়াছুড়িতে যে নাম লেখাতে পারে... আমার মনে হয়না সে শার্লক টাইপের কিছু।
এই বিগ ডেটা অ্যানালাইসিসের যুগেও যখন ট্রাম্প আমেরিকাতে প্রেসিডেন্ট হয়ে যান তখন আমার মনে হওয়া বা না হওয়ার কিছু এসে যায় কি ? কথাটাতো আর শার্লক বলেনি বলেছে অন্য চরিত্র। এত সহজে কোন সিদ্ধান্তে যাওয়ার চেয়ে একটু সময় নিয়ে দেখা যাক। আপনিতো আজাইড়াতে প্রমান করেছেন হিলারি “পরীক্ষিত অমানুষ” সেই তুলনায় “বোধহয় অমানুষ” ট্রাম্প সুযোগ পেতেই পারে। অনেক সময় অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলো মিলে একটা বড় ভূমিকা রাখে। ট্রাম্প আসলে কি সেটা অভিশংসিত হবার সময় বা চার বছর পরই হয়তো মীমাংসিত হবে।
আদতে আমাদের সবার মধ্যেই একজন ট্রাম্প ঘুমিয়ে আছে।
http://www.sachalayatan.com/yhoque/56304
তুমি একটা ট্রাম্প! -লুৎফর রহমান রিটন
ট্রাম্পকে তুমি বর্ণবিদ্বেষী বলছো, গালাগাল করছো, অথচ তুমি নিজেও একটা ট্রাম্প!
ট্রাম্প আমেরিকায় মুসলমানদের থাকতে দেবে না, ঢুকতে দেবে না বলাতে তুমি ট্রাম্পকে সাম্প্রদায়িক বলছো, মানবতা বিরোধী বলছো, জাতিবিদ্বেষী বলছো, অথচ তুমি তোমার দেশে হিন্দু-বৌদ্ধদের বাড়িঘর-ধর্মশালা আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দাও, তাঁদের সম্পত্তি দখল করে নাও, তাঁদের হত্যা করো এবং তাঁদের তাড়িয়ে দাও বসতভিটা থেকে, মাতৃভূমি থেকে। তুমি ট্রাম্পেরও বাবা।
অসহায় দরিদ্র ২০০ সাঁওতাল পরিবারের জীর্ণশীর্ণ ছনের ঘরগুলো তোমার দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুলিশী প্রহরায়! নিরাশ্রয় হতভাগ্য সাঁওতাল পরিবারের সদস্যরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকে খোলা আকাশের নিচে, কারণ এইদেশ তোমার একার না, এইদেশ সাঁওতালদেরও। এইদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টানসহ সকল ক্ষুদ্রজাতিসত্তার সদস্যদেরও। এইদেশ তোমার একার না, এইদেশ তোমার একার ছিলো না কখনো।
আয়নায় বহুদিন তুমি নিজের চেহারা দেখো না সম্ভবত, দেখলে নিজের চেহারায় ট্রাম্পের সাদৃশ্য অবলোকন করতে,একলহমায়। ট্রাম্পের কাজিন তুমি!
ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে বলে আমেরিকার জনগণকে তুমি অসভ্য বলো, গণতন্ত্র শেখাতে চাও তাঁদের, অথচ 'গণতন্ত্র' বানান তুমি জানো না। ওটার প্র্যাকটিস তুমি এইজনমে করোনি। কারণ তোমার চিন্তায় চেতনায় মননে পরম নিষ্ঠায় তুমি লালন করে চলেছো একজন ট্রাম্পকেই!
অথচ--
ট্রাম্পের ছায়ায় তুমি নিজেকে দেখতে পাও না।
ট্রাম্পের আচরণে তুমি নিজেকে দেখতে পাও না।
ট্রাম্পের স্বপ্নের মধ্যে তোমারই স্বপ্নটা লকলকিয়ে উঠছে বারবার, তুমি দেখতে পাও না।
কারণ তুমি অন্ধ।
হে মানুষ, তোমার চিকিৎসা দরকার।
অটোয়া ১১ নভেম্বর ২০১৬
hard to hate but tough to love