টপিকঃ হৃদয় নিয়ে...
হার্ট অ্যাটাক।
যে সকল রক্তনালীর মাধ্যমে আমাদের হৃদপিন্ডে প্রতি মুহূর্তে রক্ত সঞ্চালিত হয়, কোন কারণে তা বন্ধ হয়ে গেলে হয়।
বুঝবো কি করে
বুকের বাম দিকে তীব্র ব্যাথা।
এ ব্যাথা বাম হাতে নামতে পারে। গলায়, চোয়ালে, এমনকি দাঁতেও ছড়িয়ে যেতে পারে।
ব্যাথায় রোগী কিছুক্ষণের মধ্যে নিস্তেজ এমন কি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
হৃদস্পন্দন অনিয়মিত, অস্বাভাবিক দ্রুত বা ধীর হয়ে যেতে পারে।
হৃদস্পন্দন এবং শ্বাসক্রিয়া বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
প্রচুর ঘাম।
বমি ভাব অথবা বমি।
ঠোঁট, হাত-পায়ের তালু নীলবর্ণের হয়ে যেতে পারে।
তবে দুঃশ্চিন্তার বিষয়
অতি বৃদ্ধ এবং দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে কোন রকম ব্যাথার অনুভুতি ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই এদের ক্ষেত্রে ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার মতো সময় থাকে না।
সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, দীর্ঘক্ষণ হাঁটা, দৌড়ানো বা ভারী কাজ করলে অনেকেরই বুকে মৃদু ব্যাথা হয় যা বিশ্রাম নিলে কমে যায়। কিন্তু বিশ্রাম নিলে বা নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ঔষধে এ ব্যাথা না কমলে সাবধান- খুব শীঘ্রই এবং যে কোন সময় আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে।
কিভাবে কি করবো
যা করবেন, সুপারম্যানের মতো করবেন। দ্রুত অথচ সাবলীল।
জামা কাপড় সুতি হলে ঢিলা করে দিন। সিনথেটিক হলে কেটে ফেলুন।
ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। দরজা জানালা খুলে দিন। ফ্যান/ হাতপাখা ব্যবহার করুন।
ঘরের লোকজন কমিয়ে দিন।
টুকরো সুতি কাপড় দিয়ে মুখ গহবর ধীরে ধীরে পরিস্কার করে দিন।
পানি খেতে চাইলে সরাসরি না দিয়ে ঠোঁট জিহ্বা আলতো করে ভিজিয়ে দিন।
হৃদপিন্ডের কাজের চাপ কমিয়ে দিন।
কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন।
মাংসপেশীর কাজ বন্ধ করে দিন অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিন। তবে শুয়ে নয় অর্ধবসা অবস্থায়। মাথার দিকে বালিশ উঁচু করে দিন। কিন্তু যদি অজ্ঞান হয়ে গিয়ে থাকে তবে প্রথমেই শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে মাথা একদিকে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে আনবো কি করে
চিৎ করে শুইয়ে দিন।
পাশে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ুন।
বুকের মাঝখানে আপনার এক হাতের উপরে অপর হাত রেখে মিনিটে ৮০ বার হিসেবে নিয়মিত বিরতিতে চাপ দিতে থাকুন। প্রতি ১৫ বার চাপ দিয়ে হৃদস্পন্দন ফিরে আসছে কিনা, লক্ষ্য করুন।
যতো দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে প্রেরণ করুন।
সূত্রঃ
১। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রচারপত্র।
২। বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ।
৩। রোগীদের নিকট থেকে সংগৃহীত তথ্য।