টপিকঃ রাজাকার মীর কাশেম আলীর সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে জয়ী হয়েছে রাষ্
রাজাকার মীর কাশেম আলীর সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে জয়ী হয়েছে রাষ্ট্র
সাইয়িদ রফিকুল হক
গত কয়েক বছর যাবৎ শোনা যাচ্ছিলো রাজাকার মীর কাশেম আলী ফাঁসির দড়ি থেকে নিজের জীবন-বাঁচাতে দেশী-বিদেশী দালাল ও লবিস্টদের হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিচ্ছে। খবরটা শুনে প্রথমে অনেকে বিশ্বাস করতে চায়নি। পরে অনেক খবরই ফাঁস হয়েছে। এরপর মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে। তারপর দেশে-বিদেশে আর সবজায়গায় রটে যায়—একাত্তরের চিহ্নিত-ঘাতক ও রাজাকার মীর কাশেম আলী ফাঁসির দণ্ড থেকে নিজেকে বাঁচাতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়প্রশ্রয়দাতা কয়েকটি দেশের সিনেটর-এমপি থেকে শুরু করে সেইসব দেশের গণতন্ত্রপ্রেমীসরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মাত্র হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। আর এর পরিমাণ কমপক্ষে ২০হাজার কোটি টাকা! কিন্তু কোনো বিদেশী-কর্মকর্তা শেষপর্যন্ত কিছুই করতে পারেনি। আমাদের দেশের বর্তমান-সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তাদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।
মীর কাশেম আলীদের টাকা আছে। তাই, সেখান থেকে মাত্র ২০হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। মাত্র ২০হাজার কোটি টাকা! আর এটি কোনো গল্প বা কল্পকাহিনী নয়। একজন রাজাকার তার পাপকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দেশী-দালাল খন্দকার মাহবুবসহ বিদেশী অনেক দালালকেই তার পক্ষে লড়াই করার জন্য কিনে ফেলেছিলো। কিন্তু কথায় আছে না—‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!’ তাই, মীর কাশেম আলী তার ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করতে পারেনি।
১৯৭১ সালে, এই মীর কাশেম আলীগংরা পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করে তাদের বিজয়ী করার জন্য বাংলার মানুষের উপর কী-অত্যাচারই না করেছে! এর তুলনা পৃথিবীতে নাই। তারা বাংলাদেশের মানুষকে পশুর মতো নির্বিচারে হত্যা করেছে। আর আজ সে সমাজসেবক!
আদালতে মীর কাশেমের একটি অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অপরাধগুলো নাকি ভালোভাবে প্রমাণিত হয়নি! ভালোভাবে প্রমাণিত হবে কীভাবে? সে খরচ করেছে মাত্র ২০হাজার কোটি টাকা! আর এই টাকার স্বাদ-গন্ধ এখনও অনেকের দেহমনে লেগে আছে।
মীর কাশেম আলীরা অপরাধ করেছে কমপক্ষে ১০১টা। আরে, সেইসব অপরাধের প্রমাণ ৪৬বছর যাবৎ টিকে থাকে কীভাবে? কীভাবে? আর কীভাবে?
মীর কাশেম আলীরা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। তবুও আমাদের শেষরক্ষা যে, মীর কাশেম আলীর মতো একটা রাজাকারের ফাঁসির দণ্ড বহাল আছে। আর রাজাকার মীর কাশেম আলীর সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। আর তাই, সকল তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রাজাকার মীর কাশেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখায় অবশেষে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জয়ী হয়েছে আমাদের বাংলাদেশরাষ্ট্র। আর এভাবেই এগিয়ে যাবে আমাদের আগামীদিনের বাংলাদেশ।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৩০/০৮/২০১৬
সাইয়িদ রফিকুল হক