টপিকঃ পাকিস্তানী পুত্র আযিমী

প্রয়াত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক হয়ে মুল নেতৃত্বে এসেছিলেন গোলাম আযম। ৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরুর সাথে সাথে গোলাম আযম পাকিস্তানের সামরিক জান্তার সাথে দেখা করে সেই গণহত্যার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দিকে অবস্থা বেগতিক দেখে ২২শে নভেম্বর ঢাকা ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যান পাকিস্তানি দালাল গোলাম আযম। মুক্তিযুদ্ধের সাত বছর পর তৎকালীন জিয়া সরকারের আমলে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন গোলাম আযম। ধিরে ধিরে সখ্যতা গড়ে তোলেন জিয়া ও তার সরকারের সাথে। সমঝোতা ও অনুকূল পরিবেশের সুযোগ নিয়েই পাকিস্তানে না ফিরে বাংলাদেশেই থেকে যান গোলাম আযম। পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমের বড় ছেলে আব্দুল্লাহ-হিল আমান আজমী। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বড় ছেলে আযমী যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। শুনেছি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পরীক্ষায় বারবার ফেল করেছিলেন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানির পুত্র আযিমী। তদুপরি বিএনপি সরকারের আমলে সরকারের যোগসাজশে সেনাবাহিনীর উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হন আযমী। বিএনপি সরকারের হাত ধরেই যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, তার বড় ছেলে আযমী ও এই পাকিস্তানি নাগরিকের পরিবার বাংলাদেশে অবস্থান পাকাপোক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানির ছেলে, এমন খবর সত্যিই বিশ্বয়কর। যা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি স্বরুপ।