টপিকঃ 'শান্তির দূত' জাকির নায়েকের সাথে বৈঠকে বসতো জেএমবির সদস্যরা
ঠেলার নাম যে বাবাজি সেটা নিশ্চয়ই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন 'শান্তির দূত' হিসেবে পরিচিত জাকির নায়েক।
ডা. জাকির নায়েক অবশ্য সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি শান্তির দূত'।
http://www.sylhetview24.com/news/detail … nal/67124\
তাঁর বক্তব্য অন্যদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করে—এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জাকির নায়েক বলেন, ‘আমার বক্তব্য প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়...আমি শান্তির দূত।’
http://www.prothom-alo.com/internationa … 7%E0%A6%95
আপডেট : ২ আগস্ট, ২০১৬ ১০:০১
জাকির নায়েকের সঙ্গে বৈঠকে বসতো জেএমবির সদস্যরা
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার গুলশনে হামলার পর জঙ্গিদের উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের নাম আলোচনা আসে। তবে ভারতের জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) জঙ্গিদের ক্ষেত্রে বিষয়টা শুধু জাকিরের বক্তৃতা শুনে অনুপ্রাণিত হওয়ায় সীমাবদ্ধ ছিল না। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গিদের একাংশ বিহারের কিষাণগঞ্জে জাকির নায়েকের সঙ্গে বহু গোপন বৈঠকও করেছিল। আবার এই কিষাণগঞ্জে জাকিরের প্রকাশ্য সভায় বাধ্যতামূলকভাবে হাজির হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও অাসামের জেএমবি সদস্যদের জরুরি নির্দেশ দেয় নেতৃত্ব। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে তাকে দেশদ্রোহ ও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। সাম্প্রতিককালে জঙ্গি সন্দেহে আটককৃতদের মধ্যে যারা জাকিরের বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে, তাদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে খাগড়াগড় মামলায় উঠে আসা তথ্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে জেএমবির আস্তানায় বিস্ফোরণের মাস কয়েক আগে কিষাণগঞ্জে সভা করেন জাকির নায়েক। ওই সংগঠনের সব সদস্যদের সভায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল শেখ রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ, গোয়েন্দারা যাকে জেএমবির বর্ধমান মডিউলের প্রধান বলে চিহ্নিত করেন।
জাকিরের ওই সভায় বর্ধমানের ইউসুফ গাজি ও রেজাউল করিম, বর্ধমানের একটি হাইস্কুলের আরবি শিক্ষক জিয়াউল হক, বিস্ফোরক জোগানদার আমজাদ আলি শেখ ওরফে কাজলের মতো জেএমবির সদস্যরাও হাজির ছিল। খাগড়াগড় মামলায় আটক আসামের হাতুড়ে ডাক্তার শাহনুর আলম জেরায় তা জানিয়েছে।
এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তায় ভাষ্য, ‘‘কিষাণগঞ্জে জাকির নাইকের সঙ্গে সাজিদ, ইউসুফ গাজিসহ জেএমবির সদস্যরা একাধিক গোপন বৈঠক করে। তা না হলে জাকিরের প্রকাশ্য সভায় বাধ্যতামূলক উপস্থিতির নির্দেশ জারি করার কী দায় ছিল?’’
জাকির নায়েক অবশ্য জানিয়ে আসছেন, তার অসংখ্য ভক্ত গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে আর তাদের মধ্যে কেউ যদি তার বক্তৃতা থেকে জঙ্গি কাজকর্মের অনুপ্রেরণা পায়, সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একাংশ বলছেন, জাকির নায়েকের সব বক্তৃতা যে প্রকাশ্য, তা নয়। তার কিছু বক্তৃতার ভিডিও রেকর্ডিং করে সিডি ও পেন ড্রাইভের মাধ্যমে সে সব গোপনে প্রচার করা হয়। সেই সব বক্তৃতার ভাষা যথেষ্ট উস্কানিমূলক।
নদিয়া-মুর্শিদাবাদে এমন প্রচারে বড় ভূমিকা নিয়েছিল খাগড়াগড় কাণ্ডের আর এক আটক গিয়াসউদ্দিন মুন্সি। তার তত্ত্বাবধানেই ২০১০ সালে নদিয়ার কালীগঞ্জের মির্জাপুর গ্রামে একটি আস্তানা তৈরি করেছিল জেএমবি। কিন্তু গ্রামের মানুষ জোট বেঁধে সেই আস্তানা ভেঙে দেন। পরে গিয়াসউদ্দিন ওই এলাকায় গোপনে জাকিরের বক্তৃতার ভিডিও রেকর্ডিং প্রচার করেছিল। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার কথায়, ‘‘গিয়াস বলত, আমরা না হয় খারাপ। উনি তো পণ্ডিত মানুষ। উনি যা বলছেন, আমরাও কিন্তু সেই কথা বলছি।’’
এক তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘‘গণ্ডগোল কিছু না-থাকলে বক্তৃতার ভিডিও রেকর্ডিং সিডিতে বা পেন ড্রাইভে নিয়ে ল্যাপটপে জুড়ে গোপনে প্রচার করা হবে কেন?’’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/০২ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব