টপিকঃ শ্বেতীর প্রতিকার ।
সাদা মানেই শ্বেতী নয়। অনেক কারণেই ত্বক সাদা হতে পারে। তাই সাদা দেখলেই চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদিও অল্প বয়সী কন্যা বা যুবতী মেয়েদের শ্বেতী হলে বাবা-মার ঘুম হারাম হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে এটি কোনো জীবাণুঘটিত রোগ নয়। তাই এটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামকও নয়। এতে ত্বকের মেলানোসাইট নামক একটি কোষ ধ্বংস হওয়ার ফলে সেখানে রঞ্জক পদার্থ তৈরি হয় না। ফলে ওই স্থানগুলো সাদা হয়ে যায়। স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন_* অস্থিতিশীল বা আনস্টেবল* স্থিতিশীল বা স্টেবলএ ক্ষেত্রে ল্যাব পরীক্ষা প্রয়োজন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বায়োপসি ও উড্স ল্যাম্ব পরীক্ষা। এর বাইরে ভিডিআরএল ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের হরমোন পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।শ্বেতী রোগের চিকিৎসাঅস্থিতিশীল শ্বেতীর ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তা না হলে ক্রমান্বয়ে তা শরীরের বিভিন্ন অংশে বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি বা একাধিক ওষুধ প্রয়োগ করে এর বৃদ্ধি বা ছাড়ানোর প্রক্রিয়াকে রোধ করা সম্ভব। ফলে শ্বেতী আর বাড়তে পারবে না এবং এর এক পর্যায়ে স্থিতিশীল হলে একে তখন অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। যেসব শ্বেতী স্থিতিশীল বা একই জায়গায় সীমাবদ্ধ তাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো মিনি পানস্গ্রাফটিং এটি একটি কসমেটিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ স্থান থেকে ত্বক এনে শ্বেতীযুক্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করতে হয়। শ্বেতী রোগীকে মনে রাখতে হবে যে, কখনই যেন আক্রান্ত ত্বকে সূর্যের আলো না পড়তে পারে। তার জন্য একটি সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রীম সব সময় ব্যবহার করতে হবে।ফ্রিকল/কালো তিলঅতীতে কেমিক্যাল পিলিং করা হতো। বর্তমানে লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে সাফল্যজনক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রিকল বা মুখের কালো তিলযুক্ত রোগীদের একটি পরামর্শ না দিলেই নয়। মনে রাখবেন যাদের মুখে তিল বা ফ্রিকল আছে তারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন যেন মুখে সূর্যের আলো না পড়তে পারে। সে জন্য সানস্ক্রিন হলো একটি অতি উত্তম ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা। তা পাওয়া সম্ভব না হলে একটি ছাতার ব্যবহারও আপনার মুখের ত্বকতে ভালো রাখতে পারে।
ডা. দিদারুল আহসানচর্ম, এনার্জি ও যৌন বিশেষজ্ঞ,আল-রাজী হাসপাতাল, ১২ ফার্মগেট, ঢাকা