টপিকঃ যত্নে ভালো চুল
.
আজকাল অনেকেই রিবন্ডিং, পার্ম ইত্যাদি স্টাইল করে নিজের চুল সাজাচ্ছে। তবে অনেক সময় এ ধরনের স্টাইল করানো চুলের নানা সমস্যা হচ্ছে। চুলের রিবন্ডিং, পার্মসহ অন্যান্য স্টাইল করার আগে ও পরে কী কী করা যেতে পারে, তা জেনে নেওয়া যাক। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান জানান, সাধারণত ঘন চুলে কিংবা কোঁকড়ানো চুলে রিবন্ডিং করা যেতে পারে। এটি ছয় মাসের জন্য অথবা স্থায়ীভাবে করা যায়। যাঁদের চুল পড়ে যাচ্ছে বা কমে গেছে, তাঁরা চুল ঘন দেখানোর জন্য পার্ম করতে পারেন। চুলের নিচের দিকে, মধ্যে অথবা পুরো চুলে স্পাইরাল করা যায়। তবে চুল পাতলা হলে স্পাইরাল না করাই ভালো। আবার চুলে রং করাটাও এখনকার আরেকটি স্টাইল।
সতর্কতা
কেউ যদি চুলে রিবন্ডিং, পার্ম, স্পাইরাল বা রং করাতে চান, তাহলে প্রথমেই তাঁকে একটি ভালো বিউটি স্যালনে যাওয়ার কথা বললেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। এই স্টাইলগুলো করানোর আগে এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। এই বিউটি স্যালনগুলো কী ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করছে, তা জানা দরকার। এ ছাড়া এগুলো করার পর কী কী পণ্য ব্যবহার করা যাবে বা করা যাবে না, সে সম্পর্কে নির্দেশনাগুলো জেনে নিন। চুলের ধরন না দেখে এসব করালে চুল পড়ে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রিবন্ডিং, পার্ম, স্পাইরাল বা কালার করার পর চুলের ক্ষতি হলে অর্থাৎ ভেঙে গেলে কী করা উচিত, তা নিয়েও তিনি জানালেন। রিবন্ডিং করার পর এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে চুলের বৃদ্ধির ওপর। রিবন্ডিং, রং, পার্ম—যেটাই করানো হোক না কেন, কিছুদিন পর গোড়া থেকে আবার চুলের বৃদ্ধি হচ্ছে। এই চুলগুলো কিন্তু তার জন্মগত চুলের মতোই। ফলে দেখা যাচ্ছে, নিচের চুলগুলো কোনো বিশেষ স্টাইল করানো। আর গোড়ার চুলগুলো অন্য রকম। অনেকেই তখন আবার সম্পূর্ণ চুলে একই স্টাইল করান। কিন্তু এটি করার আগে রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আবার দেখা যায়, কিছুদিন পর স্টাইল করানো চুলগুলোও ভেঙে যায় বা চুলের আগা ফেটে যায়। এ রকম চুলের যত্নে তেল ম্যাসাজ, প্রোটিন প্যাক, ডিপ কন্ডিশনিং কিংবা হেয়ার স্পা করতে বলা হয়। ভেঙে যাওয়া চুলের এ অবস্থায় আগের মতো আনা কষ্টকর হয়। যদি কারও চুলের নিচের দিকে ভেঙে যায়, তখন নতুন করে রিবন্ডিং, পার্ম ইত্যাদি করার আগে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়। চুলের বেশি ক্ষতি হয়ে গেলে, সে ক্ষেত্রে নতুন করে আর করা হয় না। কিছু সময় অপেক্ষা করে তারপর করা উচিত। তবে ভেঙে যাওয়া চুলে এ সময় অ্যান্টিব্রেকেজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তা না হলে নিচের দিকের ভেঙে যাওয়া চুলগুলো কেটে ফেলতে পারেন। কেউ রং করা চুলে রিবন্ডিং করতে চাইলেও একই রকম সতর্কতা মেনে চলতে পারেন।
চুলে কোনো কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করে স্টাইল করানো হলে নিয়মিত কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। এ জন্য শ্যাম্পু করার পর আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। ঘরে তৈরি করা নানা প্যাকও লাগানো যেতে পারে। টক দই, ডিম এসব ব্যবহারে চুল নরম হয়। এর সঙ্গে চুলের ধরন অনুযায়ী প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। মোটকথা, চুলে শুধু স্টাইল করালেই চলবে না, সেটা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত যত্নও নিতে হবে।