টপিকঃ ত্বকে বার্ধক্যর ছাপ পরার কারণসমূহ
ত্বকে বার্ধক্যর ছাপ পরার কারণসমূহ
গবেষণা দেখায় যে গেছে,, বার্ধক্য দুই ধরনেরঃ অন্তর্নিহিত (অভ্যন্তরীণ) বার্ধক্য যা বংশগতির দ্বারা সৃষ্ট স্বকীয় জিনের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং বহির্মুখী (বহিরাগত) বার্ধক্য যা পরিবেশগত যেমন সূর্য রশ্মির প্রাভাবে হয়ে থাকে।
অন্তর্নিহিত বার্ধক্য:
অন্তর্নিহিত বার্ধক্য, প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হিসাবে পরিচিত, একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সাধারণত মধ্য-20s শুরু হয়।. চামড়ার মধ্যে, কোলাজেন উৎপাদনের গতি হ্রাস পায়, এবং elastin জাতীয় পদার্থ যা ভাঙ্গা চামড়ার পূনর্গঠন করতে সক্ষম, কিন্ত মৃত কোষের পূনর্গঠন প্রক্রিয়াটি ২০ এর পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
অন্তর্নিহিত বার্ধক্য লক্ষণগুলি হল:
• অনেক বেশি বলিরেখা হয়।
• পাতলা এবং স্বচ্ছ চামড়া।
• হাড়ের ক্ষয় হলে, ত্বকে দমে যায়।
• শুষ্ক ত্বকে চুলকানি হতে পারে।
• প্রচুর পরিমান ঘাম নিঃসরন হয়।
• চুল ঝরে পরার পরিমান বৃদ্ধি পায়।
বহির্মুখী বার্ধক্য :
সূর্য রশ্মির প্রাভাব ছাড়াও অকালবার্ধক্যর জন্য যে সব কারন গুলো দায়ী সেগুলো হলঃ
১। পুনরাবৃত্তিমূলক ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন(সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য মুখে যে ব্যায়াম সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালানো হয় তা ত্বকে বৈরী প্রভাব ফেলে),
২। গাম্ভীর্য্য(বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকেরস্থিতিস্থাপকতা অনেক খানি কমে যায়,ফলে চামড়া নিচের দিকে ঝুলে যায়),
৩। ঘুমের অবস্থান(অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাত হয়ে ঘুমানো্র ফলে মেয়েদের চিবুকে এবং গালে এবং উপুড় হয়ে ঘুমানো্র ফলে পুরুষদের কপালে বলিরেখা দেখা যায়)
তাই চিৎ হয়ে ঘুমানো্র অভ্যাস করা উচিত।
৪। ধূমপান।
সূর্য.
কোন সুরক্ষা ছাড়া, নিয়মিত ভাবে সরাসরি সূর্য রশ্মির প্রাভাবে কয়েক বছরের মধ্যে ত্বক লক্ষণীয় পরিবর্তন হতে পারে.যেমন মেচতা, বয়স স্পট, মুখের মাকড়সা শিরা, রুক্ষতা,শক্ত চামড়া, সূক্ষ্ম বলিরেখা্, এমনকি ব্রণও হতে পারে এবং ত্বক ক্যান্সারের জন্য ও সূর্য রশ্মির অনেক খানি দায়ী।
সূর্য রশ্মির প্রাভাবে ত্বকে যে পরিবর্তন গুলো হয় ত্বক বিশেষজ্ঞরা তাকে photoaging বলেন।
photoaging এর পরিমাণ যেসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল
১।গায়ের রং এবং ২।দীর্ঘ সময় সূর্য রশ্মির প্রাভাবে থাকা
মেলানিন কমযুক্ত ত্বকে মেলানিন বেশীযুক্ত ত্বকের তুলনায় photoaging এর প্রভাব বেশি পড়ে।
মেলানিন কমযুক্ত ত্বকে বলিরেখাও বেশি পড়ে।
সূর্য রশ্মি প্রতিরোধ করার উপায়ঃ
• সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সূর্য রশ্মির প্রভাব থেকে বিরত থাকা উচিত।
• বাইরে বের হওয়ার আগে ছাতা অথবা sunscreen লোশান ব্যবহার করা উচিত।
গবেষণা থেকে জানা গেছে,সেল বার্ধক্যের ওপর অক্সিজেন বোঝার গভীর প্রভাব রয়েছে। যথাযথভাবে খাদ্যসেবন নিয়ন্ত্রণ করলে মানবদেহের অক্সিজেন-বোঝা হ্রাস পাবে, অক্সিজেন ফ্রি র্যাডিকলের পরিমান কমবে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া স্থগিত হবে
এবং আয়ু বেড়ে যাবে।
যথাযথভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভিটামিন ই, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ এবং যথাযথ শরীরচর্চা করলে বার্ধক্যের গতি মন্থর হতে পারে।