টপিকঃ পুষ্পকথন (পর্ব-৪)
জীবজগতের Plantae কিংডমের অন্তর্ভুক্ত Mirabilis গণের উদ্ভিদকে বাংলায় সন্ধ্যামালতী ডাকা হয়। সন্ধ্যামালতী একটি বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। লম্বায় ৩/৪ ফুট।
একটি সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদ:
ঝোপাকৃতি উদ্ভিদ।বৃতি থেকে প্রস্ফুটিত হওয়া ফুল পেছনের দিকে অনেকটা ক্রমশ সরু পাইপাকৃতির।
এর জন্মস্থান হল পেরু।
সাধারণত সুন্দর সুবাস ছড়ায়। এবং বিকেল সন্ধ্যার সন্ধিক্ষনে ফোটে বলে ল্যাটিন আমেরিকায় এ ফুলকে 4'o clock নামে ডাকা হয়।
সন্ধ্যামালতীর বড় বৈচিত্র হল এর রং। বিভিন্ন রঙের আবার একাধিক রঙের মিশ্রণে ফুলগুলোর দলমন্ডল গঠিত। সাধারণত গোলাপী,ঈষৎ লাল,হলুদ,সাদা, হলুদ-লাল,সাদা-লালের মিশ্রণ দেখা যায় ফুলে।আবার একই গাছে একাধিক রঙের ফুল ফুটতে পারে।
সাদা সন্ধ্যামালতী:
গোলাপী সন্ধ্যামালতী:
মিশ্র রঙের সন্ধ্যামালতী:
সব ফুলের মত এটিও সাজানোর কাজে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়, অর্নামেন্ট হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
নিজে তোলা একটি বাগানের সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদ:
আরেকটি বহুল প্রচলিত ব্যবহার হল ফুড কালার হিসেবে। পাপড়ির রং থেকে খাবার রং প্রস্তুত করা হয় সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদ থেকে।
সন্ধ্যামালতী ফুলের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া হল মাঝারি তাপমাত্রা এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক।নাতিশীতোষ্ঞ অঞ্চলের উপযোগী হওয়াতে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে সন্ধ্যামালতীর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
অল্প পরিসরে প্রাঙ্গন বা নিজের আঙিনার এক কোণে সৌন্দর্যময় সন্ধ্যামালতী ফুলের জুড়ি নেই। যা রূপে, গুণে, বর্ণে, বৈচিত্রে অনন্য।