টপিকঃ কিছু কৌতুক
কিছু জোকস শেয়ার করছি এখান থেকে আশা করছি ভালো লাগবে
জোকস - ০১ : কৃপণ!
এক কৃপন লোক কোন এক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখল যে, এক মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। তার গ্রুপের সাথে মিল থাকায়, সে পত্রিকায় দেয়া ঠিকানা মত ঐ রোগীর সাথে যোগাযোগ করল। তো ঐ কৃপন লোক সেই রোগীকে ১ ব্যাগ রক্ত দিল। রোগী ভদ্রলোক সুস্থ্য হয়ে কৃপন লোকটিকে ১ লাখ টাকা দিল। এর কয়েক মাস পর ঐ রোগীর আবার রক্তের প্রয়োজন হওয়ায়, সে সেই কৃপন লোকটিকে খবর দিল। কৃপন লোকটি আরো ১ লাখ টাকার লোভে আবার ১ ব্যাগ রক্ত দিল। রক্ত দেয়ার পরে রোগী ভদ্রলোক তাকে ১০০ টাকার ১ টি নোট দিল। কৃপন লোকটি তাকে বললো, ভাই এর আগে রক্ত দেয়ার পর আমাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, আজ ১০০ টাকা কেনো ? উত্তরে লোকটি বললো, কি করবো ভাই, আমার শরীরে যে কৃপনের রক্ত ঢুকে গেছে।
জোকস - ০২ : ডাকাত!
ঢাকা টু ময়মনসিংহের বাসে একবার ডাকাত পড়ল! ডাকাত দল পুরো বাস তাদের নিয়ন্ত্রণে নিল! এবার শুরু হবে লুটপাট! ডাকাতের সর্দার ইয়া লম্বা একটা ছোরা বের করে ঘোরাতে ঘোরাতে সবাইকে উচ্চ কণ্ঠে বলছে, ‘দিয়া হালাইন গো, যা আছে সব দিয়া হালাইন!!’ সবাই যার যা আছে বের করে দিতে শুরু করল! এক লোক তাঁর টাকা-পয়সা সব দিতে দিতে ‘দিয়া হালাইন’ কথাটা শুনে আর হাসি ধরে রাখতে পারছিলেন না! হেসেই ফেললেন! তখন ডাকাতের সর্দার তাঁর হাসি দেখে চোখ গরম করে বলে উঠল, ‘দিয়া আবার হাসুইন? এক্কেরে কাইট্টা হালবাম!’
জোকস - ০৩ : মা ও ছেলে!
বাবা, মা এবং ছেলে একজায়গায় যাচ্ছে। ছেলেটির মা ছেলেটিকে একটি চকলেট কিনে দিল। ছেলেটি যখন চকলেটটি খেতে গেল তখন চকলেকটি পড়ে গেল। ছেলেটি চকলেট তুলতে গেলে ছেলেটির মা বলল, পিন্টু, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো।পিন্টু দোকানে গিয়ে আরেকটা চকলেট নিয়ে এল। তারপর হাটতে হাটতে হঠাৎ করে পিন্টুর বাবা পড়ে গেল। পিন্টুর মা বাবাকে তুলতে গেলে পিন্টু মাকে বলল, মা, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো।
জোকস - ০৪ : তিন বন্ধু!
হঠাৎ করেই স্টার্ট বন্ধ হয়ে থেমে গেল চলন্ত গাড়ি। ভেতরে বসা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রোগ্রামার। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গাড়ির কলকবজা পরীক্ষা করে ত্রুটিগুলো দূর করল। গাড়ি স্টার্ট নিল না তবু। পেট্রল আর মবিলের মান যথাযথ নয় বলে জানাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বদল করা হলো। গাড়ি তবু নীরব। প্রোগ্রামার প্রস্তাব দিল, আমরা সবাই গাড়ি থেকে বের হয়ে আবার ঢুকি। কাজ হতে পারে।
জোকস - ০৫ : দুই বন্ধু!
অনেক দিন পর দুই বন্ধুর দেখা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্পের এক ফাঁকে একজন আরেকজনকে বর্তমানে চাকরি কার কেমন চলছে জিজ্ঞেস করতেই -
প্রথম বন্ধু : আজই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে এলাম।
দ্বিতীয় বন্ধু : কেন? এ কী বলিস তুই? কী হয়েছিল মালিকের সঙ্গে?
প্রথম বন্ধু : আর বলিস না, কোম্পানির এমডি ডেকে নিয়ে যা বললেন, তাতে আর ওই অফিসে কাজ করা যায় না।
দ্বিতীয় বন্ধু : অত সেন্টিমেন্টাল হোস কেন রে? চাকরি করতে গেলে বসদের একটু-আধটু কথা শুনতেই হয়। বল তো এমডি তোকে কী বলেছেন?
প্রথম বন্ধু : একটি পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এ মুহূর্তে তোমাকে বরখাস্ত করলাম।