টপিকঃ ভাবনাগুলো
উম .........
ভাবছি কি লিখবো , লেখা একেবারে হাত থেকে উঠে গেছে । প্রতিবার ভাবি কিছু লিখবো কিন্তু ঠিক লেখা হয়ে উঠে না । অনেকবার লিখে আবার ব্যাকস্পেস দিয়ে কেটে দিয়েছি এই ভেবে " এইসব ছাই পাস কেউ পড়বে বুঝি ? ডু সামথিং নিউ , ক্রিয়েটিভ । কিন্তু আবার দমে যাই , আবার মাঝে মাঝে নিজের লেখা নিজেই পড়ে হাসি , ছি ছি করি, লজ্জা ও লাগে কিন্তু কি করা অই যে সময় এর সাথে সাথে সব্বাই পরিবর্তন হয় এটাই নিয়ম । আজ হাবিজাবি কিছু লিখব , যা মনে আসে তাই লিখব হয়ত লিখতে লিখতে অনেক কিছু হয়ে যাবে ঠিক নেই ।
আজকাল খেয়াল করেছি কারো সাথে কথা বলতে ভয় ভয় লাগে আমার । ইদানিং মাথার মেমোরি ঠিক ঠাক কাজ করছে না । জীবন যেভাবে যাচ্ছে ভালই । নিজের উপর কিছুদিন পরীক্ষা চালিয়ে দেখলাম আমাকে দিয়ে কিসসু হবে না । এই আমি একবার উদ্যমী হয়ে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেই । কোনদিন রাতে ফিরে ভেবেছি সকালে ফোন দিয়ে মাকে বলব ঝড় হয়েছিল , তুমি ভয় পাওনি ত মা ? কিন্তু সেই ফোন দিয়েছি ৪ দিন পর । এটা কিন্তু ঠিক হয়নি , নিজেকেই গাল দিয়ে আবার নিজেই ভুলগুলি করি । ব্যাপার না নেক্সট টাইম বলে আবার নিজেকে বুঝাই ।
মানুষের জীবন অনেক ক্ষুদ্র আর এই ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে যা তার বেঁচে থাকার লিমিট ভুলে যায় । আমার , আমাদের স্বপ্ন গুলোও সেই ছোটকাল থেকে ক্ষুদ্র হয়ে এখন বিশাল আকার ধারন করেছে । কবি ঠিকই বলেছেন - বিন্দু বিন্দু জল হয়ে গেলো মহাসাগর । সেই ছোটবেলার একটা লাটিম থেকে শুরু করে আজ আই ফোন অথবা ম্যাকবুকে এসে পড়েছি , একবার ও কি ভেবেছি সেই এক্সাইটম্যান্ট যেরকম লাটিমের প্রতি ছিলো সেটা আদৌ ম্যাকবুকে আছি কি নাই ? আমার মনে হয় লাটিমটাই ভাল ছিল । একটা নতুন ডিভাইস হাতে আসার পর কয়েক ঘন্টা নাড়াচাড়া করলেই আর ভাল লাগে না তখন মনে হয় ধুর কি বানাইসে বা** । আর সেই যে লাটিম হাতে পাওয়ার পর চিন্তায় থাকতাম একটা লত্তি বানাইতে হবে আর গজালটা আরো চোক্ষা ধার ধার করতে হবে যেনো এক কোপেই চাইলতা উইড়া যায় । লাটিমের কথা আনলাম কেন ? কি যেনো লিখছিলাম ! দেখসেন এই হচ্ছে অবস্থা । একটা এড হচ্ছে ইদানিং টিভিতে "ধন্যবাদ" সেখানে একজন মাটিতে কোপ না দিয়ে লাটিম হাতের তালুতে নিয়ে আসছে এবং মস্তিস্ক কোনভাবে আমার মাথায় সেটিই ঘুরছে । আমি এই কাজটা ভাল পারতাম এবং বিশ্বাস এখন ও পারব । এই যে আমি বড় হয়ে কি করব এই বিশ্বাস যদি আমাকে সেই লাটিম খেলার সময় কেউ মাথায় ঢুকিয়ে দিতো আজ অন্যজনের ক্রিয়েটিভিটি দেখে নিজেকে ও বলতাম এই কাজটা ভাল পারতাম এবং বিশ্বাস আগামিতে ও পারব ।
mcctuhin ভাইয়ের এই লেখাটা পড়ে একটা কমেন্ট করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হল না , এখন এখানে বলে ফেলি । আমার প্রথম বইটি ছিলো ম্যাজিকের । এলাকার এক বড় ভাই ছিলেন নাম হাবীব তিনি একদিন বই মেলায় নিয়ে গেলেন তারপর আমাকে একটা ম্যাজিক শিখুন নামে বই হাতে ধরিয়ে দিলেন । নতুন বই আর তার উপর ম্যাজিক, আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম । অনেকগুলো ম্যাজিক শিখেছিলাম তারপর ভাবতাম আমি অনেক বড় ম্যাজিশিয়ান হবো । বই থেকে আমার যেই ম্যাজিকটি সফল হয়েছিল সেটা হচ্ছে রুমালের ভেতর দিয়ে কয়েন বের করা । আমি কি করতাম বাসার আশেপাশের বাচ্চাদের নিয়ে আসতাম, বড়দের আসা নিষেধ কারন ম্যাজিক শিখে গেলে সমস্যা । বাচ্চারা কিসসু বুঝতে পারত না খালি হাসতো আর বলত " বাইয়া কেক খাবো , চক্কেত খাবো । এগুলো ম্যাজিকের লোভে আসে নাই আমি কেক চকোলেট এর লোভ দেখিয়ে আনসি
। তারপর এক বড় আপুর বুকসেলফ ভর্তি ভারি ভারি বই দেখে খুব লোভ জেগেছিলো পড়ার কিন্তু এত বড় বই কিভাবে পড়ব ? ছোট ছোট বই যা ও পেতাম সব নূরানি শিক্ষা , হাদিসের কথা ইত্যাদি । আবার বই নেবার আগে আপুকে অবশ্যই বলতে হবে , উনার বইয়ে হাত দেওয়া মানে উনার মাথায় চুইংগাম লাগানোর মতন ব্যাপার । অবশ্য উনার চোখে আমি কয়েকদিন পরই ভাল হয়ে উঠেছিলাম এবং এর জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াইতে হইসে । অবশ্য সেই সেলফের বই সবই পড়া হয়েছিলো আমার সেটার জন্য অনেক লম্বা গল্প বলতে হবে যা এই মুহূর্তে অসম্ভব
। শেষটা টানি - আপুর সাথে এবার দেখা হয়েছিল , অনেকটা সাংসারিক হয়ে গেছেন । দু বাচ্চা আর জব নিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তার উপর সাহস নিয়ে বই প্রসঙ্গে বলেছিলাম " আপু নতুন বই কিনেছ ? " । আপু শুন্য চোখে চেয়ে বলেছিলো " সময় কোথায় বল " ।
আমি দুটো কারন পেয়েছি উনার বই পড়া থেকে মন উঠে যাবার জন্য -
১/ উনার সময় নেই
২/ হুমায়ন আহমেদ নেই ।
পাঁড়ফোরামিকঃ২২/০৩/২০১২, প্রজন্ম গুরুঃ০৯/০৪/২০১২ ,পাঁড়-প্রাজন্মিকঃ২৭/০৮/২০১২,প্রজন্মাচার্যঃ০৪/০৩/২০১৪।
প্রেম দাও ,নাইলে বিষ দাও