সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন ত্বোহা (১৯-০২-২০১৫ ০৮:০৪)

টপিকঃ ISIS এর সাথে জীবন যাপন

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

এধরণের ঘটনাগুলো শুনে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু কী আর বলব। এদেশেও তো আমরা খুব একটা ভালো নেই। আইএস প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে আর এদেশের জঙ্গীরা গোপনে এটাই পার্থক্য sad
পৃথিবীতে শান্তি আসুক। আল্লাহতায়ালা সমস্ত পথভ্রষ্টকে হেদায়াত দান করুন এই দোয়া করি...

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

আইএসআইএস তো ইবোলার মতোই ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে......কিন্তু আমার মাথায় ঢোকেনা......এই জামানায় এত্তো বড় একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি কিভাবে এতো স্বল্প সময়ে তৈরী হয়ে এতো বড় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে.....কারা আছে এর পিছনে......ওদের নেতাটা কে?
আমার মতে সাদ্দাম আর গাদ্দাফির প্রেতাত্মা ইরাক আর লিবিয়ার জনগনকে শিক্ষা দিচ্ছে ......

টিপসই দিবার চাই....স্বাক্ষর দিতে পারিনা......

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন রাশেদুল ইসলাম (১৯-০২-২০১৫ ১৪:৪২)

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন নিয়াজ মূর্শেদ (১৯-০২-২০১৫ ২২:৩৫)

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

আইসিস নিয়ে কিচ্ছু বলার নেই। দুনিয়ার সব মোড়ল দেশ গুলো ওদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে যুদ্ধ করছে মাসের পর মাস। অথচ ওরা একের পর এক শহর দখল করে চলছে! ঝকঝকে গাড়ির বহর দিয়ে রেলী করছে!! পার্শবর্তী ক্ষমতাশালী (!) দেশ ইরান, তুরস্ক, সৌদি... সহ ইউএস, ইউকে.... সব্বাই প্রানপনে যুদ্ধ করে চলছে!! surprised আমি ধিক্কার জানাই এসব দেশের অক্ষমতাকে এবং বাহবা দেই আইসিস এর বীরত্বকে  hmm ইরান, তুরস্ক, সৌদি এদের সেনাবল কি কম? সবাই মিলে ওরা কি পারেনা কয়েক দিনের মধ্যে আইসিস কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে? যদি নাই পারে তাহলে সারেন্ডার করে দিক। আইসিসই বরং ভাল। সারভাইবাল অফ ফিটেস্ট।

চুলোয় যাক! হাতি-ঘোড়া যেখানে তল যাচ্ছে... আমরা আমজনতা পিপড়ে হয়ে জল মাপার কোন ফয়দা দেখিনা। এর চেয়ে, ত্বোহা ভাই, আপনার অবস্থা বলুন। ওখানেই থাকবেন না অন্য কোথাও মুভ হবেন? আপনার বাসার তিনশ মিটারের মধ্যে দিয়ে বহর যাচ্ছে এটা তামশার কথা নয়। অকর্মা জোট বাহিনী প্লেন থেকে বোমা ফেলবে... সেটা আইসিসের রেলীতে না পরে আপনার বাসায় পড়বে worried
উপায় থাকলে ব্যাকপ্যাক কাধে এক্ষুনি বেড়িয়ে পড়ুন।

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

ওদের সাথে নাহয় আপোস করে চললেন। কিন্তু ক্রসফায়ারের কি করবেন?

বর্তমান পরিস্থিতে আইসিস বা অন্য জঙ্গি গ্রুপের চেয়ে বড় হুমকি আমি মনে করি যৌথ বাহিনী। ওদের মধ্যে কোন সমঝোতা নেই। বিতিচ্ছিরি অবস্থা। কে কোথায় কখন এটাক শুরু করে দেবে টেরও পাবনেনা। আইসিস একটা শহরে গিয়ে ঘাটি গাড়ে, দুদিন পর ওখানে বোমা হামলা শুরুহয় আর আইসিসের লোকজন ঐ শহরের ধনসম্পদ একত্র করে অন্য শহরে চলে যায়। ওদের কিছুই হয়না মাঝ থেকে শহরটা গুড়িয়ে যায়। একের পর এক ঐতিয্যবাহী শহর ধুলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে...

তাই সম্ভব হলে সময় থাকতে অন্য দিকে চলে যাওয়াই ভাল।

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

সাদ্দাম-গাদ্দাফী-আসাদ......এরা ছিলো একেকটা খুটির মতো.....যার জোরে ওই অঞ্চলে অন্যকেউ দাদাগিরী করতে সাহস পেতোনা........এখন তাদের বদলে যারা নুপুংসকরা হঠাৎ করেই পাওয়া ক্ষমতায় এসেছে.......তাদের ক্ষমতা নেই সেই বেয়াড়া বেদুইন যুদ্ধবাজদের ঠেকানোর.....। জোটবাহিনীরা কেউই সম্মুখযুদ্ধে সেনা দিবেনা.....তারা সবাই দায়সারা বোম্বিং করেই ওদের বদলে একের পর একেকটা শহর ধুলিৎসাত করবে.....।

টিপসই দিবার চাই....স্বাক্ষর দিতে পারিনা......

১০

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

সবগুলো একি মডেলের নিউ গাড়ি দেখছি !

আরো একটি শহর বোম্বিং করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেবে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্টার (?) কাজে নিয়োজিত যৌথবাহিনী sad

কাপুরুষ আইএস, পারলে ইসরাইলে গিয়ে আগে খিলাফত প্রতিষ্টার করে দেখা ।

১১

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

১২

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

ব্যাপারটা আপাত দৃশ্টিতে ওরকম মনে হলেও আসলে তা নয়। অন্তত এখন পর্যন্ত কোন দেশের সাপোর্টের প্রমান পাওয়া যায়নি। বলাহয় ওদের টাকার আধা উৎস হল ৩টা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ থেকে মাসহারা আদায়। গ্যাসবিল ইলেক্ট্রিসিটি বিলের মত আইসিস বিল! এতএব ওদের ইনকামও বড় মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির মত। এই টাকার জন্য সবাইকে রিসিট দেয়া হয়। কারেন্ট বিল না দিলে লাইন কেটে দেবে আর আইসিস বিল না দিলে জীবনের লাইন কাটা হয়ে যাবে। অতএব কেউ মিস করেনা।

আর বাকি অর্ধেক আসে তেল বিক্রিটাকা থেকে। এখন তাদের দখলে আছে পাচটা তেলক্ষেত্র একেটা ফিল্ডে ৬০/৭০ টা করে কুপ। ২৫ হাজার + ব্যারেল প্রতি দিন!! অনেক টাকা... টাকাই টাকা!

১৩

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

১৪ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন ত্বোহা (২১-০২-২০১৫ ১৯:১৮)

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন

কোন দেশের সাপোর্টের প্রমাণ না পাওয়ার দুইটা কারণ থাকতে পারে - এক. আসলেই কোন দেশের সাপোর্ট নাই, অথবা দুই. যাদের সাপোর্ট আছে তারা যদি সিআইএ আর মোসাদের মতো ইন্টেলিজেন্স দিয়ে করায়, তাহলে প্রমাণ পাওয়ার কোন কারণ নাই।

আমি বরং লক্ষণগুলো বলি। ন্যাটোর বিমান হামলা আমরা ২০১১ সালের আট মাস ধরে প্রত্যক্ষ করেছি। ওরা যেখানে মারতে চায়, একেবারে ঠিক সেখানেই মারতে পারে, একচুলও এদিক-সেদিক হয় না। সিরত থেকে ব্রেগা যাওয়ার পথে প্রচন্ড স্পীডে ছুটতে থাকা ল্যান্ডক্রুজার জীপেও ন্যাটো একেবারে জীপের উপরেই মারতে পারত। এমনকি, গাদ্দাফী যেদিন ধরা খায়, সেদিন গাদ্দাফীর সামনের এবং পেছনের দুইটা গাড়িতেই ন্যাটো বোমা মেরেছে, শুধু গাদ্দাফীরটাতে মারে নাই, যেন আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে না পড়ে। কিন্তু আইএস এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কীরকম? যৌথবাহিনী এতোদিন ধরে বিমান হামলা করছে, এখন পর্যন্ত তাদের কোন ক্ষতি তো করতে পারেই নাই, বরং প্রায়ই শোনা যায়, আইএস মনে করে ভুলে (!) ইরাকী বাহিনীর উপর বিমান হামলা করেছে। অথবা ইরাকী/সিরিয়ান লিবারেশন ফোর্স মনে করে আইএসকে অস্ত্র বিমান থেকে অস্ত্র দিয়েছে। সিরিয়াসলি?

গত বছর ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইল এতো বড় একটা আগ্রাসন চালালো, তার বিরুদ্ধে আইএস কোন অ্যাকশন নিল না; ইসরইলের বর্ডার ঘেঁষা সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তাদের দখলে থাকা সত্বেও। বরং তারা বলেছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আগে বরং তারা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কারণ হামাস সত্যিকারের মুসলমান না।

এখন পর্যন্ত আইএস কাদেরকে হত্যা করেছে? বিপুল সংখ্যক মুসলমানদেরকে (এর মধ্যে একটা বড় অংশ যদিও শিয়া, যাদেরকে ওরা মুসলমানই মনে করে না)। আর অমুসলমানদের মধ্যে যাদেরকে হত্যা করেছে তাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক, নয়তো সাধারণ খ্রিস্টান ওয়ার্কার। এ পর্যন্ত ঠিক কয়জন আমেরিকান/ব্রিটিশ আর্মিকে হত্যা করেছে তারা বলতে পারবেন?

তাদের কর্মকান্ডের ফলাফল এখন পর্যন্ত কী? একটা বড় অঞ্চল তাদের হস্তগত হয়েছে, যেখানকার ভেতরের মানুষের মনোভাব কি আমরা জানি না। শুধু সিরত দখল করার পর থেকে দেখছি, সিরতের নব্বই ভাগ মানুষই এদেরকে দেখতে পারেনা। না গাদ্দাফীপন্থীরা, না বিদ্রোহীরা, না ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা যারা আনসার আল শারীয়াকে কিছুটা পছন্দ করত। এছাড়া তাদের অর্জন কি? দুনিয়াতে ইসলামোফোবিয়া বিশাল আকারে ছড়িয়ে দেওয়া। গত বছর ফিলিস্তিনের পক্ষে যে বিশ্বজনমত তৈরি হয়েছিল, সেটাকে ধূলিস্যাত করে দেওয়া।

এদের আয় মূলত বিভিন্ন বন্দীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়, ব্যাংক লুট এবং তেল বিক্রি। তেল কোথায় বিক্রি করে? তুর্কির মাধ্যমে চোরবাজারে সস্তায় বিভিন্ন পশ্চিমা কোম্পানীর  কাছে। লাভটা কাদের? তুর্কির এবং ঐ পশ্চিমা কোম্পানীগুলোর।

১৫

Re: ISIS এর সাথে জীবন যাপন