টপিকঃ রোমাঞ্চ
ভালবাসা বুঝি এমনই
নিলয়ের সাথে আবার
ঝগড়া হলো নীলিমার। চার
বছরের ভালবাসার
ইতিহাসে এটা তাদের
কাছে নতুন কিছু নয়।
তবে এই ঝগড়াটা যেন অন্যরকম।
আগে নিলয় ঝগড়ার পরোক্ষণেই
সরি বলে দিতো নীলিমাকে।
কিন্তু এবার সে দৃঢ়চিত্ত।
সে কিছুতেই আর
নিলীমাকে সরি বলবে না।
প্রাইভেট
একটি ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ
পড়ছে নিলয়। নিজ
বাড়ি ছেড়ে থাকছে সে ক্লাস
টেন থেকেই। তার আগে কোন
কাজে মন বসতো না কিছুতেই।
কিন্তু
নীলিমা তাকে পাল্টে দিয়েছে কিছুদিনেই।
নীলয় অনেক আগে থেকেই
নীলিমাকে ভালবাসতো। চার
বছরের কম হবেনা সেটা। কিন্তু
নিলীমা তার ভালবাসায়
সাড়া দিল এইতো সেদিন!
এখনও তাদের সেই দিনটির
কথা মনে আছে। যেদিন
তারা দুজনেই বুঝতে পাড়ল
যে তারা একজন
আরেকজনকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
নীলিমা মেয়েটা যথেষ্ট
সুন্দরী।
কতো ছেলেপেলে তাকে প্রপোজ
করে ব্যার্থ হয়েছে তার
ইয়াত্তা নেই। কিন্তু নিলয়ের
প্রতি সে সবসময়ই দুর্বল। তাদের
ভালবাসা সম্ভব হয়েছে একমাত্র
তারা ভাল বন্ধু ছিল বলে।
আজকের
ঝগড়াটা নিলয়কে বারবার তার
অতীতে ফিরিয়ে নিচ্ছে।
অতীতের কথা মনে করে নিলয়
বারবারই ব্যাথা পাচ্ছে।
নিলীমা কি সেটা বুঝতে পারছে না !
যদি পারতোই তো কেন আজ
সে নিরব ? প্রশ্নটি নিলয়কে ক্ষত-
বিক্ষত করে ফেলছে।
ওদিকে নীলিমার
মনে কি হচ্ছে তাও নিলয়ের
অজ্ঞাত। সেও হয়তো ভাবছে ও
এখনও ফোন করছে না কেন !
সে যে আর পড়ছে না। নিলয়ের
সাথে একটু কথা বলার জন্য তার
মনটা হয়তো ছটফট করছে।
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের
মাঝে এই মনমালিন্য না হলেও
তো পারতো। কিছুতেই
তারা নিজেদেরকে ক্ষমা করতে পাড়ছে না।
নিলয় হাতে ফোনটা নিয়েও
বারবার রেখে দিচ্ছে। আবার
নীলিমা ফোনটা হতে নিয়ে অপেক্ষা করছে নিলয়ের
একটি কলের আশায়। চোখের
কোণে তার অশ্রু জমেছে। নিলয়
যদি এটা দেখতো,
তাহলে হয়তো কষ্টে মরেই
যেতো। 'ভাগ্যিস নিলয়
সামনে নেই'
মনে মনে ভাবছে নীলিমা।
সে নিলয়কে কতটা ভালবাসে তা কি নিলয়
জানে না ? প্রশ্ন উঁকি দিল
নীলিমার মনেও।
না এভাবে আর সম্ভব না।
নিলয়কে ফোন করবেই সে এখন।
একটা বাটন চাপার আগেই
নিলয়ের ফোন !
ওপাশ থেকে চাপা কণ্ঠে নিলয়
বলছে, "আমায় ভুল বোঝ না জান।
আমি আর পারছি না। প্লিজ
যা হয়েছে ভুলে যাও।
আমি তুমাকে অনেক
ভালবাসি নীলিমা। "
খানিকটা সময়
নিয়ে নীলিমা কান্না জড়িত
কণ্ঠে বলে উঠল I love u so much
নিলয়। প্লিজ আমাকে মাফ
করে দাও। আমি আর
তোমাকে কষ্ট দিবো না।
পরোক্ষণেই নিলয়
ফোনটা রেখে দিল। কারন
নীলিমার
কন্না সে সইতে পারে না।
নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল
নিলয়ের।