Re: আচিল হলে কি করবো?
দুইরকম চিকিৎসা নিতে পারেন।
১) হোমিওপ্যাথি কিংবা তাবিজ-মাদূলি-কবচ-জলপড়া ইত্যাদি।
কিংবা
২) সঠিক চিকিৎসা। এক্ষেত্রে যেকোনও ভালো "ডাক্তার" এর সাথে পরামর্শ করুন। টেলিমেডিসিন সুবিধাও নিতে পারেন।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » স্বাস্থ্য » আচিল হলে কি করবো?
দুইরকম চিকিৎসা নিতে পারেন।
১) হোমিওপ্যাথি কিংবা তাবিজ-মাদূলি-কবচ-জলপড়া ইত্যাদি।
কিংবা
২) সঠিক চিকিৎসা। এক্ষেত্রে যেকোনও ভালো "ডাক্তার" এর সাথে পরামর্শ করুন। টেলিমেডিসিন সুবিধাও নিতে পারেন।
আস্থাটা বিজ্ঞানের ওপরই রাখি। বিজ্ঞান যেটা বাতিল করে দেয়, সেটার ওপর আস্থা রাখি না। যখন ব্যাখ্যা করতে পারবে, তখন নতুনভাবে আবার মেনে নিব। বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত হলে যে কোনোকিছুকে মেনে নিতে আপত্তি নেই— তা দুদিন আগে হোক বা পরে। অফটপিক না হয় এখানেই থাকুক। এ ব্যাপারে ব্রাশুদা ভালো বক্তব্য দিতে পারবেন বলে তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করেছি।
ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন করতে বাধ্য হলাম।।
যদিও ইচ্ছা করছিলো না, তাই আগের পোষ্টে এড়িয়ে গিয়েছিলাম।
একটা প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্লিজ।
আমাদের শরীরে যে মন টা আছে, তাকে...
বিজ্ঞানের কোন কোন ক্রাইটেরিয়া,
কি কি টেস্ট দিয়ে,
বা কি কি যন্ত্র পাতি দিয়ে,
বা কি কি ক্যামিক্যালস দিয়ে,
বা মন শরীরের ঠিক কোথায় থাকে?
মানুষের মৃত্যুর পর ... মন এর পরিনতী কি হয়?
এসবের বিজ্ঞান কি কি প্রমান দেয় ?
হৃদয়১ লিখছেনঃ
হোমিওপ্যাথি কিংবা তাবিজ-মাদূলি-কবচ-জলপড়া ইত্যাদি।
হোমিওপ্যাথিতে আচিল সারে জানি, লোকজন তাদের অভিজ্ঞতাও সেয়ার করলো কিন্তু...
তাবিজ-মাদূলি-কবচ-জলপড়ায় সারে কিনা জানি না ,
আপনার নিজের যদি সেরকম অভিজ্ঞতা থাকে আমাদের সাথে সেয়ার করতে পারেন।
কিংবা
২) সঠিক চিকিৎসা।
কয়টা ব্লাড প্রেশারের সমস্যা সারিয়েছে? বা একজিমা? বা সোরিয়েসিস? বা নিঊরোফাইব্রোমা?
এক বার ঐ সঠিক চিকিৎসার সাকসেস রেটটা সবাই কে জানালে বাধিত হতাম...
আমাদের শরীরে যে মন টা আছে, তাকে...
বিজ্ঞানের কোন কোন ক্রাইটেরিয়া,
কি কি টেস্ট দিয়ে,
বা কি কি যন্ত্র পাতি দিয়ে,
বা কি কি ক্যামিক্যালস দিয়ে,
বা মন শরীরের ঠিক কোথায় থাকে?
মানুষের মৃত্যুর পর ... মন এর পরিনতী কি হয়?
অঃটঃ খাইছে আমারে!!! ভাই, আপনি না ধর্ম বিশ্বাস করেন না। এখন ধার্মিকদের মত প্রশ্ন করেন কেন?
যাই হোক, আমি নিজে হোমিওপ্যাথির জলন্ত উদাহরণ। একমাত্র আর্নিকা (কাঁটা ছেড়ায় লাগানো) ছাড়া আর কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আমার উপর কোন আছর করতে পারে নাই। আমার হোমিওপ্যাথির উপর অবিশ্বাস আর তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা দেখে আমার জানি দোস্ত ডাঃ জাকারিয়া (মেডিকেল অফিসার, আটঘরিয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) পর্যন্ত আমাকে আর ঔষধ দেয় না।
হোমিওপ্যাথির বেসিক পদ্ধতিটা কি? আমি যদি ভুল না করে থাকি তবে, "যা থেকে রোগের সৃষ্টি সেটা থেকেই নির্মূল।" এই পদ্ধতিতে কোন রোগের জীবানু অতি সুক্ষ পরিমানে রোগীর দেহে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এই তো?
এখন আমার ব্যাক্তিগত মতামত দেই। ধরে নিলাম- মানব দেহ একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। এর এক পক্ষে আছে আমাদের দেহে রোগজীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত এন্টিবডি। অন্য পক্ষে রোগজীবানু। প্রতি নিয়ত দুই পক্ষের যুদ্ধ হচ্ছে। যদি জীবানু জেতে তবে অসুখে পড়তে হবে। এন্টিবডি জিতলে সুস্থ। এবার আসি হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে। আমি আমার দেহে অতি সুক্ষ মাত্রায় ইবেলার জীবানু ঢুকিয়ে দিলাম। শুরু হল যুদ্ধ। যেহেতু কয়েক লক্ষগুন বেশি শক্তিশালী এন্টিবডির সাথে দুর্বল ইবেলার জীবানুর যুদ্ধ, ফলাফল অনুমেয়। এখন আমার এন্টিবডি কি করবে? ইবেলা জীবানুর সাথে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেবে। অনেকটা এরকম। ওখানে জীবানুরা যা করেছে। বা আমাদের এন্টিবডি আরো শক্তিশালি হবে। ফলে, জীবানু হেরে যাবে।
এখন ধরেন, কারো শরীরের রেজিস্টেন্স ক্ষমতা এতই কম যে এন্টিবডি তৈরি করতে ব্যার্থ হল। তখনও কি হোমিও ঔষধ কাজ করবে?
আমার ধারণা, যার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তার উপর ই কাজ করে। আমার মত দুর্বলদের উপর না।
আমাদের শরীরে যে মন টা আছে, তাকে...
বিজ্ঞানের কোন কোন ক্রাইটেরিয়া,
কি কি টেস্ট দিয়ে,
বা কি কি যন্ত্র পাতি দিয়ে,
বা কি কি ক্যামিক্যালস দিয়ে,
বা মন শরীরের ঠিক কোথায় থাকে?
মানুষের মৃত্যুর পর ... মন এর পরিনতী কি হয়?
আপনাকে নিয়ে আর পারা গেল না। মন নামক কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, যা আছে তা হলো মস্তিষ্ক। এর মাঝে বিলিয়ন বিলিয়ন নিউরন যা মুলত আপনার পুরো জীবন নিয়ন্ত্রন করে। আপনার বেচে থাকা মুলত ওই মস্তিষ্ক নামক নিউরন দলার জন্য। ওটা ছাড়া আপনার কোন মুল্য নাই। রাতে ঘুমালে সকালে উঠে যেমন রাতে কিভাবে ঘুমালেন , কয়টা গড়ানি দিলেন সেটা আপনার মনে থাকে না তেমনি আপনার মৃত্যুর পরে আপনার কিছুই মনে থাকে না। কারন আপনার মেমোরি সেলগুলো তো ড্যামেজড ।
এবার আশা যাক ধর্মিয় ফিলোসফিতে, অধিকাংশ ধর্মের মতে আপনাকে মৃত্যুর পর আপনার পুনঃজীবন আছে। কিভাবে আছে সেটা ধর্মগুলো ব্যখ্যা করে নাই। তাই আপাতত বিজ্ঞান নামক ফালতু(?) টপিকেই আপনাকে খুজে বেড়াতে হবে ব্যাপারটা কি।
আরেকটা ব্যাপার হোমিওপ্যাথি কোন সমস্যা না, এদের মেডিসিন কিভাবে কাজ করে তা তারা প্রমান সহ দেখিয়ে দিলেই পারে (প্রমান বলতে আপনার কাকার নানীর সমস্যার সমাধান না, কিভাবে ওই মেডিসিন রাসায়ানিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তা বুঝাচ্ছি)।
বিজ্ঞান একটা ব্যাপক জটিল ব্যাপার। যেখানে বিজ্ঞানের একটি শাখার সাধারন কিছু থিউরি (যাদের ফুলপ্রুপ প্রমান আছে) মাথায় ডুকাতে ধুঁয়া বেরোয় সেখানে আপনি পুরো বিজ্ঞানকে নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছেন। আরে বাপ যতটুকু এখন পর্যন্ত বের হইছে সেটা একটু এপ্লাই করেন না। বড় বড় প্রশ্ন ছুড়ে না দিয়ে কিছু প্রশ্নের সমাধান করেন না, নিউটন , আইন্সটাইন , মেন্ডেল, হ্যাজেন , এডসন, ডারউইন ...... এদের কাছে তো আপানার মত রিসোর্স ছিল না, তারা তো যতটুকু পেরেছে করে গেছে , এবার আপনার পালা। আপানার কাছে কম্পিঊটার নামক ম্যাজিক আছে, এটাকে কাজে লাগান। ইন্টারনেট নামক তথ্য সাগর আছে , ঝাপিয়ে পড়ে কিছু তথ্য ম্যানুপুলেট করুন।
বাংলাদেশে ব্যাপক পরিমান লোক আছে যারা সায়ান্সের ক ও জানে না , এমনকি চুম্বকের যে ২ মেরু আছে তাও জানেনা । কিন্তু মজা কি জানেন এরা সবাই একটা জিনিয়াস (?) আবিষ্কার করে বসে আছে , আর সেটা হচ্ছে কোন জ্বালানি ছাড়া ইঞ্জিন/মোটর/ব্লা ব্লা ব্লা। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা নাকি সরকারী ফান্ডের জন্য কিছু করতে পারছে না, ঘটনা হচ্ছে সবই চাপা বাজি। আরে বেটা যদি আবিষ্কার করেই থাকিশ তাহলে সেটার একটা সিঙ্গেল পিস বানিয়ে পাবলিকরে দেখা , যদি বংগদেশীয় সরকার পয়সা না দেয় তাইলে অন্য দেশের কেউ না কেউ তো দিবে। অতদেশ প্রেম করে কি হবে, একটু বিজ্ঞান প্রেম কর।
তাবিজ-মাদূলি-কবচ-জলপড়ায় সারে কিনা জানি না ,
![]()
আপনার নিজের যদি সেরকম অভিজ্ঞতা থাকে আমাদের সাথে সেয়ার করতে পারেন।
সবই বিকল্প ঔষধ। আর সবকটাই বাতেনী পদ্ধতিতে কাজ করে, কিভাবে কি হয় সঠিক কেউ জানেন না সুতরাং কোনওটাকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উচিত নয়।
এখন আমার ব্যাক্তিগত মতামত দেই। ধরে নিলাম- মানব দেহ একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। এর এক পক্ষে আছে আমাদের দেহে রোগজীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত এন্টিবডি। অন্য পক্ষে রোগজীবানু। প্রতি নিয়ত দুই পক্ষের যুদ্ধ হচ্ছে। যদি জীবানু জেতে তবে অসুখে পড়তে হবে। এন্টিবডি জিতলে সুস্থ। এবার আসি হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে। আমি আমার দেহে অতি সুক্ষ মাত্রায় ইবেলার জীবানু ঢুকিয়ে দিলাম। শুরু হল যুদ্ধ। যেহেতু কয়েক লক্ষগুন বেশি শক্তিশালী এন্টিবডির সাথে দুর্বল ইবেলার জীবানুর যুদ্ধ, ফলাফল অনুমেয়। এখন আমার এন্টিবডি কি করবে? ইবেলা জীবানুর সাথে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেবে। অনেকটা এরকম। ওখানে জীবানুরা যা করেছে। বা আমাদের এন্টিবডি আরো শক্তিশালি হবে। ফলে, জীবানু হেরে যাবে।
এটা একটা আজিব কথা। কারন সুপারম্যান কেবল কমিক/মুভিতেই হয়। যেখানে ভাইরাসের সাথে ক্যাচালে পড়ে আপনার অবস্থা খারাপ , সেখানে আপনি ওই হতচ্ছাড়া ভাইরাস আরেকটু পরিমানে ডুকিয়ে এন্টিবডি বানাতে চাচ্ছেন , এটা কি জোক না ? এটা ধরেন সুস্থ অবস্থায় ট্রাই করা উচিত, একে একে সব জীবানু শরীরে ডুকিয়ে তাদের এন্টিবডি বানাবেন। উইকিতে ছোট্ট একটা লিস্ট আছে এদের দিয়েই শুরু করেন।
সময়ের অভাবে এখনো পর্যন্ত ডাক্তার দেখানো হয় নাই তবে তিনটা পদ্ধতির কথা শুনলাম, যারা পদ্ধতিগুলো বলেছে তারা হান্ডেট পারসেন্ট অভার শিউর যে এই পদ্ধতিতে আচিল যাবেই। যদিও পদ্ধতিগুলো এপ্লাই করি নাই। পদ্ধতিগুলো হলো
১। পানের বোটা মাঝ খান থেকে ভেংগে তার মাঝে চুল লাগাতে হবে। এবার রাতে ঘুমানোর আগে চুন আর পানের বোটা আচিলের উপর কিছুক্ষন ঘষে লাগিয়ে দিলে সকালে উঠে দেখবো আচিল পরে গিয়েছে। তবে এতে একটা সমস্যা আছে- আচিলের স্থানে একটা দাগ চিহ্ন থেকে যেতে পারে।
২। এটা ম্যাছের কাঠি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে অভিজ্ঞ পাবলিকের কাছ থেকে করতে হবে। বাড়িতে, স্কুলে, বিদ্যালয়ে, অফিসে নিজে নিজে করাটা উচিত নয়। এই পদ্ধতিতে সাথে সাথে আচিল নির্মূল হয়ে যাবে। পদ্ধতিটা অনেকটা এমন- একজন ম্যাছের কাঠি জ্বালাবে আর সেই আগুনের ছ্যাকা আচিলের উপর অল্প অল্প করে দিবে। এতে কোন প্রকার ব্যাথা পাবেন না। সম্পূর্ন ব্যাথা মুক্ত। এই রকম জ্বালাও পোরাও পদ্ধতি প্রয়োগ করে আচিল তুলে নিয়ে আসবে।
৩। একটা চুল বড় সাইজের (মেয়েদের মাথায় পাওয়া যাবে অথবা জেমস বন্ডের মাথায়) নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে আচিলটা বেধে দিতে হবে। সকালে উঠে দেখবেন আচিল কেটে পড়ে গিয়েছে।
এতো এতো পদ্ধতি আর কর্মকান্ড শুনে তো মনে হচ্ছে আচিল ফেলানো ওয়ান টুর ব্যাপার। আমার অফিসের পিউনও পারে, ব্যাটা দেখা হলেই প্রতিদিন প্রতিঘন্টায় বলে- স্যার আসেন আচিল ফেলে দেই
দেখি প্রথম পদ্ধতিটা ট্রাই মারবার ইচ্ছে আছে। যদি এতে কাজ না করে তাহলে ডাক্তারের কাছে দৌড় দিবো
আরণ্যক লিখেছেন:ব্রাশু ভাইয়ের মন্তব্য আশা করছি।
ব্রাশু ভাইয়ের ব্রাশ ফায়ার আশা করছি
অন্য অনেকের মতো আমিও ব্রাশু ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হোমিওপ্যাথি যে পদ্ধতিতে কাজ করে বলে দাবি করে, তা বিজ্ঞানের সাথে যায় না— এ ব্যাপারে আমি কনভিন্সড; কিন্তু মানুষের অভিজ্ঞতা তো ভিন্ন কথা বলে!
এতজন লোক থুজার পক্ষে বলছেন - ধরে নিচ্ছি এটা কার্যকরী। থুজার ব্যাপারে আমিও আপনাদের দলে ভিড়লাম।
তবে... Thuja Occaidentalis - এটাকে কোন যুক্তিতে "হোমীওপ্যাথী" চিকিৎসা বলবেন?
থুজা এক ধরণের ঝাউ গাছ (Cedar tree) - মূলতঃ ক্যানাডা ও আমেরিকার কিছু অংশের জঙ্গলে জন্মায়ঃ
উইকী জানাচ্ছেঃ এই থুজা গাছের ঔষধী গুণ সম্পর্কে ক্যানাডায় বাস করা নেটিভ আমেরিকান গোত্র ওজিবওয়ে প্রাচীনকাল থেকেই অবগত। থুজা গাছটিকে তারা তাদের গোত্রের জন্য ঐশ্বরিক উপহার বলে গণ্য করে, গাছটিকে তারা সম্মান করে Grandmother Cedar নামে ডাকে। তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় গাছটি ওতোপ্রোতোঃভাবে জড়িত - গাছের কাঠ দিয়ে ওরা বাসস্থান তৈরী করে, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বাসনকোসন ইত্যাদি বিভিন্ন কুটিরশিল্প-জাতীয় বস্তু তৈরী করে। তবে গাছটির সবচেয়ে বড় ভূমিকা হলো - গাছটির বাকল/কাণ্ড থেকে তাদের নিজস্ব folk medicine তৈরী করে। ওযিবওয়ে গোত্রের লোকেরা গাছটির বাকলের ভেতরের অংশ ও নরম কাণ্ড সিদ্ধ করে স্যুপ বানিয়ে খায় ঔষধী গুণাবলীর কারণে। হাজার হাজার বছর ধরে তারা এই গাছটি ব্যবহার করে চলেছে। এছাড়া গাছটির পাতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন সি আছে - পোস্ট-কলম্বাস যুগে ১৫ শতাব্দীর ফ্রেঞ্চ পরিব্রাজক যাক কার্তিয়ে এই গাছের পাতা তার নাবিকদের স্কার্ভী দূর করতে ব্যবহার করেছিলেন।
বর্তমান বিশ্বে গাছটির কাণ্ড খুব ভালো জাতের কাঠ হিসাবে কেবিন, ফার্ণিচার, দালানের খুঁটি, খামারের বেড়া/পাঁচিল, ক্যানো নৌকা ইত্যাদি তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া থুজা গাছের তেল ব্যাপক ভাবে কসমেটিকস, ফুড/বেভারেজ ইত্যাদি ইণ্ডাস্টৃতে ব্যবহৃত হয়। যেমন - প্রসাধনীঃ স্কিন ক্লেনজার, চুলের স্প্রে, সুগন্ধী সাবান ইত্যাদি তৈরী হয়। পারফিউম/এ্যারোমাথেরাপী-তে সুগন্ধী তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ডিসইনফেক্ট্যান্ট সলিউশন ও পোকামাকড়ের কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ঘরের সুগন্ধী এয়ার ফ্রেশনার এ্যারোসল স্প্রে তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। ত্বকে মাখার বাম (balm) তৈরীতেও এই গাছের তেল ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বেকিং ইণ্ডাস্ট্রীতে বিভিন্ন খাবার, ড্রিংক্স তৈরীর জন্য ফ্লেভারিং এজেন্ট হিসাবেও থুজা ওয়ল ব্যবহৃত হয়।
যাকগে, আবার ওজিবওয়ে-তে ফিরে আসি। ওজিবওয়ে হলো আমেরিকার ৪র্থ বৃহত্তম নেটিভ আমেরিকান ট্রাইব; সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে নাভাহো, চেরোকী ও লাকোটা ইণ্ডিয়ানদের পরেই এদের স্থান। এদের আদি উৎপত্তি কখন হয়েছিলো তা জানা যায় না। ইন্টারেস্টিংলী, ওজিবওয়ে-দের প্রাগৈতিহাসিক প্রাচীন লোকগাঁথা বলছে তাদের আদিপুরুষরা নাকি দক্ষিণ এশিয়া (ইন্দোচায়না+জাপান+কোরিয়া) থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় মাইগ্রেট করেছিলো।
এটা মডার্ণ সাইণ্টিফিক হাইপোথিসিসের সাথে একমত। প্রচলিত হাইপোথিসিস হলোঃ আনুমানিক ৩৫ থেকে ২৫ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়া থেকে যাযাবর মানুষ বেরিং ল্যাণ্ডব্রীজ পাড়ি দিয়ে উত্তর আমেরিকায় প্রবেশ করে। লাস্ট আইসএইজ শেষ পর্যায়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৫-২০ হাজার বছর আগে বেরিং প্রণালী সাগরের তলে বিলীন হয়ে যায় - এতে করে প্রাগৈতিহাসিক মানুষের দুই পরিবার অন্ততঃ ১০-১৫ হাজার বছরের জন্য আলাদা হয়ে যায়।
১৪৯২ সালে কৃস্টোফার কলম্বাস নামক এক নৃশংস কৃমিনালের মাধ্যমে এই দুই হোমো স্যাপিয়েন্স পরিবারের পুনরায় মিলন ঘটে (সম্ভবতঃ বহু শতাব্দী আগেই আমেরিকায় পা ফেলেছিলো ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন এক্সপ্লোরার-রা, তবে কলম্বাসের মাধ্যমেই প্রথম চিরস্থায়ী যোগাযোগ স্থাপিত হয়)
তাহলে, খুব কনজারভেটিভলী অনুমান করলে ধরে নেয়া যায় যেঃ ওজিবওয়ে গোত্রের মানুষ সম্ভবতঃ ৫-১০ হাজার বছর ধরে থুজা গাছের ঔষধী গুণ সম্পর্কে অবগত ছিলো, এবং অসুখবিসুখ সারাতে গাছটির বাকল, তেল ইত্যাদি ব্যবহার করে আসছিলো।
পক্ষান্তরে, সিউড্যোসায়ন্স হোমিওপ্যাথী-র জন্ম হয়েছে ১৭৯৬ সালে।
থুজা-র ঔষধী গুণ কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। মাত্র ২ শতাব্দী আগে আবিষ্কৃত একটি (প্রমাণিত ভ্রান্ত) ধারণা/দর্শন দৃশ্যপটে আবির্ভূত হবার পর কিভাবে ওই প্রাচীন ভেষজের সমস্ত কৃতিত্ব হাইজ্যাক করে নেয়? সিরিয়াসলী?
থুজাকে যদি কিছু বলতেই হয়, তবে হার্বাল মেডিসিন, ন্যাচারাল মেডিসিন, ট্র্যাডিশনাল/ফোক মেডিসিন বলতে অসুবিধা কোথায়? এ্যামাযন ও ইবে-তে সার্চ করে দেখলাম বিভিন্ন ন্যাচারোপ্যাথ কোম্পানীও থুজার তেল বিক্রি করছে। হারবাল মেডিসিনও বলা যায়।
তবে হ্যাঁ, হোমীওপ্যাথী বা ন্যাচারোপ্যাথী-র ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে থুজা তেল বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে । থুজার সুফল (ও কুফল) সারা পৃথিবীর মানুষ ভোগ করছে - এর ক্রেডিট নিঃসন্দেহে হোমিও/ন্যাচারো/হার্বাল-রা পেতেই পারে।
তবে শুধুমাত্র সাপ্লাই দিলেই কোনো বস্তুর সমস্ত ক্রেডিট তাদের হয়ে যায় কি? উদাহরণস্বরুপঃ Stevia rebaudiana গাছের পাতা থেকে নেয়া Stevia তেল - ব্লাড শুগার মেইনটেইন করতে খুব কার্যকরী। সারা পৃথিবীতে চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিখ্যাত + অখ্যাত অসংখ্য কোম্পানী স্টিভিয়া বাজারজাত করছে। বাংলাদেশেও acme কয়েক বছর ধরে স্টিভিয়া ড্রপ ছেড়েছে (দামঃ ১০০/-.... তবে এদের প্রডাক্ট ভালো লাগে নি, মাত্র এক ড্রপ বেশি দিলে জঘন্য রকমের তিতা হয়ে যায় চা, আর রেগুলার ডোজেও একটা ক্ষীণ তিতা ভাব থাকে যেটা মুখের ভেতরে হিট করে ) কিন্তু, সারা দুনিয়ায় কোথাও খুঁজে পাবেন না যে স্টিভিয়াকে মডার্ণ মেডিসিন (or any medicine for that matter) নিজের কৃতিত্ব দাবী করেছে। ভাগ্যিস, হোমিও-হাতুড়েদের হাতে পড়ার আগেই বিভিন্ন সেক্টরে এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছিলো, নইলে স্টিভিয়া-ও হাইজ্যাক হয়ে যেতো।
খাবার পানিতে কিছু মিনারাল সল্ট মিক্স করে বোতলজাত করে বেচলেই তা আকুয়াফিনা-র আবিষ্কার বা কৃতিত্ব হয়ে যায় না। আকুয়াফিনা একটি বটলিং কোম্পানী। থুজা, আর্নিকা-র সাপ্লায়ার হোমীওপ্যাথী-ও বেসিকালী এক ধরণের বটলিং ইন্ডাস্ট্রী ছাড়া আর বেশি কি বলবেন? তারা ডিস্টিল্ড ওয়াটারের পাশাপাশি কিছু ডিস্টিল্ড (ন্যাচরাল) ওয়েল বিক্রির ব্যবসাও করে।
থুজা-র ঔষধী গুণের তারিফ করবেন? তবে থুজা অক্সাইডেন্টালীস গাছটিকে কৃতিত্ব দিন যে মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের নিরবিচ্ছিন্ন বিবর্তনের মাধ্যমে কেমিক্যাল মলিকিউলগুলো ডেভেলপ করেছে নিজস্ব প্রয়োজনে - ইনসিডেণ্টালী তা মানুষেরও উপকারে আসছে। থুজা-র ঔষধী গুণাবলী আবিষ্কারের ক্রেডিট দিতে চাইলে দিন ওযিবওয়ে গোত্রের পূর্বপুরুষদের - যারা হাজার হাজার বছর আগে এই গাছটির বিভিন্ন গুণাগুণ লক্ষ করেছে, আর সেইমতো পৃমিটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিও তৈরী করেছে। হাহনেম্যান? ভ্যাট!
তেমনি আর্নিকা আসে ইউরোপ, ক্যানাডার আর্ণিকা মন্টানা গাছের পাতার তেল থেকে। ক্যানাডার নেটিভ গোত্রগুলো বহু শতাব্দী থেকে এই তেলের ঔষধী গুণ ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু ওটাও নাকি "হোমিওপ্যাথী" ঔষধ
কিছুদিন আগে হোমীওপ্যাথীর পক্ষে একজন দিলেন ক্যালেন্ডুলা-র উদাহরণ। গাঁদা ফুল কি কারো সম্পত্তি? কিছু কোম্পানী গাঁদা ফুলের নির্যাসের কন্সেন্ট্রেট বিক্রি করছে, ওমনি তা হোমিও হয়ে গেলো? ছোটোবেলা থেকে আনন্দমেলা পত্রিকায় দেখে এসেছি বোরো ক্যালেঞ্জুলার বিজ্ঞাপন - গাঁদা ফুল কি তবে গোদরেজের পারিবারিক সম্পত্তি?
তবে তো নিমগাছকেও তাহলে বলতে হয় কোলগেটের (নিম টুথপেস্ট) মেডিসিন? হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয়রা নিমগাছ থেকে ঔষধ তৈরী করে ব্যবহার করছে। কিন্তু ১০ বছর আগে নতুন ফ্লেভারের টুথপেস্ট ছেড়েছে কোলগেট। থুজা যদি হোমিও হয়, তবে নিম কেন বাবূল-কোলগেটদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হবে না?
৭,০০০ বছরের বেশিকাল ধরে এশিয়ার মানুষ রসুন ব্যবহার করে আসছে। বাংলাদেশে ইবনেসিনা শুকনো রসুনের ট্যাবলেট বিক্রি করে - কোলস্টেরল কমানো, হার্টের সুরক্ষা, ক্যান্সারে ঝুঁকি কমানো ইত্যাদি উপকারের কথা ওদের বাক্সে লেখা থাকে। কই, কখনো কি শুনেছেন গারলিক পলিসালফাইড যৌগগুলো আবিষ্কারের ক্রেডিট মডার্ণ মেডিসিন দাবী করেছে?
মেডিসিন বইতে মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্র্যাণবেরী জ্যুস রেকমেণ্ড করেছে। (ক্র্যাণবেরী পাল্পে এ্যাণ্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টী আছে) তবে কি ক্র্যাণবেরী জ্যুস মডার্ণ মেডিসিন হয়ে গেলো?
তাছাড়া, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রাকৃতিক কোনো বস্তুর ওপর কেউ প্যাটেণ্ট করতেই পারে না। অতএব, প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত কোনো জৈবরাসায়নিক পদার্থকে "হোমিওপ্যাথীক" লেবেল দেয়াটাই কেমন নয় কি? হাহনেম্যান না থাকলে থুজা, আর্নিকা, ক্যালেণ্ডুলা, নীম ইত্যাদি কি মানুষের অগোচরে রয়ে যেতো? হার্বাল, ন্যাচারোপ্যাথ-রা কি এসব ঔষধী তেলের প্রসার করতো না?
আধুনিক মেডিসিনেও অনেক ঔষধ, চিকিৎসা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে গবেষণাগারে তা থেকে আরো নতুন নতুন সিন্থেটিক ড্রাগ/কেমিকেল ডেভেলপ হয়েছে। কয়েক দশক আগেও ডায়াবেটিস রোগীদের ইঞ্জেকশনের ইনসুলিন আসতো শুকর জবাই করে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নির্গত করে। এখন ল্যাবরেটরীতে হিউম্যান ইনসুলিনের সিন্থেটিক এ্যানালগ তৈরী হয় - বিভিন্ন ধরণের লং, শর্ট, ইন্টারমিডিয়েট এ্যাকটিং ইনসুলিন তৈরী করা যায় ইচ্ছামতো।
আমাদের সর্বপ্রথম এ্যান্টিবায়োটিকঃ পেনিসিলিন এসেছে ছত্রাক থেকে। কিন্তু এখন ওই সোর্স থেকেই নতুন নতুন জীবানুনাশক মলিকিউল তৈরী করা হচ্ছে যার অস্তিত্ব আগে প্রকৃতিতে কখনো ছিলোই না।
মডার্ণ মেডিসিনের যাত্রাও শুরু হয়েছে হোমিওপ্যাথীর মতো একই উৎস থেকে - প্রকৃতিমাতার সাহায্য নিয়ে। কিন্তু আধুনিক মেডিসিন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা সাইন্টিফিক মেথডের মাধ্যমে নিজস্ব উদ্ভাবনী জগৎ গড়ে নিয়েছে, প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এখন অনেক কম।
পক্ষান্তরে হোমিওপ্যাথী? ২০০ বছর আগে স্যামুয়েল হাহনেমান থুজা-র তেল বোতলজাত করার আইডিয়া আবিষ্কার করেছিলেন। এই ২ শতকে হোমিওপ্যাথী ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে! ২০০ বছর আগে কাঁচের শিশিতে পাওয়া যেতো, এখন প্লাস্টিকের বোতলে পাওয়া যায়! ১০,০০০ বছর আগের অগামগা ইন্ডিয়ানরা সারাদিন ধরে গাছ ছিলে ঘন্টার পর ঘন্টা গাছের বাকল সেদ্ধ করে স্যুপ বানিয়ে খেতো, আপনি এখন আক্ষরিক অর্থেই "ফ্যাল-কড়ি-মাখো-তেল" স্টাইলে মিনিটের মধ্যে তৈল মালিশ করতে পারেন! জয়তু হো-হো-হোমিওপ্যাথী! বাদবাকী বৈজ্ঞানিক ফিল্ডের গবেষণা/উন্নয়নগুলোও যদি হোমিও স্টাইলে চলতো, তবে কম্পিউটার আবিষ্কার আরো ১০,০০০ বছর দূরে, মানুষের চাঁদে পা রাখা আরো ২০,০০০ বছর, আর এই প্রজন্ম ফোরাম ৩০,০০০ বছর ভবিষ্যৎে সম্ভব হতোই হতো!
দু'টি প্রতিযোগী বিশ্বদর্শনের মাঝে পার্থক্য এখানেই। একটি শাখা দুড়দাড় করে আগিয়ে যাচ্ছে, ভিক্টোরিয়ান খোলস ছেড়ে এখন স্পেইজএইজে প্রবেশ করছে, ন্যানোমেডিসিনের যুগান্তকারী বিপ্লবের দরজায় কড়া নাড়ছে। আর অন্যটি? ডাইনোসরের মতো স্থবির হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে আছে। সার্ভাইভাল অব দি ফিটেস্ট - ইন্টেলেকচুয়াল বিবর্তনের ন্যাচারাল সিলেকশন কোন শাখাটিকে প্রেফার করছে তা বোধকরি না বললেও চলবে।
একসময় ভারতীয় উপমহাদেশে শুধুমাত্র মেডিকেল ইস্কুল পাশ করলেই বিরাট ডাক্তার হওয়া যেতো। কিন্তু যুগ পাল্টেছে। এমবিবিএস পাশ করার পরেও টানা ১০-১৫ বছর পড়াশোনা করে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করতে হয়।
বাংলাদেশে প্লেইন এমবিবিএস পাশ কিছু ডাক্তার সাইনবোর্ডে নিজের নামের পাশে MBBS, BCS (এটা কোনো ডিগ্রীই না - একটা আনরিলেটেড পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষামাত্র), PGT (এটাও কোনো স্বীকৃত ডিগ্রী মোটেই না, বড়জোর সরকারী/টারশিয়ারী লেভেলের হাসপাতালে ব্যক্তিটি কয়েক মাস কাজ করেছিলো তার রেফারেন্স বলা যায়) ইত্যাদি বাহারী সাফিক্স জুড়ে রাখে।
কিছু কিছু প্রায়-বাতিল তত্ব এর-ওর থেকে মালমসলা ধার নিয়ে নিজের নামে ক্রেডিট হাইজ্যাক করে ইনফিরিয়রিটি কম্প্লেক্স ঢাকার চেষ্টা করে...
Give credit where credit is due.
পিএসঃ আ্ঁচিল (skin tag) দূর করার জন্য কাটাকুটি, হোমিও-ভোমিও, হার্বাল-ধুর্বাল কিছুরই প্রয়োজন হয় না। শুধু একটা রাবারব্যাণ্ড (আয়তনে ছোটো হলে সুতা দিয়েও কাজ হবে) কষে টাইট করে বেঁধৈ রাখুন বেয়াড়া বস্তুটির গোড়ায়; কিছুদিন পরে এমনিতেই খসে পড়বে। এটা সম্ভবতঃ অনেক প্রাচীন পদ্ধতি, তবে মেকানিজম ব্যাখ্যা করেছে আধুনিক মেডিসিনঃ রাবারব্যাণ্ড বা সূতোর শক্ত বাঁধন টরনিকেট-এর (tourniquet) কাজ করেঃ ওই অংশটিতে রক্ত চলাচল ব্লক করে দেয়। রক্তের মাধ্যমে পুষ্টিদ্রব্য না পেয়ে সেখানকার কোষগুলো মারা পড়ে - ফলে কিছুদিন পরে ডেড টিস্যুর খণ্ডটি খসে পড়ে। এখন এই ট্রিকসটাকে কি মডার্ণ মেডিসিনের আবিষ্কার বলবেন?
পিপিএসঃ দুনিয়ার হোমিওপ্যাথিস্টদের বিশেষ হানিম্যান অঙ্গের গোড়ায় রাবারব্যাণ্ড মেথড প্রয়োগ করে গবেষণা করে দেখা যেতে পারে... তাতে করে ইবোলা কিউর না হলেও অন্ততঃ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জনসংখ্যা সমস্যার কিঞ্চিৎ সমাধান হবে।
পিপিপিএসঃ ডেডু মিয়ার লিংকে দেখলাম জনৈক হোমিওপ্যাথিস্ট এই অমৃত বচন প্রচার করতেছেঃ
আঁচিল বা এজাতীয় উদ্ভেদ সাইকোসিসের প্রধান লক্ষণ। সুতরাং আঁচিল বা আঁচিল সদৃশ উদ্ভেদে এন্টি সাইকোটিক থুজাই প্রধান মেডিসিন। হোমিওপ্যাথি যেহেতু মায়াজমেটিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, তাই এন্টি সাইকোটিক হিসেবে প্রথমেই থুজার কথা স্মরণ করা উচিৎ।
@পলু-দাঃ আপনি সত্বর হেমায়ুতপুরের টিকিট কেটে ওখানে নিজ উদ্যোগে ভর্তী হয়েই যান! প্রজন্ম ফোরামের লোকজন খুব দুষ্টু - আপনাকে আঁচিলের নাম করে পাগলের ঔষধ খাওয়াচ্ছে
এবার amilee ভাইয়ের বক্তব্য আশা করছি
হোমিওপ্যাথির বেসিক পদ্ধতিটা কি? আমি যদি ভুল না করে থাকি তবে, "যা থেকে রোগের সৃষ্টি সেটা থেকেই নির্মূল।" এই পদ্ধতিতে কোন রোগের জীবানু অতি সুক্ষ পরিমানে রোগীর দেহে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এই তো?
এখন আমার ব্যাক্তিগত মতামত দেই। ধরে নিলাম- মানব দেহ একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। এর এক পক্ষে আছে আমাদের দেহে রোগজীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত এন্টিবডি। অন্য পক্ষে রোগজীবানু। প্রতি নিয়ত দুই পক্ষের যুদ্ধ হচ্ছে। যদি জীবানু জেতে তবে অসুখে পড়তে হবে। এন্টিবডি জিতলে সুস্থ। এবার আসি হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে। আমি আমার দেহে অতি সুক্ষ মাত্রায় ইবেলার জীবানু ঢুকিয়ে দিলাম। শুরু হল যুদ্ধ। যেহেতু কয়েক লক্ষগুন বেশি শক্তিশালী এন্টিবডির সাথে দুর্বল ইবেলার জীবানুর যুদ্ধ, ফলাফল অনুমেয়। এখন আমার এন্টিবডি কি করবে? ইবেলা জীবানুর সাথে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেবে। অনেকটা এরকম। ওখানে জীবানুরা যা করেছে। বা আমাদের এন্টিবডি আরো শক্তিশালি হবে। ফলে, জীবানু হেরে যাবে।
আপনি হোমিওপ্যাথীর সংক্রান্ত যে কমনসেন্স লজিক দিয়েছেন - তা ব্যবহারে হোমিওপ্যাথী ব্যর্থ হলেও, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বিগত কয়েক শতাব্দী ধরেই তার সফল প্রয়োগ করে আসছে এবং প্রতিনিয়ত করে চলেছে।
আজকে সারা পৃথিবী জুড়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ছোট্ট শিশুদের যে পোলিও, মীযলস, মামপ্স, ডিপথেরিয়া, রোটা, বিসিজি, টাইফয়েড ইত্যাদি ভ্যাক্সিন দেয়া হয় তা আর কিছুই নয় - ওই রোগ সৃ্ষ্টিকারী সংশ্লিষ্ট প্রজাতীর ভাইরাসগুলোর নিষ্ক্রিয় ককটেল।
live attenuated vaccine - এর মধ্যে এ্যাক্টিভ ("live") ভাইরাস থাকে, কিন্তু জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে ভাইরাসগুলোর প্যাথোজেনিসিটি (রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা) সরিয়ে ফেলা হয়। ওই প্রাণঘাতী তবে নির্বিষ ভাইরাসগুলো আমরা deliberately বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করাই। আর এর মাধ্যমে বাচ্চাদের শরীরের ইম্যিউন সিস্টেমকে চিনিয়ে দেই তাদের শত্রু কারা কারা। প্রাণী দেহের ইমিউন সিস্টেমের হিস্টোকেমিকাল মেমরী আছে - ভাইরাসের কেমিকেল সিগনেচার ওরা স্মৃতিবদ্ধ করে রাখে। ঝুঁকিহীন বা স্বল্পমাত্রায় ক্ষতিকর ভাইরাসের ওপর প্র্যাকটিস করিয়ে আমরা শিশুদের প্রস্তুত করি - যেন ভবিষ্যৎ জীবনে ওই বিষাক্ত, প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণে সে হেরে না যায়। শত্রুকে সম্পর্কে অবগত তার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকে ওসব ভাইরাস দেখামাত্র ধ্বংস করে দিতে।
LIKE CURES LIKE - মডার্ণ মেডিসিন ওই তত্বের সফল প্রায়োগিক প্রমাণ দিয়েছে এবং প্রতি মুহুর্তে দিয়ে চলেছে। আপনি, আমি আমরা সবাই যে সুস্থভাবে বেঁচে আছি ও জীবনধারণ করছি - এটাই আধুনিক মেডিসিনের উপযোগীতার অকাট্য প্রমাণ।
১৯৫৭ সালে ডঃ জোনাস সল্ক পোলিও ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে পোলিও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিলেন। তার পর অজস্র বিলিয়ন শিশু এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
আফ্রিকা বা দূর কোনো মহাদেশ নয়, আমাদের বাংলাদেশেরই ছবি...
ওখান থেকে এখানেঃ
বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত দেশ হিসাবে স্বীকৃত - তবে মাঝে মাঝে পোলিও সংক্রমণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ কয়েক বছর আগে অমিত নামে একটি বালক ওয়াইল্ড পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিলো - ওই ঘটনা সবারই হয়তো মনে আছে। যা হোক, একটি দেশ থেকে পোলিও-র মতো ভয়ানক রোগ সমূলে উৎখাত করার মতো দুর্লভ কৃতিত্ব কোন চিকিৎসা পদ্ধতি দেখিয়েছে? নিশ্চয়ই হোমীওপ্যাথী নয়?
পোলিও-র আগে ছিলো আরো ভয়ানক, আরো মারাত্বক মহামারী ভাইরাস।
স্মলপক্স.... Bangladesh in the 70s:
Child infected with smallpox. Bangladesh, 1973.
smallpox - ১০ হাজার বছর ধরে হোমো স্যাপিয়েন্সদের ঝাড়ে বংশে গুঁড়িয়ে দিয়ে নির্মূল করে আসছিলো এই ভয়ানক ভাইরাল রোগটি। ভ্যারিওলা প্রজাতীর এই মারাত্বক ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাননি পৃথিবীর কেউই। প্রাচীন মিশরের ফ্যারো ৫ম রামসেস-এর মমীকৃত দেহেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। চীন, জাপান, ভারত, ইউরোপ, আমেরিকার সম্রাট থেকে ভিক্ষুক - সবাই আক্রান্ত হয়েছেন। স্মলপক্সে আক্রান্ত শিশুর ৮৫%ই নিশ্চিৎ মারা যেতো, বড়দেরও ৬০%-৮০% মারা যেতো। আর যারা বেঁচে থাকতো, তারা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতো। বিভিন্ন লিম্ব ডিফর্মিটি নিয়ে ভিক্ষা করে কাটাতে হতো। পৃথিবীর সমস্ত অন্ধত্বের এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী ছিলো শুধুমাত্র এই একটি রোগ। বিংশ শতাব্দীতে ৩০ থেকে ৫০ কোটী মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী স্মলপক্স। শুধুমাত্র ১৯৬৭ সালে WHO-র একটি সমীক্ষায় দেড় কোটি স্মলপক্স আক্রান্ত রোগী পেয়েছিলো, তার মধ্যে ২০ লাখই মারা গিয়েছিলো।
৭০-এর দশকে শুধুমাত্র হানাদারদের কবল থেকে দেশ স্বাধীন করে নি মুক্তিবাহিনী। আরো এক ভয়ানক রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়েছিলো দেশ...
১৯৭৬: The Last Case
Rahima Banu, the last case of smallpox in Bangladesh, 1976.
1979 - অবশেষে পৃথিবী থেকে স্মলপক্স চিরতরে নির্মূল করেছে বলে ঘোষণা করে WHO! একটি রাশান ল্যাবরেটরীতে এখনো সংরক্ষিত আছে স্মলপক্সের একমাত্র অবশিষ্ট স্যাম্পল। স্মলপক্সের চূড়ান্ত ধ্বংস - আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের যৌক্তিকতা ও সাফল্যের দলিল।
এই সাফল্য রাতারাতি আসে নি। বিপদ মুক্তির পথ প্রথম দেখিয়েছিলেন ১৭ শতাব্দীর একজন গ্রাম্য চিকিৎসক।
১৭৯৬ সালে, হানিম্যান তাঁর বোম্বাস্টিক বকোয়াজ প্রকাশ করার বছর তিনেক আগে, স্কটিশ চিকিৎসক ডঃ এডওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner, FRS, 17 May 1749 – 26 January 1823) ) তাঁর এক ভৃত্যের ৮ বছরের ছেলে জেমস ফিপসের ওপর একটি বিদঘুটে এক্সপেরিমেণ্ট করেছিলেন।
ওই এক্সপেরিমেণ্ট এখন মানুষের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আজকের দিনের মেডিকাল এথিকস বিবেচনা করলে একটি শিশুর ওপর এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা করা স্রেফ বর্বর বলে মনে হবে; তবে ১৭ শতাব্দীতে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ স্মলপক্সের প্রকোপে অকাতরে মৃত্যু বরণ করছে, সেই ব্যাকগ্রাউণ্ডে এরকম এক্সপেরিমেণ্ট খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
জেনার লক্ষ করেছিলেন, স্মলপক্সের একটা জাতভাই প্রজাতী ফার্মের গরুদেরও আক্রান্ত করে। ইংলিশ মিল্কমেইডরা গরু লালন-পালন করতে গিয়ে তাদের অনেকে কাউপক্সে আক্রান্ত হয়ে সামান্য অসুস্থ হয়, আবার সেরে উঠে। জেনার লক্ষ করলেন - এরা আর কখনো স্মলপক্সে আক্রান্ত হয় না। ১৭৯৬ সালে একটি আক্রান্ত গরুর ফোস্কার পুঁজ থেকে কাউপক্স সংগ্রহ করে বালক জেমস ফিপসের হাতে তা ইনজেক্ট করলেন জেনার। শিশুটি হালকা পক্সে আক্রান্ত হলো, আবার সেরেও উঠলো। যা ভেবেছিলেন তাই, ওই ছেলেটি স্মলপক্স থেকে সম্পূর্ণ ইম্যিউন হয়ে গেলো। মানুষের ইতিহাসের প্রথম vaccine-এর সৃষ্টি হলো! ল্যাটিন vacca শব্দের অর্থ "গরু"
১৭৯৭ সালে রয়াল সোসাইটিতে তাঁর আবিষ্কারের ব্যাপারে একটি থিসিস সাবমিট করেন জেনার। কিন্তু চারিদিক থেকে অপদস্থ হন। লণ্ডনের বড়োবড়ো চিকিৎসকরা কেউ পাত্তাই দেন নি। যেখানে প্রভাবশালী প্রতিভারাই ঘায়েল হয়ে যাচ্ছে এক মারাত্বক রোগের কুলকিনারা করতে না পেরে, সেখানে অজ পাড়াগাঁ থেকে আসা এক গ্রাম্য মুন্না ভাই কিনা এসে বলে সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে!
প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারপর টানা ২ বছর অনেক শিশুর ওপর পরীক্ষা করে ডেফিনিট ফলাফল প্রমাণ করে দেখান জেনার। এমনকি নিজের ১১ মাসের সন্তানকেও কাউপক্সে আক্রান্ত করে ভ্যাক্সিনেট করেন্।
কিন্তু প্রথম দিকে তাকে সবাই অগ্রাহ্য করছিলো। বিশেষ করে ধর্মগুরুরা জেনারের বিরোধীতা করছিলেন - মানুষের পাপাচারের ঈশ্বর প্রদত্ত শাস্তি হলো এই মহামারী, আর এটাকে সারানোর আস্পর্ধা দেখিয়ে খোদ গডের সাথে পাঙগা নিচ্ছে কোন বেয়াকুফ!? পরে যখন জেনার প্রমাণ করলেন তাঁর পদ্ধতির কার্যকারীতা, তখন শুরু হলো যাজকদের আরেক দফা হাহাকার - মানব শরীর ঈশ্বরের শ্রেষ্ট সৃষ্টি, এটার মধ্যে নিম্নবর্গের প্রাণীর অশুচি প্রবেশ করিয়ে অপবিত্র করা?!?! জেনারকে কটাক্ষ করে একটা ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুনও প্রচারিত হলো যেখানে দেখানো হয়েছিলো ভ্যাক্সিনেট করা শিশুর ধড় থেকে গরুর মাথা গজিয়েছে! (রোগবালাই নির্মূলে ধর্মব্যবসায়ীদের ধানাইপানাই, বাধাগ্রস্ত করা এই বিংশ শতাব্দীতেও টিকে আছে। প্রতি বছর আফ্রিকায় লক্ষ লক্ষ শিশু এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়। এইডস রোধে ব্যর্থতার একটি সরাসরি কারণ হলো ক্যাথলিক চার্চগুলো খোলাখুলিভাবে কণ্ডোম ব্যবহার তথা নিরাপদ মিলন নিরুৎসাহিত করে।)
যা হোক, অবশেষে সত্যের জয় হলো। ইউরোপ জুড়ে জেনার ভ্যাক্সিনের সাফল্যের খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। জেনার বিখ্যাত হয়ে উঠলেন। তিনি এমনকি দুই চিরশত্রু ইংল্যাণ্ড ও ফ্রান্সকে একই ঘাটে আনতে সক্ষম হোন। ইংরেজ ও ফরাসী - একে অপরের নাম শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে - ওই সময়েই জেনারের বিপ্লবসৃষ্টিকারী আবিষ্কারের কথা শুনে নেপোলিয়ন বাধ্য হন ইংলিশ ডাক্তারকে ফ্রান্সে আমণ্ত্রণ জানাতে। স্কটিশ ডাক্তারের সাফল্যে অভিভূত হয়ে তিনি তাঁকে সম্মানপদকও দিয়েছিলেন।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেনার তাঁর ভ্যাক্সিনের কার্যকারীতা উন্নয়ন করতে ব্যস্ত ছিলেন।
হাজারো গোত্রপতি, রাষ্ট্রপ্রধান, সমাজসেবক, সমাজপতি, ধর্ম প্রবর্তক, প্রচারক, গুরু, বিপ্লবী, বীর যোদ্ধা, সমরনায়ক - সকলকে মিলিত করে সকলের সম্মিলিত অর্জনকে একত্রিত করলেও যে উচ্চতায় পৌঁছাবে না, স্কটল্যাণ্ডের এক নাম না জানা অখ্যাত গ্রামের এই এক গাইঁয়া চিকিৎসক একাই সেই এভারেস্টকেও টপকে গিয়েছিলেন।
বিগত ২ শতাব্দী ধরে, আনুমানিক ১০ বিলিয়ন বা ১,০০০ কোটি মানুষকে প্রায় নিশ্চিৎ ভয়ানক কষ্টকর মৃত্যু, আর নয়তো জীবনভর পঙ্গুত্বের মারাত্বক অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
পৃথিবীর কোনো সমাজব্যবস্থা, কোনো ধর্ম, কোনো মতবাদ, কোনো আবিষ্কার, কোনো প্রযুক্তি এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতো বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে নি, এ্যাতো ব্যাপকভাবে সমগ্র পৃথিবীজোড়া বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের জীবনকে সরাসরিভাবে প্রভাবিত করতে পারে নি। স্কটল্যাণ্ডের এক অজপাড়াগাঁয়ের এক ভিলেজ ডক্টর ঠিক তাই করেছিলেন।
এডওয়ার্ড জেনারের একটা ছবি না দিলেই নয়.... জেনারের কোনো ফোটো নেই, তবে বেশ কিছু পোর্ট্রেট আছে...
Edward Jenner - father of immunology - one of the greatest heroes of mankind:
১০,০০০ বছরের বেশি কাল ধরে রাজত্ব করতে থাকা এক দীর্ঘস্থায়ী প্রাণঘাতী অভিশাপ থেকে তিনি মুক্ত করেছিলেন আমাদের। সকাল বিকাল পাঁচবার নিয়ম করে তাঁর কির্তী আমরা কেউ স্মরণ করি না, তাঁর নাম কেউ জপ করি না, তাঁর স্মৃতিতে কোনো চার্চ বা সিনাগগ প্রতিষ্ঠা করি না। কিন্তু তাঁর অবদান ছড়িয়ে আছে বিশ্বের কোণে, প্রতিটি সুস্থ মানুষের মধ্যে।
২০০ বছর আগের এক বিকেলে মাঠ থেকে এক পিচ্চিকে ধরে এনে ইনজেকশনটা না মারতেন ডঃ জেনার, তবে কেমন হতে পারতো? আপনি-আমি তো ছেড়েই দিলাম, হয়তো আমাদের অনেকেরই বাপ-দাদাদেরও জন্মই হতো না। কয়েক জেনারেশন আগেই আমাদের অনেকের পূর্বপুরুষরা হয়তো সলিল সমাধিস্থ হয়ে পড়তেন, নয়তো বংশবিস্তারে অনুপযোগী হয়ে নিজ বংশের শেষ সদস্য হিসাবে বাকী জীবনটা পার করে দিতেন। পৃথিবীটা অন্যরকম হতো নির্ঘাত। অবশ্য আগে হোক পরে হোক কেউ না কেউ নিশ্চয়ই ভাইরাস ঠেকানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেই ফেলতো - স্ট্যাটিসটিকালী এটা হবার সম্ভাবনা জোরালো। আবার এমনও হতো পারতো, ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে বাড়তে মানবজাতীর কার্যক্ষম সদস্য সংখ্যা এতই কমে আসলো যে.... ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর প্রায় ১০০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিগত ২০ শতাব্দীতেই মাত্র ৭০ বছরে প্রায় ৫০ কোটী মানুষ হত্যা করেছে এই ভাইরাস, অতএব অসম্ভব কিছু নয়....
সে যাকগে, কেউ যদি খুঁজলী-পাঁচড়া-আঁচিল-পেটব্যথা ইত্যাদি মামুলী চিকিৎসার দোহাই দিয়ে হোমীওপ্যাথীর স্তুতি গাইতে চান, আর একের পর এক গুরুতর সমস্যা জয় করতে থাকা অন্য একটি ধারার চিকিৎসাপদ্ধতির কেশোৎপাটন করতে চান তা করতেই পারেন
but know this: every one of us alive today, and all the untold billions that will come after us, the very fact that we are alive and living a good life, is the ultimate testament to the boundless blessings of modern medicine....
পিএসঃ গত কয়েকমাসে ইবোলার আক্রমণে মারা গেছে ৪,০০০ এর বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের সাথে ফ্রণ্টলাইনে যুদ্ধ করে একে একে মারা যাচ্ছে ডাক্তার, নার্স, হিউম্যানিটেরিয়ান এইড ওয়ার্কাররা। পশ্চিম আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো এদেরকে রাষ্ট্রীয় বীর বলে মর্যাদা দিয়েছে। নিশ্চিৎ মৃত্যু জেনেও এরা সব কিছু পেছনে রেখে এগিয়ে যান, তখন হানিম্যানওয়ালারা কোথাকার বাঘসিংহ মারছে বলুন তো দেখি? ও আচ্ছা! এনারাও তো ইবোলার এ্যায়সী কি তেয়সী করে দিচ্ছেন
সিরিয়াসলী, জ্ঞাত ইতিহাসে মনে হয় না একসাথে এতগুলো এমন মোক্ষম সুযোগ আর এসেছে। আফ্রিকায় তাণ্ডব করছে ইবোলা, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি। মধ্যপ্রাচ্যে মার্স। এশিয়ায় ম্যালেরিয়া, মাঝেমাঝে সার্স। আমেরিকা, ইউরোপে মাঝে মাঝে সোয়াইন। কোনো মতবাদের ভেতর যদি সত্যিই সলিড, ইফেক্টিভ কিছু থাকে, তবে তা প্রমাণ করার জন্য এর চেয়ে ভালো অবস্থা আর বোধকরি হয় না। হোমিওপ্যাথিস্টরা এই সুযোগ লুফিয়ে নিচ্ছেন না কেন? এতোগুলো ভাইরাস, জীবাণু-র ক্যাটালগ থরে থরে সাজানো - অন্ততঃ একটা হলেও খতম করে দেখাচ্ছে না কেন হানিম্যানিস্টরা?
"like cures like"
"first they ignore you, then they laugh at you, and then they bury you"
পিএসঃ আ্ঁচিল (skin tag) দূর করার জন্য কাটাকুটি, হোমিও-ভোমিও, হার্বাল-ধুর্বাল কিছুরই প্রয়োজন হয় না। শুধু একটা রাবারব্যাণ্ড (আয়তনে ছোটো হলে সুতা দিয়েও কাজ হবে) কষে টাইট করে বেঁধৈ রাখুন বেয়াড়া বস্তুটির গোড়ায়; কিছুদিন পরে এমনিতেই খসে পড়বে।
তাহলে তো আমাকে যারা যারা নিচের পদ্ধতিগুলো বলেছে সেগুলোও মনে হয় কাজে দিবে-
১। পানের বোটা মাঝ খান থেকে ভেংগে তার মাঝে চুল লাগাতে হবে। এবার রাতে ঘুমানোর আগে চুন আর পানের বোটা আচিলের উপর কিছুক্ষন ঘষে লাগিয়ে দিলে সকালে উঠে দেখবো আচিল পরে গিয়েছে। তবে এতে একটা সমস্যা আছে- আচিলের স্থানে একটা দাগ চিহ্ন থেকে যেতে পারে।
২। এটা ম্যাছের কাঠি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে অভিজ্ঞ পাবলিকের কাছ থেকে করতে হবে। বাড়িতে, স্কুলে, বিদ্যালয়ে, অফিসে নিজে নিজে করাটা উচিত নয়। এই পদ্ধতিতে সাথে সাথে আচিল নির্মূল হয়ে যাবে। পদ্ধতিটা অনেকটা এমন- একজন ম্যাছের কাঠি জ্বালাবে আর সেই আগুনের ছ্যাকা আচিলের উপর অল্প অল্প করে দিবে। এতে কোন প্রকার ব্যাথা পাবেন না। সম্পূর্ন ব্যাথা মুক্ত। এই রকম জ্বালাও পোরাও পদ্ধতি প্রয়োগ করে আচিল তুলে নিয়ে আসবে।
৩। একটা চুল বড় সাইজের (মেয়েদের মাথায় পাওয়া যাবে অথবা জেমস বন্ডের মাথায়) নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে আচিলটা বেধে দিতে হবে। সকালে উঠে দেখবেন আচিল কেটে পড়ে গিয়েছে।
এতো সিম্পল পদ্ধতি দেখে আর ফোরামের মন্তব্য পরে প্রথমে আশ্চার্য্য হয়ে গিয়েছিলাম যারা এই সব পদ্ধতি বলছে তা কাজে দিবে কি দিবে না। যাই হোক ব্রাশু ভাই আপনার ভরসায় ১ আর তিন নম্বর পদ্ধতিটা ট্রাই মারবো, দেখি কাজ করে কিনা। যদি ফেল যাই তাহলে হোমপ্যাথিতে দৌড় দিবো
মেজ রে নি আচিল কয়?
সব দেখি ভয়ংকর ছবি, এগুলোকেও কি আচিল বলে?
প্রজন্ম ফোরামের লোকজন খুব দুষ্টু - আপনাকে আঁচিলের নাম করে পাগলের ঔষধ খাওয়াচ্ছে
দেখছেন নি কারবারটা এইডা কোন কথা হলো- বুঝি না বলে পাগলের ঔষধ দিয়ে দিবে নাকি
এর থেকে ভালো ডাইরেক্ট হেমায়েতপুরে চিকিৎসা নিতে বললেই তো হইতো
যাই হোক আশে পাশে পর্যবেক্ষন করে যা বুঝলাম- আচিলের চিকিৎসা সাধারন পাবলিকরাই করতে পারে, এই পর্যন্ত আচিল উঠিয়ে দেবার জন্য স্বগৌরবে দশ বারজন মুরুব্বি বিনা টাকায় আমার চিকিৎসা করতে চেয়েছে অফিসটা বন্ধের আগে রাতে একটা একটা করে প্রয়োগ করে দেখবো টোকটা চিকিৎসা
invarbrass লিখেছেন:
সব দেখি ভয়ংকর ছবি, এগুলোকেও কি আচিল বলে?
একটু পড়ে দেখেন। একজন এত কষ্ট করে নিজে লিখেছেন+কিছু অনুবাদ করে দিয়েছেন। আপনার তো একটু কষ্ট করে পড়ে তারপর মন্তব্য করা উচিৎ। তাই নয়।
সাইফুল_বিডি
মন নামক কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই,
যা আছে তা হলো মস্তিষ্ক। এর মাঝে বিলিয়ন বিলিয়ন নিউরন যা মুলত আপনার পুরো জীবন নিয়ন্ত্রন করে। আপনার বেচে থাকা মুলত ওই মস্তিষ্ক নামক নিউরন দলার জন্য।
আপনার ভাবনায় খানিকটা ভুল রয়ে গেল মনে হয়, সেটা উত্তেজনার বসে, হতে পারে।
সাইকোলজি ও নিউরোলজির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে, আলাদা ভাবে পড়ানো হয়, আলাদা বই আছে, আলাদা ডিপার্টমেন্ট আছে।
মন নামক কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, অথচ সাইকোলজিতে মনের ডেফিনেশান আছে, এবং সেখানে মনের উপর যাবতীয় লাংগল চষা হয়।
ডিক্সেনারী মনের কি সংগা দিচ্ছে, দেখাযাক...
এখানে
MIND = the element, part, substance, or process that reasons, thinks, feels, wills, perceives, judges, etc.
আশাকরি আর বিস্তারিত বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। বাকিটার উত্তর আপনি নিজে পেয়ে যাবেন।
@invarbrass
যাক, আপনি থুজার সম্পর্কে যা তথ্য দিয়েছে তাতে থুজার চো দ্দ গুষ্টি উদ্ধার হয়ে গেছে...
হোমিওপ্যাথি কখোনো বলেনি, থুজা গাছ তাদের সম্পত্তি (মানে পেটেন্ট),
আর আপনার দেওয়া থুজার বহুমূখী প্রতিভার দস্তাবেজে,
কোথাও পেলাম না, প্রাচীন কাল থেকেই আচিলের জন্য হোমিওপ্যাথিক স্টাইলে থুজাকে ব্যবহার করে আসছেন,
সুর, বাক্য, ছন্দ দিয়ে গান তৈরি হয়, আর তা বহু প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।
রবীন্দ্র সংগীতও সুর, বাক্য, ছন্দ চাড়া আর কিছু নয়,
তবুও তার কৃতিত্ত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই পায় তাই নয় কি?
ডায়াবেটিস রোগীদের ইঞ্জেকশনের ইনসুলিন আসতো শুকর জবাই করে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নির্গত করে ।
ইনসুলিন, শুকর অগ্ন্যাশয় থেকে আসতো,
তাহলে কি শুকরের অগ্ন্যাশয় কি এ্যলোপ্যাথি সিস্টেমের বাপের সম্পত্তি? না মোটেই না, শুকরের অগ্ন্যাশয় তাদের বাপের সম্পত্তি না হলেও যেহেতু ইনসুলিন তারা নিঃসৃত করে ব্যবহার করছেন তাই তার কৃতিত্ত্ব তারা পায়। অথচ মানুষ শুকর কে সেই পাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছেন।
একটি শাখা দুড়দাড় করে আগিয়ে যাচ্ছে, ভিক্টোরিয়ান খোলস ছেড়ে এখন স্পেইজএইজে প্রবেশ করছে, ন্যানোমেডিসিনের যুগান্তকারী বিপ্লবের দরজায় কড়া নাড়ছে। আর অন্যটি? ডাইনোসরের মতো স্থবির হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে আছে।
হুম! জৈব সার আর রাসায়নিক সারের, কাজে পার্থক্যতো থাকবেই, কার অগ্রগতী বেশি, ভাই! সেটা সবাই জানে
জৈব সারের আর কদর কোথায়??, সবই তো রাসায়নিক সারের গোগ্রাসে।
BT বেগুন, ফলপ্রসু, কিন্তু... কিছু কথা কিছু থেকেই যায় তাইনা।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:
১। পানের বোটা মাঝ খান থেকে ভেংগে তার মাঝে চুল লাগাতে হবে।…...
আচিলের স্থানে একটা দাগ চিহ্ন থেকে যেতে পারে।২। এটা ম্যাছের কাঠি পদ্ধতি। ......
এই রকম জ্বালাও পোরাও পদ্ধতি প্রয়োগ করে আচিল তুলে নিয়ে আসবে।৩। একটা চুল বড় সাইজের ...যাবার আগে আচিলটা বেধে দিতে হবে।।
যদি এমনটা হতো বা এর থেকে আরো বেশি হতো, তাহলে উপরের কোন পদ্ধতি ব্যভার করতেন?
সব শেষে বলি হোমিওপ্যাথি কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই।
তার এফেক্ট নিয়েই আমার মাথাব্যাথা।
ধন্যবাদ সবাইকে।।
যদি এমনটা হতো বা এর থেকে আরো বেশি হতো, তাহলে উপরের কোন পদ্ধতি ব্যভার করতেন?
তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাক্তার যা ব্যবহার করতে বলতো তাই করতাম আর আমি কোথাও কিন্তু বলি নাই ডাক্তারি চিকিৎসা বাদ দিবো (সেটা হোমিওপ্যাথিই হোক অথবা এলোপ্যাথি), শুধু মাত্র বলেছি গুরু জনদের বলা টোটকা চিকিৎসাগুলো একবার ট্রাই করে দেখবো কাজ করে কিনা
বাপরে, হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি, হার্বাল...কত কিছু নিয়ে প্রায় যুদ্ধ বেধে গিয়েছে।
যাক গে,"যার যার বিশ্বাস তার তার"। পলাশ ভাই না হয় সবগুলোই ট্রাই করে দেখবেন, পরে যেটাতে ভাল হয় আমরা পরে ওটাই ব্যবহার করব।
যাই হোক আশে পাশে পর্যবেক্ষন করে যা বুঝলাম- আচিলের চিকিৎসা সাধারন পাবলিকরাই করতে পারে, এই পর্যন্ত আচিল উঠিয়ে দেবার জন্য স্বগৌরবে দশ বারজন মুরুব্বি বিনা টাকায় আমার চিকিৎসা করতে চেয়েছে
আর যাই করবেন, কাউকে আচিল টেপাটেপি করতে দিবেন না। ছোটবেলায় মুরুব্বিদের আচিল টেপাটেপির করে সারানোর ব্যর্থ চিকিৎসার কারণে শেষে অপারেশন করতে হয়েছিল। গালের কাটা দাগ এখনো যায়নি।
সাইকোলজি ও নিউরোলজির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে, আলাদা ভাবে পড়ানো হয়, আলাদা বই আছে, আলাদা ডিপার্টমেন্ট আছে।
আমি জানতাম দুটো ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িত।
সাইকোলজি পড়তে হলে আপনাকে বেসিক নিউরোলোজির কখানা বিষয়বস্তু জানতেই হবে, কারণ সাইকোলজির কনসেপ্টের মধ্যে ব্রেইন ফাংশান ও পরে। ইনফ্যাক্ট বেসিক সাইকোলজি বইগুলোতে হিউম্যান ব্রেইনের গঠন, চোখের গঠন সহ আরো নানা হাবিজাবি (পড়ুন প্যারাদায়ক) বিষয়বস্তু দেখতে পাবেন।
অবশ্য আমি জানিনে আপনার কাছে মনের সংগা (ফোনেটিক এ বানান ঠিকভাবে লিখতে পারিনা) টা কি। এখন যদি আগেকার মানুষদের মত ধারণা করে থাকেন যে মন হল হার্টে থাকা কোন এক অশ্বিরীরি (বানান নিশ্চিত ভূল হয়েছে) বস্তু তাহলে ভাই ক্ষমা করবেন, এ ব্যাপারে আলোচনা বাড়ানোর ইচ্ছে আমার নেই।
সাইকোলজি পড়তে হলে আপনাকে বেসিক নিউরোলোজির কখানা বিষয়বস্তু জানতেই হবে, .....
ও তাই বুঝি !!! জানতাম না তো
ও তাই বুঝি !!! জানতাম না তো
![]()
![]()
আরো কত কিছু জানেন না । নিউরোলজি মূলত নার্ভাস সিস্টেম নিয়ে কাজ করে এটা টোটাল ফিজিক্যাল। আপানার মস্তিষ্ক একটা ইন্টেলিজেন্ড সিস্টেম এটা কোন কারনে উলটা পালটা ডাটা লোড করলে তখন আপানার অবস্থা দেখে আপানাকে কিছু সাজেশান দিলে আমার ওই বেড়ারা সিস্টেমকে লাইনে আনার জন্য মুলত কাজ করে সাইকোলজি। আপনার মস্তিস্কের (পড়ুন মনের) অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য সাইকোলজিস্টকে আপনার মস্তিস্কের কার্যপ্রনালী সামান্য হলেও জানতে হবে।
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » স্বাস্থ্য » আচিল হলে কি করবো?
০.১৪৮২৫২০১০৩৪৫৪৬ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৯১.৯২৫৯১০৫০০৫৬৮ টি কোয়েরী চলেছে