টপিকঃ কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

১. কম্পিউটারে কখনো Theme ইনস্টল করা উচিত নয় । থিম কম্পিউটারকে অনেক ধীর করে দেয়।
২. কম্পিউটারে অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, কথা বলা ঘড়ি (ভয়েস ঘড়ি) ইত্যাদি ইনস্টল করবেন না। এগুলো কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়।
৩. Recycle bin সব সময়ফাঁকা রাখুন। Recycle bin-এ কোনো ফাইল রাখবেন না। Recycle binএ ফাইল রাখলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
৪. Start থেকে Run-এ ক্লিক করে এক এক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent,Recovery লিখে Run করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ফাইল ডিলিট করুন । কোনো ফাইল
না মুছলে সেটি বাদ দিয়ে বাকিগুলো মুছে ফেলুন।
৫. কিছু য় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে Run করুন। এতে Ram এর কার্যক্ষমতা বাড়বে।
৬. ডেস্কটপে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Propertiesএ যান। এখন ডান পাশ থেকে Settingsএ ক্লিক করে ১৬ বিট নির্বাচন করে ok করুন।
৭. আবার Start থেকে Run-এ ক্লিক করে msconfig লিখে Run করুন। এখন ডান পাশের Servicesএ ক্লিক করুন। যে প্রোগ্রামগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলোর
থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এখন Startup-এ ক্লিক করে সবগুলো টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। Restart দিতে বললে Restart দিন।
৮. এখন My Computer খুলে C ড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। তারপর Disk Cleanup-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো এলে বাঁ পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন।
এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।
৯. Start থেকে Control Panel-এ যান। Automatic Updates-এ ডবল
ক্লিক করুন। Turn off Automatic Updates নির্বাচন করে ok করুন। যারা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, এটা তাঁদের জন্য ।
১০. My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced Settings সিলেক্ট করে Performance-এর নিচে Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Customs সিলেক্ট করে সবার নিচের বক্সের ঠিক চিহ্নটি রেখে বাকি সবগুলো তুলে দিয়ে ok করুন।
১১. আবার My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced সিলেক্ট করে নিচে ডান পাশে Error Reporting-এ ক্লিক করুন। Disable সিলেক্ট করে ok করুন।
১২. My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ ঠিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন।
ডেস্কটপে যত কম আইকন রাখা যায় ততই ভালো।
১৩. Ctrl + Alt + Delete চেপে বা Task bar-এ রাইট ক্লিক করে Task Manager ওপেন করুন। তারপর Processes-এ ক্লিক করুন। অনেকগুলো প্রোগ্রামের তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছেনা, সেগুলো সিলেক্ট করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন। এই প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রামও আছে। যদি ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন
এবং এতে যদি অপারেটিং
সিস্টেমের কোনো সমস্যা হয়, তাহলে কম্পিউটার Restart দিন। ঠিক হয়ে যাবে।
১৪. কম্পিউটারের র্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার কিছুটা ফাস্ট করা যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে properties-এ যান। এখন Advance-এ ক্লিক করে performance-এর settings-এ ক্লিক করুন। আবার Advance-এ ক্লিক করুন। এখন change-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size ও Maximum size-এ আপনার ইচ্ছামতো size লিখে set-এ ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন। তবে Initial size-এ আপনার কম্পিউটারের র্যামের size-এর দ্বিগুণ এবং Maximum size-এ র্যামের size-এর চারগুণ দিলে ভালো হয়।
১৫. প্রথমে Control panel-এ যান। Control panel থেকে Add or Remove-এ ডবল ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে Add/Remove windows components-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাঁ পাশ থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন, তারপর Accessories and
Utilities নির্বাচন করে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে একই পদ্ধতিতে যে প্রোগ্রামগুলো আপনারকাজে লাগে না সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। এখন next-এ ক্লিক করুন। Successful massage এলে Finish-এ ক্লিক করুন। Restart করতে বললে Restart করুন।
১৬. শুধু আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন। যে সফটওয়্যারগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলো কাজ শেষ করে আবার আন-ইনস্টল করে দিন।
১৭. হার্ডডিস্কের ১৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখলে এবং নিয়মিত ডিফ্রাগমেন্ট করলে কম্পিউটার অনেক ফাস্ট থাকে। হার্ডডিস্কের ফাঁকা স্থানের পরিমাণ যত বেশি থাকে ততই ভালো।
১৮. সফটওয়্যার ইনস্টল করে ব্যবহার করার চেয়ে পোর্টেবল সফটওয়্যার ব্যবহার করলে কম্পিউটার বেশি ফাস্ট থাকে।

গৌতম বিশ্বাস

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

খুবই প্রয়োজনীয় সাজেশন  thumbs_up

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

এই ব্যাক্তির সকল লেখা কাল্পনিক , জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে মিল পাওয়া গেলে তা সম্পুর্ন কাকতালীয়, যদি লেখা জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে মিলে যায় তার দায় এই আইডির মালিক কোনক্রমেই বহন করবেন না। এই ব্যক্তির সকল লেখা পাগলের প্রলাপের ন্যায় এই লেখা কোন প্রকার মতপ্রকাশ অথবা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

বেশ কয়েকটা কাজে লাগবে।

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

Re: কম্পিউটারের গতি বারাতে Computer Speed Tips

goutambiswas50, আপনার জানা তথ্যগুলোতে যথেষ্ট পরিমান ভূল তথ্য আছে। সর্বমোট ১৮টা পয়েন্ট, আমি প্রত্যেকটা পয়েন্ট আউট করে দিতে পারছি না, তবে, কিছু বলে দেই।

Tree কমান্ডের কাজ হচ্ছে ডিরেক্টরী স্ট্রাকচার দেখানো। প্রথমবার রান করার পর RAM এটা মনে রাখে, যেকারনে পরেরবার খুব দ্রুত রেসপন্স করে। আপনার মনে হবে কম্পিউটার ফার্স্ট হয়েছে, কিন্তু কম্পিউটারের কিছুই হয় নাই। আপনি শুধুমাত্র মেমোরী হায়ারার্কীএর একটা সুফল ভোগ করলেন।

সেকেন্ডলী: ঘন ঘন ডিফ্রাগমেন্ট ক্ষতিকর। ডিফ্রাগমেন্ট কেবলমাত্র বড় ধরনের ফাইল কপি বা ইন্সটলের পর করার জন্য রিকমেন্ড করা হয়। যেহেতে কম্পিউটারে প্রতিনিয়ত ঘন ঘন নতুন নতুন ডেটা তৈরী হতে থাকে না (বড় সাইজের), সেকারনে ফ্রাগমেন্ট প্রায় ইগনোর করা যায়। তবে যদি ডেটা ক্রিয়েট রিলেটেড কাজ কর্ম থাকে, মাসে একবার করাই যথেষ্ট।  পিএস: ঘন ঘন ডিফ্রাগমেন্ট ডিস্ক পারফর্মেন্সের উপরে নেগেটিভ এফেক্ট ফেলতে পারে।

অটোমেটিক আপডেট: এটা চালু রাখা উচিত। আপনার বোঝা উচিত, আপডেট দেয়াই হয় ত্রুটি দূর করে আরো ভাল পারফর্মেন্স যাতে পাওয়া যায় সে জন্য। আপডেট না রাখা বরং বিপদজনক।

যাইহোক, ইন্টারনেটের জগতে আছেন, একটু ঘুরতে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।


অফটপিক: ২২টা পোষ্ট। কাজেই একদমই নতুন বলা যায়। আজাইরাতে গতকালকে একটা আলোচনা হচ্ছিল, ছবি আপা, ইলিয়াস ভাই, মিজভীদের মধ্যে।  নতুনদের প্রতি আমাদের রিএ্যাকশন!  isee