আহমাদ মুজতবা লিখেছেন:কাগজে কলমে অনেক মনে হলেও এই আয়োনাইজিং রেডিয়েশন আসলে তেমন কিছু না। আমরা কনস্ট্যন্টলি সূর্যের রেডিয়েশনের নিচেই আছি। যদিও এলাকা ভিত্তিতে এর মাত্রা নির্ভর করে। তবে এটা বিবেচনা করলে যে লাইফে আমরা এর থেকে বেশী ক্ষতিকর জিনিশে এক্সপৌউসড এইসব রেডিয়েশন তেমন কিছু না। এই রেডিয়েশনের সাথে ক্যন্সার রিস্কের যে ব্যপারটা জড়িত সেটা সাথে সাথে পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। এটা লংটার্ম ইফেক্ট যা নিয়ে স্টাডি করা হয়েছিলো হিরোশিমার রেডিয়েশনে যারা এক্সপৌউসড হয়েছিলো তাদের নিয়ে এরপরে সেরকম কোনো কনক্লুসিভ ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়নি।
সব রেডিয়েশন সমান না। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন মানে এ্যাটম থেকে ইলেক্ট্রন নক অফ করে (আয়নাইজ) করতে পারে যে রেডিয়েশন। এক্স/গামা-রে এই কাজটা করে।
আমার জানা মতে ভিজিবল লাইট (সানলাইট) আয়নাইজিং রেডিয়েশনের মধ্যে পড়ে না (ভুলও হতে পারে)। আপনি বোধহয় কসমিক রে-র কথা বলছেন। কসমিক রে আয়নাইজিং রেডিয়েশন। তবে এটা ক্যান্সার করে নাকি করে না তার পক্ষে বা বিপক্ষে সম্ভবতঃ কোনো ডেটা নাই। তাছাড়া, এই ধরণের এক্সপেরিমেণ্ট করাও ডিফিকাল্ট। দুনিয়ার ১০০% মানুষ কসমিক রেডিয়েশনে ভাসছে।
হয়তো মাটির কয়েক কিলোমিটার গভীরে কিছু মানুষ বন্দী করে কয়েক শ জেনারেশন / কয়েক হাজার বছর ব্রিডীং করার পরে ওই মরলক স্পীশিজের ওপর এক্সপেরিমেণ্ট করলে হয়তো ইফেক্ট বোঝা যেতে পারে 
এক্সরে, গামা-রে ইত্যাদি হাই-ফ্রিকোয়েন্সী রেডিয়েশন যে ক্যান্সার রিস্ক বাড়িয়ে দেয় এটা মোটামুটি ওয়াইডলী এ্যাকনলেজড। হিরোশিমা/নাগাসাকী-র পরেও চেরনোবিল নিয়ে রিসার্চ হয়েছিলো।
এছাড়া, ডাইরেক্ট এভিডেন্সও আছে প্রচুর। কয়েক শতাব্দী আগে এক্সরে আবিষ্কারের পর এটা ম্যাজিক বলে মনে করতো মানুষ। এমনকি সামান্য পেপটিক আলসার ট্রীট করতেও নাকি তারা হাই-ডোজ এক্সরে মারতো - ওই সব রোগীদের মধ্যে স্টমাক, প্যাংকৃয়াস ক্যান্সারের হাই-ইনসিডেন্স দেখা গেছে। এছাড়া আগেকালের এক্সরে টেকনিশিয়ান, হেলথ ওয়ার্কাররা যারা ডিরেক্ট এক্সরে রেডিয়েশন পেতো না তবে একই রুমে থাকার কারণে ব্যাকগ্রাউণ্ড রেডিয়েশন খেতো - ওদের মধ্যেও প্রোলঙ্গড এক্সপোজার থেকে ক্যান্সার ও অন্যান্য হেলথ ইফেক্ট পাওয়া গেছে।
এমনকি, এই যুগেও ক্যান্সার ট্রিটমেণ্টের জন্য রেডিওথেরাপী দেওয়ার আগে পরে অনেক হিসাব নিকাশ, মনিটরিং করতে হয়... অনেক সময় রেডিওথেরাপী থেকেই আবার অন্য ক্যান্সার ডেভেলপ করতে পারে।
যাকগে, এক্সরে যে কার্সিনোজেনিক এটা জেনারেলী এ্যাক্সেপটেড। এমনকি খুব minuscule ডোজের এক্সরে-ও জেনেটিক মিউটেশন করে - which may or may not translate into cancer...
গুড নিউজ হলো, টেকনলজীর উন্নতির কারণে এক্সরে-র রেডিয়েশন ডোসেজ অনেক মিনিমাইজ করা গেছে। এখন রেডিয়েশন এ্যামাউণ্ট মিলি আর মাইক্রো সিভার্টে ক্যালকুলেট করে (কয়েক শতাব্দী আগে গিগা সিভার্টের রেডিয়েশন খেতো মানুষ
) এছাড়া এক্সরে/সিটি/রেডিওথেরাপী রুমের দেয়াল গুলোর ভেতরে খুব মোটা মেটালিক রেডিয়েশন শীল্ড দিয়ে মোড়ানো থাকে; ফলে হাসপাতাল/ক্লিনিকে গেলেও ভয়ের কোনো কারণ নাই।
তবে এটা ঠিক বলেছেন - এক্সরে, সিটি নিয়ে একটু হাউকাউ বেশি হয়। অথচ আমরা UHF, VHF, GSM/CDMA রেডিয়েশনের মধ্যে 24X7 ভাসছি - অথচ ওইগুলো নিয়ে তেমন কোনো রিসার্চ নাই। এমনকি এটাও শুনেছি হাইভোল্টেজ পাওয়ারলাইনের কাছে যারা থাকে তাদের ওপরও নাকি পিকিউলিয়ার সব এ্যাডভারস হেলথ ইফেক্ট হয়।
এইখানে একটা রেডিয়েশন ক্যালকুলেটর আছে - কতটুকু এ্যাকুরেট জানি না। তবে এখানে দেখাচ্ছে আমার এইজঃসেক্স এ্যডজাস্ট করে একটা ব্রেইন সিটি থেকে ক্যান্সার ডেভেলপ করার যে রিস্ক আছে, তার প্রায় ৭০,০০০% বেশি রিস্ক রোড ট্রাফিক এ্যাক্সিডেণ্টে পটল তোলার, ইভেন পানিতে ডুবে এ্যাসফিক্সিয়ায় মরার লাইকলীহুডও দেখতেছি রেডিয়েশন ক্যান্সারের তুলনায় ৭/৮ গুণ বেশি 
আহমাদ মুজতবা লিখেছেন:তবে এমআরআই এর বদলে সিটি স্ক্যন করে খুব একটা লাভ নেই। এমআরআই যতটা ডিটেইলড পিকচার দেয় সেটা সিটিতে পাওয়া যায়না। তাই ভিতরকার সমস্যা গুলো ধরার জন্য এমআরআই হচ্ছে বেস্ট। আমার নিজের ২ বার এমআরআই করা লাগছে এই দুই মাসে। ওহ, বয়! খুবই বাজে এক্সপিরিয়েন্স ঐ জিনিশের ভিতর ঢুকে থাকা।
যদিও আমাকে প্যন্ডোরা শোনার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিলো নাহলে ঐ জঘন্য শব্দে দম বন্ধ হয়ে মারাই যেতাম মনে হয়।
depends on which body part is being scanned... অনেক ক্ষেত্রে এমআরআই নিয়ার ইউজলেস, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে সিটি-ও খুব একটা কাজে দেয় না। in general, CT-র applicability একটু wider...
MRI যদি সবজায়গায় কাজ করতো, তাহলে সিটি-র মতো hazardous টেকনলজী বহু আগেই obsolete হয়ে যেতো। CT, xray, fluoroscopy, PET, gamma camera ইত্যাদি টিকে আছে কারণ এদের রিপ্লেসমেণ্ট কিছু নাই।
এগুলো necessary evil না বরং extremely necessary evil... especially when yoy're confronting life or death questions...
Calm... like a bomb.