টপিকঃ চারুকলা এক্সাম
সকাল ১০ টায় দিতে হবে চারুকলা এক্সাম
প্রমাদ গুনি যেন না হয় জ্যাম প্রোগ্রাম
এডমিট কার্ড এখনো প্রিন্ট না করলাম
পেনসিল-শার্পনার এখনো না ভরলাম
নিয়ে বের হলাম আমার সাদা সাইকেল
খুজতে বের হলাম বাজিয়ে টুংটাং বেল
দেইনা তাই চুলে নাই জেল
প্রিন্ট করাতে চলে গেলাম কাছেই মতিঝিল
আসলে মতিঝিল না যায়গাটা দিলখুশা
ভাগ্য ভালো এক লোককে দেইনাই কিলঘুষা
ব্যাটা বলে খুলেনা দোকান ১০ টার আগে
৯.৩০ এ নাকি ছেলেপেলে সব জাগে
তোল হেল্প কোন হালায় মাংগে
এজন্যই তো মানুষের ২-৩ টা দাত ভাংগে
সে যাইহোক, প্রিন্ট তো করা লাগে
সাইকেল টা তাই আস্তে বাড়াই আগে
ওটা কি! প্রিন্টের দোকান নাকি
নাকি কোনো, শুভংকরের ফাঁকি
প্রিন্টের দোকান ই তো? ভালো করে দেখি
আজকাল লেখা থাকে অনেক কিছু, কিন্তু সব ই মেকি
ভাগ্য ভালো, এরা প্রিন্ট করে
প্রতি পেজ কালার, ১০ টাকা ধরে
ইটস আর্জেন্ট, টাকার চিন্তা পরে
পেন্ড্রাইভের ভাইরাস স্ক্যান ধীরে ধীরে নরে
অবশেষে হলো শেষ প্রিন্টারে প্রিন্ট
এই মুহুর্তে খুশি হতো রুপার্ট গ্রিন্ট
সিট পড়েছে যে বিল্ডিং নাম তার এমবিএ
একেবারে ৭ তালায়, মন চায় তা দেই নামিএ
পৌছালাম একেবারে ঘরি ধরে ১০ টায়
স্যার তো আমার দিকে কটমট করিয়া চায়
প্রশ্নে আসলো এনাটমি, এটাতো পারিনা
অনেকের আঁকা দেখে আসে বমি, সেটাও করিনা
আঁকা শেষে এরপর দিলো এমসিকিউ
প্রশ্ন দেখে লাগে সব বেশি নিউ
ধুর এর পর চলে এলাম বাসায়
দিলাম এক ঘুম ঘুমের আশায়।