Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
দীর্ঘদিন টোফেন খেলে এ্যলারজি বাড়ে।
কবিরাজি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
কবিরাজ লাগবে কবিরাজ !
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
সরি দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। নাকিব ভাইও আসলে উত্তর দিয়ে দিয়েছেন।আর Alcet খুব ভালো ওষুধ,3rd জেনারেশন এন্টি-হিসটামিন।
ইমরান তুষার ভাই,এখন আপনার অবস্থা কি?আর সর্দির সাথে কি কফ,মাথা-ব্যাথা,চোখে ঘোলা দেখা,অবস্বাদ এইগুলো কি আছে?
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ইমরান তুষার ভাই,এখন আপনার অবস্থা কি?আর সর্দির সাথে কি কফ,মাথা-ব্যাথা,চোখে ঘোলা দেখা,অবস্বাদ এইগুলো কি আছে?
আসলে উপল ভাই, পরীক্ষার কারণে সামান্য যে ওষুধ কিনে আনবো, এই সময়টাও হচ্ছেনা। টোফেন চলছে। সর্দির সাথে আপনার উল্লেখিত প্রতিক্রিয়া গুলো নেই, কিন্তু সমস্যা ছোট্ট একটা, তা হলো আমার সর্দি হলে প্রচন্ড ক্ষুধা পায়। আস্ত ঘোড়া খেয়ে ফেলাত মত। আরেকটা বিষয়, সর্দির সময় যদি আমি কোন ঘরে বা আটকানো জায়গায় থাকি, সর্দি আমাকে মিনিটে কাহিল কঅরে ফেলে, অথচ বাইরে বের হলে, মানে খোলা জায়গায় গেলে সর্দি পুরাই বন্ধ। কিন্তু ঘরে আসলেই আবার যে কে সেই। তবে গত ৩ দিন ধরে সর্দি হচ্ছেনা। তাই একটু শান্তিতে আছি। তবে ধুলা-বালি থেকে দূরে দুরে থাকি, আমার ধুলা থেকে হাঁচি, আর হাঁচি থেকে সর্দি হয়।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
তবে গত ৩ দিন ধরে সর্দি হচ্ছেনা। তাই একটু শান্তিতে আছি।
আলহামদুলিল্লাহ।
দোয়া করি, মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনি পুরোপুরি সুস্হ হয়ে উঠুন।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ভিটামিন সি নেবার চেষ্টা করুন বেশি বেশি।
আমলকি খান প্রতিদিন ২ টা সবসময়।
ঠান্ডা লাগলে প্রতিদিন ১০ টা করে।
সর্দি বলতে কি বুঝিয়েছেন? নাক দিয়ে শুধু পানি পড়া? নাকি গলা বসে যাওয়া, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ সহ?
সাধারণ ঠান্ডা বেশিদিন থাকলে এমোক্সিসিলিন দিত আগে। তারপর এজিথ্রমাইসিন। ইদানিং দিচ্ছে এমোক্সিসিলিন+ক্লাভুলেনিক এসিড। এই এন্টিবায়োটিক গুলো ৮ ঘন্টা পর পর খেতে হয় ৭ দিন। উইকিতে গেলে আরো নিয়ম কানুন পাবেন। এগুলো ওয়াইডব্যান্ড এন্টিবায়োটিক। তাই সারা শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। তবে ৭২ ঘন্টার মাঝে যদি কোনরকম পরিবর্তন না হয় তাহলে বুঝতে হবে এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না।
তবে আমি বলব জটিল কোন রোগ না হলে, ছোট খাট রোগে বাংলাদেশি চিকিৎসক বেশ রিলায়েবল।
কিছুদিন আগে আমার ঠান্ডা লাগল। তারপর ঠান্ডা সেরে গেল। সারাদিন চা আর আমলকি খেয়ে ঠান্ডা ঠিক করে ফেললাম। তার ২ সপ্তাহ পরেই আবার ঠান্ডা লাগল। এবারও একই কাজ করছিলাম। কিন্তু নিয়মিত করতে পারিনি। তাই যেটা হল, বুকে কফ জমে গেল। তারপর গেলাম ডিএমসির এক ডাক্তারের কাছে (মেডিসিন বিভাগের অধ্যপক)। সে কিছু ওষুধ দিল। আমি খাওয়ায় সব ঠিক হয়ে গেল।
ব্লগ: shiplu.mokadd.im
মুখে তুলে কেউ খাইয়ে দেবে না। নিজের হাতেই সেটা করতে হবে।
২৭ ০৭-০৯-২০১১ ০৭:৩৬ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন অলোক (০৭-০৯-২০১১ ০৭:৩৯)
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
আরেকটা বিষয়, সর্দির সময় যদি আমি কোন ঘরে বা আটকানো জায়গায় থাকি, সর্দি আমাকে মিনিটে কাহিল কঅরে ফেলে, অথচ বাইরে বের হলে, মানে খোলা জায়গায় গেলে সর্দি পুরাই বন্ধ। কিন্তু ঘরে আসলেই আবার যে কে সেই।
অ্যালার্জেন টা মনে হয় অাপনার ঘরের ভিতরে অাছে। ঘরটা কি স্যাতস্যাঁতে ? লক্ষ্য করে দেখুন অাপনার ঘরের দেওয়াল বা অাসবাব, বিছানায় কোন ছত্রাক অাছে কিনা ? অাপনার পোষা বেড়াল বা কুকুর অাছে কি?
সাধারণ ঠান্ডা বেশিদিন থাকলে এমোক্সিসিলিন দিত আগে। তারপর এজিথ্রমাইসিন। ইদানিং দিচ্ছে এমোক্সিসিলিন+ক্লাভুলেনিক এসিড। এই এন্টিবায়োটিক গুলো ৮ ঘন্টা পর পর খেতে হয় ৭ দিন।
ভুলেও এগুলা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে খাবেননা! সর্দি ব্যাকটেরিয়ার কারনে হয়না, সর্দি এ্যলারজি বা ভাইরাসের কারনে হয়, বেশিদিন পুষে রাখলে পরে শ্বাসনালী বা ফুসফুসে সেকেণ্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমন হয়। মুড়ি-মুড়কির মত এন্টিবায়োটিক খেলে ব্যাকটেরিয়া গুলো সহনশীল হয়ে পড়বে, তখন অার এন্টিবায়োটিক কাজ করবেনা।
হার্বাল চিকিৎসা সবথেকে ভালো হবে, আপনি এখানে ফ্রি অনলাইন পরামর্শ পাবেন লিঙ্ক
অামি নিজে হিমালয়া (বিশ্বের একটি অন্যতম হার্বাল মেডিসিন প্রস্ততকারক)সেপটিলিন খেয়ে সুখে অাছি ।
ভিটামিন সি নেবার চেষ্টা করুন বেশি বেশি।
আমলকি খান প্রতিদিন ২ টা সবসময়।
ঠান্ডা লাগলে প্রতিদিন ১০ টা করে।
এটা অাজ থেকেই শুরু করে দিন।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
শিপলু ভাই এভং অলোক ভাইকে ধন্যবাদ।
সর্দি বলতে কি বুঝিয়েছেন? নাক দিয়ে শুধু পানি পড়া? নাকি গলা বসে যাওয়া, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ সহ?
সর্দি বলতে বুঝিয়েছি নাক দিয়ে শুধু পানি পড়া সাথে হাঁচি। গলা বসে যাওয়া, কাশি ইত্যাদি দেখা যায় না।
ঘরটা কি স্যাতস্যাঁতে ? লক্ষ্য করে দেখুন অাপনার ঘরের দেওয়াল বা অাসবাব, বিছানায় কোন ছত্রাক অাছে কিনা ? অাপনার পোষা বেড়াল বা কুকুর অাছে কি?
ঘর মোটেও স্যাঁতস্যাঁতে নয়। ছত্রাকও নেই, পোষা কুকুর -বেড়াল ও নেই। আর ঘর বলতে আমি শুধু আমার ঘর বুঝাইনি, যে কোন ঘর বা আটকানো জায়গার কথা বলতে চেয়েছি।
আমলকি খাচ্ছি প্রায় প্রতিদিনই ২/৩টা করে। এখন পর্যন্ত আপডেট হলো গত ৪ দিন ধরে সর্দিতে ধরেনি।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ইমরান ভাই আমার একই সমস্যা ছিল । বলতে পারেন ২৪/৭, এবঙ শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরত,হেমন্ত ো বসন্ত সব সময় ।এর পর আমি ডাক্তার বিদ্যুত চন্দ্র গুপ্ত কে দেখাই উনি আমাকে ০৩ মাসে জন্য ইউনিকনটিন, ডেলেটর, কিটোমার, এবঙ বেক্সটাম গোল্ড সেবন করার পরার্মশ দেন ।আলহামদুিল্লা গত ৪ বছর যাবত ভালো ছিলাম ।
বাঙলা বানানের জন্য মাফ করবেন । যুক্ত বর্ন গুলো আমার সমস্যা হচ্ছে ।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ইমরান ভাই আমার একই সমস্যা ছিল । বলতে পারেন ২৪/৭, এবঙ শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরত,হেমন্ত ো বসন্ত সব সময় ।এর পর আমি ডাক্তার বিদ্যুত চন্দ্র গুপ্ত কে দেখাই উনি আমাকে ০৩ মাসে জন্য ইউনিকনটিন, ডেলেটর, কিটোমার, এবঙ বেক্সটাম গোল্ড সেবন করার পরার্মশ দেন ।আলহামদুিল্লা গত ৪ বছর যাবত ভালো ছিলাম ।
বাঙলা বানানের জন্য মাফ করবেন । যুক্ত বর্ন গুলো আমার সমস্যা হচ্ছে ।
আজাইর্যা কথা সমস্যা হবে কেন? বাংলা বানানের ব্যাপারে তোমার বস আমি আছি না....
এই মেঘ এই রোদ্দুর
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
আরেকটি প্রশ্নঃ Menthol এর ভাপ নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাই। আমি ২ বার নিয়েছিলাম। নাক পুরা ক্লিয়ার হয়ে যায়, কিন্তু পানি পড়া বন্ধ হয় নি।
ঠিক ই আছে, এটা বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তা পরিস্কার করে, কিন্তু সোর্স তো আর বন্ধ করতে পারেনা।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
দু:খিত দেরীতে উত্তর দেবার জন্য।
আমি নিজেও Asthma এবং Allergic rhinitis-এর বেশ গুরুতর ভুক্তভোগী ছিলাম। আপনার বয়স কত জানিনা - তবে সাধারণত: বয়স বাড়লে এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে যায়। আগে আপনার মতই অবস্থা ছিলো আমারও - এখন তেমন একটা অসুবিধা হয় না।
নাকিব ভাই মূল চিকিৎসা বলেই দিয়েছেন। আপনি ভালো কোনো ইএনটি অথবা রেসপিরেটরী মেডিসিন স্পেশালিস্টের কাছে দেখিয়ে স্টেরয়েড স্প্রে নিন। ভয়ের কিছু নেই - কর্টিকোস্টেরয়েড স্প্রে-র সাইড-ইফেক্ট তেমন নেই - বরং আপনার এ্যান্টি-হিস্টামিন ট্যাবলেট ঘেলার চাইতে এটা অনেকগুণে বেশি নিরাপদ। বর্তমানে Allergic rhinitis-এর সেরা চিকিৎসা হলো ইন্ট্রানেজাল স্টেরয়েড স্প্রে - এটা নাকের ভিতর স্প্রে করতে হয়। আমাদের দেশে গ্ল্যাক্সো তৈরী করে - এছাড়া জার্মানী থেকেও কিছু আসে সম্ভবত:। আমি নিজেও বেশ কয়েক বছর আগে ব্যবহার করতাম - সম্ভবত: ফ্লুকোনেজ নাকি ফ্লোনেজ নামে ছিলো (ফ্লুটিকাসোন প্রপিয়নেট)। এখন বাজারে আরো অনেক ধরণের স্টেরয়েড স্প্রে পাওয়া যায় - আপনার স্পেশালিস্টের প্রেসক্রিপশন ফলো করুন। নেজাল স্প্রে অনেক ধীরে কাজ শুরু করে - থেরাপী শুরু করার সাথে সাথে ফলাফল পাবেন না, কিছুদিন ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যান। এই চিকিৎসা লং-টার্ম চালিয়ে যেতে হবে। আরেকটা অসুবিধা হলো - এই স্প্রেগুলো বেশ দামী।
অলোকদাও ঠিকই বলছেন। এ্যালার্জেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ্যালারর্জেন যেকোনো জায়গায় থাকতে পারে - ঘরের স্যাঁতসেতে হোক বা শুকনোই হোক। আমরা যে বিছানায় ঘুমাই, সেখানে আমরা ছাড়াও আরো কত কি যে বাস করে তা ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখালে অনেকের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হতে পারে। বিছানায় বিভিন্ন রকমের dust mites (মাইক্রোস্কোপিক মাকড়সা) থাকে - মানুষের শরীরের চামড়া এদের প্রধান খাদ্য। mite-গুলোর মল বেশ ক্ষতিকারক এবং মেজর এ্যালার্জেন। আপনার বিছানা/বালিশের কাভার নিয়মিত বদলান - পারলে প্রতিদিন ধোয়ান, ধোয়ার আগে ফুটন্ত পানিতে আধঘন্টা চুবিয়ে রাখতে পারেন।
আপনার রাইনাইটিস সারা বছর থাকে নাকি সিজনাল তা জানা হলো না (আমার নিজের ক্ষেত্রে শীতকালে সবচাইতে বেশি সমস্যা হতো)। বিদেশে দেখেছি শরৎকালে (autumn) অনেকের হে ফিভার হয় - ওসব দেশে শরৎকাল হলো পাইন এবং অন্যান্য গাছের বংশবিস্তারের সময়, এসময় প্রচুর পরিমাণে পরাগরেণু বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে। আপনার বাড়ীর আশেপাশে জংলা জায়গা আছে কিনা খেয়াল করে দেখুন। শুনেছি, জাহাংগীর নগর ইউনি-র বোটানীকাল গার্ডেনের আশেপাশে থাকে এমন নাকি অনেকেই এ্যলার্জিক রাইনাইটিসে ভোগেন।
স্টীম ইনহেলেশন (ভাঁপ নেয়া) খুবই কার্যকরী চিকিৎসা - আমি নিজেও সর্দিকাশিতে এ্যান্টি-হিস্টামিন/কাফ-সিরাপের বদলে এটা সবসময় ফলো করি। স্টীম ইনহেল করলে আপনার নাক, সাইনাসে জমে থাকা আঠালো সর্দি (মিউকাস) বা লাংসে থাকা কফ-এর সাথে পানি মিশে লিকুইডিফাই করবে - তাতে করে সহজে ওগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ইনফ্যাক্ট, মাত্র আধঘন্টা আগেই আমিও স্টীম নিচ্ছিলাম - গত ২/৩ দিন ধরে সর্দি, ভাইরাল ফীভারের কারণে সাইনুসাইটিস এবং মাথাব্যাথা ছিলো - ৩/৪ সেশন স্টীম থেরাপী নেবার পর এখন বেশ ভালো বোধ করছি।
এছাড়া নেজাল ডিকন্জেস্টেন্ট নিতে পারেন - একইভাবে কাজ করে। তবে এটাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে (রিবাউন্ড কনজেশ্চন) - অর্থাৎ ড্রাগের কারণেই পুনরায় সর্দি হতে পারে। কাজেই প্রাকৃতিক পদ্ধতিই অবলম্বন করুন।
মাল্টিভিটামিন (যিংক, ভিটামিন সি) সেবং করুন। নিয়মিত ফল, সব্জী খান - শরীরের ইমিউনিটি বজায় রাখুন (এ্যালার্জিক রাইনাইটিস অবশ্য দুর্বল ইমিউনিটি না, বরং হাইপার-সেন্সিটিভ ইমিউনিটির কারণে হয়)।
মন খারাপ করার কিছু নাই - বয়স বাড়লে এ সমস্যা ৮০-৯০% কমে আসবে। আমার ক্ষেত্রে ২৬-২৭ বছরের পর থেকে এ সমস্যা কমে আসে। আগে প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল, বিকাল এবং রাতে কয়েকশ হাঁচি দিতাম। এখন সিরিয়াস অসুখে না পড়লে এমনটা সচরাচর হয় না (তবে কিছুদিন কম ঘুমালে তখন আবার সর্দি শুরু হয়)।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
নাকিব ভাই! ব্রাশু ভাই! আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্রাশু ভাই আমার বয়স ২১ রানিং। এলার্জি প্রতিরোধের ব্যাপারটা মাথায় রাখলাম। নিয়মিত ফলো করবো ইনশাল্লাহ।
আচ্ছা, স্টীম নেয়ার সময় আপনি কি মেন্থল ব্যবহার করেন? ঠিক কিভাবে নিলে ভালো হয় তা যদি জানাতেন...।
গতকাল কোন সিগনাল না দিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছিলো সর্দি। সারাটা দিন আর রাত মাটি করে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সর্দি নাই। এখন পরীক্ষা শেষ, আশা করি আমি কাল-পরশুর ভিতর ডাক্তার দেখাবো।
ওহ! ভালো কথা। আমি তো আসল কথা বলতেই ভুলে গিয়েছি। আমার সাইনোসাইটিস রয়েছে। নিচে আমার জুন ১, ২০১১ তারিখ এর Radiological রিপোর্ট এর কিছু লেখা তুলে দিচ্ছিঃ
Skiagram of: Paranasal Sinuses OM View, Chest PA View
Radiological findings:
Chest PA View:
Diaphragmatic domes are normal in position.
Heart is normal in transverse diameter.
Lung fields are clear.
Bony thorax reveals no significant abnormality.Paranasal Sinuses, OM View:
Mucosal thickening is seen in both maxillary sinuses.
Frontal sinuses are clear.
Nasal mucosa is thickened.Impression:
Bilateral maxillary sinusitis.
এই সাইনোসাইটিস এর ব্যাপারে খুব কমই জানি আমি। জানালে উপকৃত হতাম। কি কি লক্ষণ বা অসুবিধা দেখা দিতে পারে, প্রতিরোধ ইত্যাদি আর কি।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
মানুষের skull (খুলি)-এ বেশ কিছু ফাকাঁ cavity আছে - এদেরকে বলে প্যারান্যাসাল সাইনাস। কপালে (ভ্রু-র ওপরের জায়গা), নাকের দু'পাশে (দু'চোখের নীচের জায়গা) এবং চোখের পেছনে বেশ কিছু সাইনাস আছে:
সাইনাসগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় শুকনো বাতাস দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে।
কখনো কখনো এ্যালার্জি, ভাইরাল ইনফেক্সন ইত্যাদি কারণে সাইনাসে প্রদাহ (inflammation) হয় - এটাই সাইনুসাইটিস। মাথা ভারীভারী লাগা, মাথা ব্যাথা হওয়া (বিশেষ করে সামনে ঝুঁকলে বা শুয়ে থাকা অবস্থায় আরো বেশি ব্যাথা হয়) - এসব হলে বুঝবেন আপনার সাইনুসাইটিস হয়েছে। এটা সাধারণত: ৭-১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়।
আচ্ছা, স্টীম নেয়ার সময় আপনি কি মেন্থল ব্যবহার করেন? ঠিক কিভাবে নিলে ভালো হয় তা যদি জানাতেন...।
জ্বী, ঠিকই ধরেছেন। ৪/৫ বছর আগে এক এ্যারোমাথেরাপী দোকানে মিন্ট ওয়েলের ছোটো শিশি (৩০-৪০ মিলি হবে) কিনেছিলাম - ওটাই এখনো চলছে। তবে মেন্থলের কোনো থেরাপিউটিক ভূমিকা নেই। মেন্থল ছাড়াও আপনি স্টীম নিতে পারেন - কোনো ফারাক হবে না। তবে মেন্থলের সুগন্ধ একটু আরাম দেবে - "বন্ধ নাক খুলে গেছে" এমন একটা অনুভূতি হবে - এটুকুই লাভ।
আমি স্টীম ইনহেল করি দু'ভাবে - আপনার যদি নাক বন্ধ, সাইনুসাইটিস (মাথা ব্যাথা, কপালে প্রেশার অনুভব হওয়া) ইত্যাদির কারণে স্টীম নেন - তাহলে নাক দিয়ে নিশ্বাসের মাধ্যমে ভাঁপ নিন। আর যদি বুকে কফ জমে থাকে তাহলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।
খেয়াল করবেন যারা চেইন স্মোকার তারা সিগারেটের ধোঁয়া অনেকক্ষণ বুকে ধরে রাখে - তাদের টেকনিকটা ফলো করতে পারেন নিজের ভালোর জন্য। যে পথেই স্টীম নেন না কেন - চেষ্টা করুন প্রতিবার শরীরের মধ্যে ৮-১০+ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার জন্য (১..১০ গুণতে পারেন)। বড় টাওয়েল/চাদর দিয়ে মাথা এবং গরম পানি ভর্তি পাত্র চারিদিক তাবুঁর মত ঢেকে রাখুন - এতে স্টীম এসকেপ করার সুযোগ কমে যাবে।
সম্ভব হলে ইলেক্ট্রিক স্টীম মেশিন জোগাড় করুন - নীচের দিকে একটা গোল পানির পাত্র থাকে যাতে ইলেক্ট্রিক হীটার লাগানো থাকে, ওপরের দিকে একটা সরু ফানেল থাকে - খুবই কার্যকর ডিভাইস। ঢাকায় বড়বড় ফার্মেসীতে পাওয়া যাবে হয়তো।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ব্রাশু ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ আবারও।
বড় টাওয়েল/চাদর দিয়ে মাথা এবং গরম পানি ভর্তি পাত্র চারিদিক তাবুঁর মত ঢেকে রাখুন - এতে স্টীম এসকেপ করার সুযোগ কমে যাবে।
আমিও ঠিক এভাবেই স্টিম নেই। মেন্থল ব্যবহার করি। আল্লাহর রহমতে এখন ঠান্ডা বা সাইনোসাইটিস এর ব্যথা নেই।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
ভাই এই সমস্যা আমারও আর তবে তা মাসে ২ বা ৩ বার হয়,টোফেন খুই বিরক্তিকর ঔষুধ।সারা দিন যদি ঘুমাই তাহলে কাজ করব কখন?ক্লাসে গিয়েছিলাম টোফেন খেয়ে,স্যারের কথা কিছই বুজতে পারছিলাম না।প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলএটা খাবার পর মনে হয়েছে কাজে কর্মে মনোযোগ। অনেক কমে যায়।
একটা প্রস্ন সর্দির ওষুধে নেসার উপাদান মেশানো প্রয়োজন নাকি ঔষুধ কম্পানির প্রবনতা।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
টোফেন এর বদলে একটা নতুন ওষুধ বলি, উপকার হবে বলে মনে হয়। Tab Ebatin 10 mg, দিনে একটা।
উপকার হয় কিনা জানিও।
আপনার দেয়া ঔষধে এক ডোজেই কাজ হয়েছে। কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পর ঘুমে ছাড়তেই চাইছেনা।
এর আগে ফেক্সো, এ্যালাট্রল সহ আরও অনেক কিছুই ট্রাই করেছি, ঠিক মত কাজ হয়েছে বলে মনে হয়নি।
এইটাতে কাজ হয়েছে কিন্তু ঘুমেই শরীর কাহিল।
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
অনেক পুরানো পোষ্ট...
প্যারিস বাবু, কবর খুড়ে তুলেছেন, যাই হোক ...
অনেকেই বিশেষেত বাচ্ছারা সর্দি, কাশি, হাচিতে খুব ভোগেন।
বার বার ভোগেন, একটু চেঞ্জেই ভোগেন, শধু সর্দি, কাশি, হাচিতে কেন,
এরম অনেক সমস্যা আছে যারা বার বার ভোগেন। কিন্তু এই ভোগান্তি থেকে সুরাহা পান না।
কেবল ভুগেই যান।যাই হোক আমি এখন একটু এল্যোপ্যাথির বদনাম করবো, ঠিক বদনাম নয়,
এটা এই প্যাথির ড্র-ব্যাক।
যাদের ইম্যুনিটি বা অনাক্রমতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের বার বার এই সমস্যা হয়।
দেখবেন ওষধের ক্রিয়া যতক্ষন থাকে ততক্ষন ভালো থাকেন, ক্রিয়া কাল শেষ হলেই, সেই থোড় বড়ি খাড়া...
আবার এমনও দেখবেন, আপনি এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর আপনি প্রচন্ড দূর্বল হয়ে পড়েছেন...
এই দূর্বলতার কথা সবাই জানেন, কিন্তু কেন?
এল্যোপ্যাথি ওষধ আপনার ইম্যুনিটি বা অনাক্রমতাকে কখোনোই বাড়াতে পারেনা,
কিন্তু আপনি যদি ইম্যুনিটি কোনো প্রকারে বাড়ে বা এমন কোনো চিকিৎসা প্রনালীতে, সেটাকে বাড়াতে পারেন,
তাহলে আপনি সমস্যা গুলি থেকে অনেকটাই/ বা পুরোটাই মুক্তি পেতে পারেন।
৪০ ১৬-০৭-২০১৪ ১২:২৬ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন invarbrass (১৬-০৭-২০১৪ ১২:৩৪)
Re: সর্দিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা
যাদের ইম্যুনিটি বা অনাক্রমতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের বার বার এই সমস্যা হয়।
দেখবেন ওষধের ক্রিয়া যতক্ষন থাকে ততক্ষন ভালো থাকেন, ক্রিয়া কাল শেষ হলেই, সেই থোড় বড়ি খাড়া...
ব্যাপারটি কিন্তু ঠিক উল্টো। দুর্বল ইম্যুনিটি না, বরং হাইপার-এ্যাকটিভ ইম্যুনিটির কারণে এ্যালার্জী / এ্যাযমা ইত্যাদি সমস্যাগুলো হয়। ইম্যিউন সিস্টেমের কাজ হলো ক্ষতিকর জীবাণু, বস্তু ইত্যাদি ধ্বংস করা।
যাদের এ্যালার্জিক রাইনাইটিস, এ্যাযমা ইত্যাদি আছে তাদের ইম্যিউন সিস্টেম দুর্বল বলা যাবে না। বরং তাদের ওভার-এ্যাকটিভ ইম্যিউন সিস্টেমই উল্টো ঝামেলা পাকায় - যেসব বস্তু ক্ষতিকর নয় বা কম ক্ষতিকর (যেমনঃ ফুলের রেণু, পারফিউমের গন্ধ, পোষা প্রাণীর লোম, তাপমাত্রার পরিবর্তন ইত্যাদি) সেগুলোকে মারাত্বক গণ্য করে শরীরে রিয়্যেকশন তৈরী করে।
বাড়ীতে আরশোলা ঢুকেছে, আর দারোয়ান "ডাকাত পড়েছে! ডাকাত পড়েছে!" বলে চেঁচামেচি করে লাঠিসোটা হাতে পাড়া-প্রতিবেশী, পুলিস ডেকে এনে হামলা করছে - এ্যালার্জিক রাইনাইটিস, এ্যাযমা ইত্যাদির প্রক্রিয়াটা অনেকটা সেরকম। একই পরিবেশে ৯৯ জন লোকের কোনো প্রতিক্রিয়াই হয় না, অথচ একজন এ্যালার্জীক ব্যক্তির সেখানে শ্বাস নেয়াই দুরূহ হয়ে ওঠে।
ইম্যিউন সিস্টেম নিছক শক্তিশালী নয়, বরং ব্যালেন্সড হওয়া ভালো। অটো-ইম্যিউন ডিজওর্ডার বলে বেশ কিছু রোগ আছে (যেমনঃ রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, টাইপ ১ ডায়াবিটিস, লুপাস ইত্যাদি) যেখানে শরীরের মিসগাইডেড ইম্যিউন সিস্টেম নিজেই নিজের ক্ষতি করে। যেমনঃ অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন প্রস্তুতকারক কোষগুলোকে বহিরাগত বলে ভুল করে ধ্বংস করে দেয়, ফলে টাইপ ১ ডায়াবিটিস ডেভেলপ করে। আর্থ্রাইটিসে বিভিন্ন জয়েন্ট-গুলোকে ইম্যিউন সিস্টেম এ্যাটাক করে। লুপাসে বা SLE-তে সারা শরীরে অটোইম্যিউন এ্যান্টিবডী ডেভেলপ করে।
এসব রোগের কোনো কার্যকরী চিকিৎসা এখনো তৈরী হয় নি। শরীরের ইম্যিউন সিস্টেমটাকে দাবানোর জন্য স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।
আবার এমনও দেখবেন, আপনি এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর আপনি প্রচন্ড দূর্বল হয়ে পড়েছেন...
এই দূর্বলতার কথা সবাই জানেন, কিন্তু কেন?
ঠিক। এই ব্যাপারটির সঠিক ব্যাখ্যা গত এক-দেড় দশক ধরে পাওয়া যাচ্ছে জিনোমিক রিসার্চের সাম্প্রতিক উন্নয়নের কারণে।
নিজের "দেহ" বলে আমরা যেটা মনে করি - সেটা আসলে একটা কলোনী (বা শহর, গ্রাম হিসাবেও কল্পনা করতে পারেন) যার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা হলো জীবাণুরা! এই মুহুর্তে পিসি/ট্যাবলেটের সামনে মাংস-হাড়-রক্ত-চামড়ার যে ব্যাগটি এই লেখা পড়ছে, তাতে আপনার নিজের শেয়ার হলো বড়জোর ১০-১১%। যাকে "আমি" বলে দাবী করছেন আপনি, তার ৯০% জীন হলো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীবদের!
যতই রিসার্চ আগাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব জীবাণুদের ভূমিকা আছে। আপনি মোটা নাকি রোগা, মিষ্টি না টক খাবার পছন্দ, মুড ভালো না খারাপ এসব সাধারণ ব্যাপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুতর রোগ-বালাইয়ের পেছনে এদের ভূমিকা "আবিষ্কৃত" হচ্ছে। এমনকি, এই পুঁচকে জীবাণুরা তাদের হোস্ট মানুষটাকে কৃমিনাল টেনডেন্সীর দিকেও ধাবিত করতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। (R.I.P. আশরাফুল মাখলুকাত a.k.a. God's greatest creation with "free will" )
এ্যাণ্টিবায়োটিক সেবন করলে ক্ষতিকর জীবাণুর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া-রাও মারা পড়ে - যার কারণে বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমেরিকায় ঈদানীং আলসারেটিভ কলাইটিস সহ বেশ কিছু রোগের জন্য একটি অনন্য চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ দ্রুত ডেভেলপ করেছে - খুবই কার্যকরী, প্রায় ৯০% কিউর রেইট! বিস্তারিত জানার জন্যঃ faecal transplant বা এখানে দেখতে পারেন