Re: একটি সফল বানিজ্যিক রহস্য - বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল
আপনি বারমুদা টায়াঙগালকে মিথ্যা প্রমান করার চেচ্ছা করেছেন। আপনি বারমুদা টায়াঙ্গাল থেকে একবার ঘুরে আসুন। তারপর একটা স্টোরি করেন, আপনাদের মত কিছু লোক নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবে আর আমাদের ভাবে বোকা।বারমুদার মত আরো্ ৮ টা জায়গা আছে যা রহস্যময়। আর আপনি্ বিডিতে বসে সব সমাধান করে ফেল্লেন। আমরা সবাই কই ছাগল।যদি আপনি বারমুদা টায়াঙ্গাল এর মধ্যখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন তবে আপনার কথা বিস্সাশ করবো
ভাই তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বারমুডা গিয়ে রিপোর্ট করার কোন দরকার নাই। এখনো এই পৃথিবীতে অনরক রহস্য আছে ঠিক তবে একদিন তা আর রহস্য থাকবেনা।
আমি টেকবাংলা.নেট থেকে একটি পোস্ট কপি করে দিলাম আপনাদের সুবিধার জন্য। আশা করি বিষয়টা আরো সহজ হবে বুঝতে:
মূল পোস্ট: http://techbangla.net/index.php?showtopic=19239
[Posted 08 June 2008 - 04:37 PM
আজকে একটা টেলিভিশন শো তে দেখলাম বারমুডা ট্রায়াংগল। বিভিন্ন উৎসুক বিজ্ঞানী, পাইলট, ডাইভার, এবং আরো অনেকের সমন্বয়ে গঠিত টিম এই রহস্যের সমাধান করেছেন। অবশ্য একেই কেবল একমাত্র সমাধান বলে তারা নিজেরাও দাবী করছেন না। তবে তাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রমান করেছেন তাদের বক্তব্য ভুল নয়।
তারা বলতে চাইছেন যে বারমুডার অভ্যন্তরে রয়েছে অসংক্ষ্য গর্ত। এসব গর্তে আছে মিথেন নামক গ্যাস (CH4)। পানির ভেতরে এই মিথেন গ্যাস বায়ু হয়ে জমা হতে থাকে। হতে পারে বারমুডায় এই প্রক্রিয়া বেশ অহরহ এবং বিশালাকারে চলে। তাই সাগরে আটকে থাকা এসব বায়ু পানির উপরিভাগে আসার সময় বিশাল বিশাল সব ঢেউয়ের সৃস্টি করে। এই ঢেউগুলো এমন শক্তিশালী যে হাজার হাজার টন ওজনের জাহাজকেও এক মুহুর্তে ডুবিয়ে ফেলতে সক্ষম। অবস্থাটা এমন, চিন্তা করুন আপনি ছোট একটি নৌকায় চড়ে ভাসছেন, এবং এই সময়ে পানির নিচ থেকে আপনার নৌকা বরাবর কেউ যেন বাতাস ছেড়ে দিল। আপনি অবশ্যই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন। একি ঘটনা ঘটে জাহাজের ক্ষেত্রেও। এই শোতে আরো দেখানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার তৈরি একটি বিশালাকার খেলনা জাহাজ কিভাব দি-খন্ডিত হয়ে তা ডুবে যায়।
এতো গেল জাহাজের ব্যাখ্যা। তাহলে উড়োজাহাজগুলো কিভাবে হারিয়ে যায়? ভালো এবং যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন। লক্ষ্য করুন সাগরের নিচে থেকে উপন্ন হওয়া মিথেন গ্যাস এর কথা। এটা কেবল সাগরে বিশালাকার ঢেঊয়ের সৃস্টি করেই হারিয়ে যায়না। এই গ্যাস বাতাসে মিশে যায়। জমা হতে হতে বাতাসে এর পরিমান ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এই গ্যাসের কোন বিশেষ রং, বর্ন, গন্ধ নেই। সাধরনভাবে মিথেন কোন ক্ষতিকারক গ্যাস নয়, কিন্তু বাতাসে এটি খুব সহজেই আগুন সৃস্টি করে থাকে। বিজ্ঞানীরা একটি বিমান ইঞ্জিনে চালু অবস্থায় মিথেন গ্যাসের প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন যে ইঞ্জিনে খুবি স্বল্প পরিমান মিথেন গ্যাসের কারনেও ইঞ্জিন থেমে যায়। অর্থাৎ যখন বিমানগুলো বারমুডার উপরে দিয়ে উড়তে থাকে, তখন খুব সম্ভবত এই মিথেন গ্যাসটি বিমানের ইঞ্জিন থামিয়ে দেয় যার কারনে বিমানগুলো সাগরে পতিত হয়। রং, গন্ধ কিছুই নেই বলে কোথায় মিথেন গ্যাস আছে তা নির্ধারন করা বেশ কঠিন পাইলটদের জন্য। আর ঠিক এ কারনেই যেন মনে হয়ে সব কিছু বারমূডায় এসে অদৃশ্য হয়ে যায়।
আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে শো টি। অনেক কিছু জানতে পারলাম। তাই আপনাদের জন্য ছোট্ট এই প্রতিবেদন। ]