Re: মাইক্রোসফটের নতুন বিটলামি -- পরের ধনে পোদ্দারি
খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সার্ভার এবং রেগুলার সিস্টেমগুলোও চলে লিনাক্স ডিস্ট্রো ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ সেটা নিশ্চয়ই ওইসব দেশের প্রযুক্তিবিদরা আপনার কিংবা আমার চাইতে ভালোই বোঝেন।
ভালো আর কনভিনিয়েন্স এক জিনিস না। এক একটা অপারেটিং সিস্টেমের এক একটা দিক ভালো। এখানে ইউএস মিলিটারী লিনাক্স ইউজ করে বলে লিনাক্সই বেস্ট এটা কোনো কথা না। আমি যতটুক জানি ইউএস মিলিটারীর সব টেকনোলজী ওদের জন্য স্পেশালী কাস্টমাইজড। লিনাক্স ওপেনসোর্স হওয়ায় এটাকে নিজের মতো কাস্টমাইজ করে একটা আলাদা ডিস্ট্রো বানিয়ে চালানটাই ওদের জন্য বেশী সুবিধাজনক। যদিও সেই লিনাক্সের কতটুক সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছে সেটা একটা ভাববার বিষয়।
তবে আমার মতো এভারেজ কাস্টমারদের জন্য ম্যক/উইন্ডোজের পুরোপুরি রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে লিনাক্স আগামী এক যুগেও আমি দেখতে পারছি না। যত গুলা কম্পিউটার ল্যব আছে এখানকার ইউনিভার্সিটি গুলোতে সবখানে উইন্ডোজ নাহলে ম্যক। এমনকি আমাদের ইউনিভার্সিটির পোর্টাল গুলাও এই দুই অপারেটিং সিস্টেমের কথা মাথায় রেখেই বানানো। আর এখানে পড়াশোনার ৬০% কাজই আমাদের হয় পোর্টালে। তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী দাঁড়াচ্ছে উইন্ডোজের এই ম্যসিভ ব্যবহারের কোনো মূল্য নেই!
কবে এই জেগে ঘুমানোর আচরন বাদ দিবেন ভাই? নিজের ভালোটা নিজে বুঝতে শিখুন। প্রযুক্তির দুনিয়ায় একান্ত তথ্যের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হয়। কোন কোন মুঠোফোন কি কি কাজ করলে বা না করলে কিংবা কোন কোন পদ্ধতিতে কিংবা কোন কোন মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করলে নিজের তথ্যগুলোকে যথাসম্ভব সুরক্ষিত রেখে বর্তমানে ও আগামীতে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন মানুষকে সেই বুদ্ধি দিন। অযথাই ভয়-ভীতি প্রদর্শন কিংবা হুমকি দেবার মাধ্যমে মুক্তির পথে সংগ্রাম করা থেকে বিরত করার অপচেষ্টা না করাটাই কি মঙ্গলজনক নয়?
এখানে কথা হচ্ছে দুইটা, ১/ নজরদারী করে গভর্ণমেন্ট... তো? চোরের মন পুলিশ পুলিশ না হইলেই তো হয়। আপনি যদি ভালো থাকেন সেখানে নিশ্চয়ই নজরদারী করে আপনাকে কেউ জোর করে ফাঁসানোর চেষ্টা করবে না। নিরাপত্তার জন্য যে সব ডিসিশন সরকার নেয় সেগুলা বেশীরভাগই একটু অপ্রীতিকর হলেও এটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
২/ আমার চরম বিরক্ত লাগে যখন দেখি সবার এগুলা টপিক নিয়ে বিরক্তি/আক্রোশের শেষ নেই। কেন? রিয়েলেস্টিকলি যদি দেখি ব্যপারটা আমি তো বলবো এখনকার যুগে নিজের তথ্য এক পার্সেন্ট সুরক্ষিত রাখার কোনো উপায় নেই। বিশেষ করে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কোনো দেশে থাকলে। এখানে রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে, heck সামান্য গ্যস স্টেশনে, গ্রোসারী শপিংয়ে সবখানে সিকিউরিটি ক্যমেরা। আর মাথার উপরে স্যটেলাইট তো আছেই। আর যত কার্ডের লেনদেন হচ্ছে সবই ট্র্যকড!!! এই মূহুর্তে আমি এলাকার দোকানে কার্ড ঘষে কিছু কিনলেই আমার লোকেশন ডিটেক্টেড হয়ে গেলো!! হলিউডের মুভিতে এই একটা জিনিশই একটু কম রং মেখে দেখানো হয়। রিয়েল লাইফের ট্র্যকিং এর থেকে জঘণ্য এবং এর এক পার্সেন্টও আমাদের চোখের সামনে হয়না। এটা নিয়ে সিবিএস এর একটা ডকুমেন্টারীও আছে।
সভ্য সমাজে চলতে হলে, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে, সেলফোন চালাতে হলে, যত্রতত্র ছবি তুলে শেয়ার করতে হলে.. এননমিনিটি বলতে কোনো শব্দের অস্তিত্বই থাকেনা। যদিও সেই হিসেবে বাংলাদেশে অনেক বেশী সেইফ -- কোটি মানুষের মধ্যে কিসের ট্র্যকিং কিসের কি। সেই হিসেবে যারা এননিমিটি নিয়ে ভাবেন তাদের জন্য আমাদের দেশ হলো স্বর্গ! এগুলা নিয়ে চিন্তা করে বাড়াবাড়ি করাটাই বরং এখন একটু হাস্যকর।
গিকি কমেন্ট চাইলেই করা যায়। তবে মাঝে মধ্যে জনসংখ্যার বিশাল এক গোষ্ঠীকে টার্গেট করে গিকি কমেন্ট করলে সেটা একটু obnoxious শোনায়।