টপিকঃ রেসিপি বাই জেমস বন্ড - মিষ্টি কুমড়া উইথ চিংড়ী পোকা
সবাইকে গুড মরনিং ,
ইদানিং ফোরামে ব্যাপক রান্নার কপচা কপচি দেখে আমি ও ভেবেছিলাম কিছু শেয়ার করবো কিন্তু সাহসে কুলোচ্ছিলো না । আজ "ডিম ভাজি" দেখে মনডায় কয় পানি খাওয়ার রেসিপি দিই একটা । কিভাবে পানি খাবেন - একটা গ্লাস ভাল করে ধুয়ে কলপাড়ে গিয়ে কল চালু করবেন, তারপর গ্লাসে পূর্ণ পানি নিয়ে ঠোঁট ফাঁক করে মুখের ভিতর ঢেলে দিন । আস্তে আস্তে গিলুন । হ্যা এইতো হয়ে গেলো পানি খাওয়া । নাহ ! এত কঠিন রেসিপি দেয়া যাবে না একটু সহজ রেসিপি দিচ্ছি , অবশ্য আমি ও এইটা কারো থেকে কপি করেছি তবে জিনিসটা আমিই বানিয়েছিলাম
। জীবনে পত্তুম রান্না ( আবেগে কাইন্দ্যালছি) । চলুন শুরু করি -
উপকরণ:
১। মিষ্টি কুমড়া = অপছায়া জল কনার টাইমলাইনে গেলেই পাবেন , উনি ডিলার হইছেন শুঞ্চি
২। চিংড়ি মাছ ( আসলে এইটা পোকা ) = দোকানে পাবেন
৩। পেঁয়াজ কুচি= ৩/৪টি
৪। মরিচ= ডিপেন্ড করছে ঝাল প্রিয় নাকি অপ্রিয় ।
৫। রসুন কুচি= ২/৩টি(দেশী হল) আমি বিদেশী দিয়েছি
৬। হলুদ গুঁড়া= এক চা চামচ
৭। জিরা গুঁড়া= এক চা চামচ
৮। তেজ পাতা= ৩টি
৯। কালো জিরা= এক চিমটি
১০। তেল= পরিমান মত
১১। লবন= পরিমান মত
১২। কড়াই = যত বড় কুমড়া তত বড়ো কিন্তু খাবার নয় সো মিডিয়াম হলে ও চলবে
১৩। খুন্তি অথবা চামচ = লাড়ালাড়ি বা নাড়ানাড়ি করবেন কি দিয়ে
১৪।একটা চুলা = চুলায় যাতে আগুন ধরেন আবার শুধু চুলো নিয়ে বসে থাইকেন না ।
১৫। পানি = লাগতে পারে
প্রক্রিয়া প্রনালী ঃ-
প্রথমে জলকামান এর কাছে থেকে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে আসুন, না দিলে জোড় করে নিয়ে আসবেন । তারপর ছাল বাকলা উঠিয়ে ভাল করে আধ ইঞ্চি পরিমাপ মতন কেটে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এবার চিংড়ি মাছ কিছু নিয়ে সেটা ও ভাল করে ধুয়ে ফেলুন । এবার চুলোয় আগুন জ্বালান । সিগারেটখোড়দের পকেটে লাইটার আছে সেটা দিয়েই জালান আর যারা সিগারেট খান না তাদের একরাশ আফসুস । চুলা জ্বালিয়েছেন ! ওয়েল এখন কড়াই/পাতিল উপরে চাপিয়ে দিন । এবার তেল ঢালুন পরিমাপ মতন ( আমি চা কাপ আধা তেল দিছিলাম ) । তেল একটু গরম হলে পেঁয়াজ কুচি আর লবন আর দু চারটে মরিচ দিন । আবার নাড়তে থাকুন ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না পেয়াজে লালচে কালার ধারন করে । পেঁয়াজ লালচে হবার পর এবার কিছু হলুদের গুড়া দিন । এবার ধুয়ে তুলে রাখা চিংড়ি মাছগুলো ঢেলে আবার নাড়ুন । ৩/৪ মিনিট কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো বেছে বেছে একটা বাটিতে তুলে রাখুন । এবার ঐ মাছ কষানো কড়াইতেই মিষ্টি কুমড়ো গুলো ছেড়ে দিন , এবার নাড়ানাড়ি করতে থাকুন ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না আপনার হাতের কব্জা ব্যাথা ব্যাথা করে । কি ? হাতের কব্জা ব্যাতা করে নি
, যান এবার পানি ঢালুন পাতিলে । পানিগুলোতে মিষ্টি কুমড়ো থেকে একটু বেশি দিবেন । মিষ্টি কুমড়া ডুবু ডুবু থাকবে এজ লাইক লাইফজ্যাকেট পড়ে আপনি যেমন থাকবেন ঠিক তেমন
। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন আর ঢাকনা না থাকলে আপনি বসে পড়ুন
। এখন একটা গান শুনতে পারেন , আমি ন্যান্সি আজরামের ইয়া ট্যাব ট্যাব , বাদাল্লা গানটা শুনতে ছিলাম । গান শেষ এবার পাতিল উল্টিয়ে দেখুন মিষ্টি কুমড়ো নরম হয়েছে কি না , না হলে আবার গান ছাড়ুন । আবার গান শেষে এবার ঢাকনা উল্টিয়ে দেখুন কি অবস্থা ! যদি নরম হয়ে থাকে তাহলে খুন্তি দিয়ে গুতা মারুন । গুতাইয়া গুতাইয়া ঐ মিস্টী কুমড়া ভেঙ্গে ফেলুন । ভেঙ্গে কিছুক্ষন নাড়ানাড়ি করুন , নাড়তেই থাকুন । নাড়তে নাড়তে ঘন হয়ে এলে তুলে রাখা চিংড়ী মাছ ঢেলে দিন তারপর কিছু তেজপাতা ( আবার গাছের পাতা দিয়েন না ) দিন । এবার আগুনের তাপটা একটু কমিয়ে দিন । এবার অন্য চুলোয় একটা কড়াইয়ে অল্প ২/৩ চা চামচের তেল দিয়ে সাথে রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন । রসুন লাল লাল হলে কালিজিড়া ছেড়ে সেটাকেও নাড়ুন । কিছুক্ষন পড় কালিজিড়া তেল আর রসুনের ফোড়ন টাকে ঐ মিস্টিকুমড়ার পাতিলে ছেড়ে দিন । হালকা নাড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলুন । এবার আধপট চাউল নেন । ভাল করে ধুয়ে চুলোয় বসিয়ে গান ছাড়ুন । ভাত মাঝে মাঝে চেক করবেন নড়ম হয়েছে কি না , নরম হয়ে গেলে নামিয়ে মাড়/ফেন গালুন । তারপর একটা থাল নেন । ভাল করে ধুয়ে ভাত থালের মধ্যে ঢালুন । তারপর কুমড়ার পাতিল থেকে তরকারির চামচে ৬/৭ চামচ কুমড়া নিন । ভাল করে মাখিয়ে হা করে গলধকরন করুন ।
রান্না হলে দেখতে ঠিক এরকম হবে -
আমার রান্না করা জীবনের পত্তুম তরকারী এবং ফোরামে পত্তুম রেসিপি । ফিলিং আবেগে -
পাঁড়ফোরামিকঃ২২/০৩/২০১২, প্রজন্ম গুরুঃ০৯/০৪/২০১২ ,পাঁড়-প্রাজন্মিকঃ২৭/০৮/২০১২,প্রজন্মাচার্যঃ০৪/০৩/২০১৪।
প্রেম দাও ,নাইলে বিষ দাও