টপিকঃ একটু সতর্ক হউন

সময়ের সাথে সাথে মানুষের বাস্ততা বেড়ে যাচ্ছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য মানসিক দক্ষতার সাথে সাথে শারীরিক দক্ষতাও আবশ্যক। অধিকাংশ কর্মজীবী নারী পুরুষরা তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অসচেতন।অনেকেই বলে থাকেন আমার যথেষ্ট এনার্জি, খাবার দাবার নিয়ে এত সচেতনতার দরকার নেই, এটি সম্পূর্ণই ভ্রান্ত ধারণা । আজ যদি আপনি  অনিয়ম করেন তবে তার ফল জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে ভোগ করতেই হবে ।সকালে চেষ্টা করুন তাড়াতাড়ি ওঠার , ঘুম থেকে উঠে দাত মাজার পূর্বেই ১০-১২ দানা কালোজিরা চিবিয়ে দুই গ্লাস পানি পান করুন । নিয়নিত এ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন। কর্মজীবী মহিলাদের প্রায়শই একটা কথা বলতে শোনা যায়, আর বলবেন না আপা সকালের তাড়াহুড়ায় নাস্তা করার সময় পায়নি । সবসময় মনে রাখবেন একটা দীর্ঘ রাত্রি মানে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা আপনার শরীর খাদ্য থেকে বঞ্চিত হয় সুতরাং সকালের নাস্তা আবশ্যক। নাস্তা বলতে অনেকের মধ্যেই  কোন রকমে নাকে মুখে কিছু গুঁজে বাইরে বের হয়ে যাবার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায় , এটা কখনই করবেন না। সকালে পুষ্টি সমৃদ্ধ একটু ভারি খাবার খান যেমন লাল আটার রুটি ,সবজি ,ডিম ইত্যাদি অনেক সময় তাড়াহুড়োয় রুটি বানানোর সময় পাওয়া যায়না সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে  বিভিন্ন   ধরনের সবজি মিশিয়ে সবজি খিচুড়ি বানিয়ে ফেলতে পারেন। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তিনবেলা ভাত খাওয়া বাজে একটা অভ্যাস সুতরাং অন্তত একটা বেলা ভাতের বদলে অন্য কিছু খাবেন । বাইরে বের হবার পূর্বে পরিবারের সবাই বাসায় ফুটানো বিশুদ্ধ পানির বোতল সাথে নিন কারন ঢাকা শহরে অফিস আদালতে নীল রঙের কনটেইনারে যে ফিল্ট্রেট পানি সরবরাহ করা হয় তার বিশুদ্ধতার ব্যাপারটা প্রশ্ন সাপেক্ষ । আপনার সন্তানের ব্যাগ চেক করে নিন সেখানে পানির বোতল রয়েছে কিনা কারন শিশুদের ইম্যুনো সিস্টেম বড়দের তুলনায় দুর্বল হওয়াই তারা দ্রুত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগে আক্রান্ত হয় ।কর্মস্থলে অনেকেই দুপুরের খাবার এর সময় থালা সাজিয়ে বসেন, এই অভ্যাস পরিহার করুন, দুপুরের খাবার হজম হতে একটু বেশি সময় লাগে সুতরাং বেশি খেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় ফলে ঝিমুনি এসে যায় অনেকে সেই ঝিমুনি কাটানোর জন্য কড়া করে দুধ চা পান করেন ।দুপুর চা পানের উপযুক্ত সময় নয় ।সকাল এবং সন্ধার সময় চা পান করুন এবং চেষ্টা করুন সেটা যেন লাল চা হয় । বিকালের নাস্তা হিসেবে বাইরের ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না অনেক সময় বন্ধু বান্ধবের সাথে থাকলে তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করা যায়না সেক্ষেত্রে খাবার পূর্বে অবশ্যই আধা গ্লাস মতো পানি পান করে নেবেন এবং খাওয়া শেষে দুই গ্লাস মতো পানি পান করবেন। রাতের খাবার টা পরিবারের সবার সাথে বসে সময় নিয়ে খাবার চেষ্টা করুন।ভাত কম খাবেন ভাতের বদলে সবজি, ডাল, সালাদ এসব বেশী করে খান। আজকাল দেখা যায় রাতের খাবারের প্লেট নিয়ে অনেকেই ড্রয়িং রুমে চলে আসেন এবং টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া শেষ করেন , খাবার সময় টিভি দেখার অভ্যাস পরিহার  করুন। ডাইনিং টেবিল এ বসে মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান নতুবা হজমের সমস্যা হতে পারে । মনে রাখবেন আপনি যে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলবেন আপনার সন্তান ও তাতেই অভ্যস্ত হবে। রাতের খাবার অন্তত দু ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাবেন । এবার মহিলাদের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ কিছু কথা , আমাদের সমাজে মেয়েদের নিজেদের তৈরি একটি অলিখিত ধারা আছে তারা সব সময় স্বামী এবং সন্তানের পাতে সেরাটা তুলে দিয়ে নিজেরা হাবিজাবি খায়, এ নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসুন। মাতৃত্ব জনিত কারনে ৩৫ এর পর পর ই মেয়েদের শরীরে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে, এ ঘাটতি পুরনের জন্য আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত ডিম খাবেন এবং স্বামী সন্তানকে দেবার সাথে সাথে নিজেও এক গ্লাস করে দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন, দরকার হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন । প্রচুর পানি পান করুন মাঝে মাঝে বাইরে বের হবার সময় পানির বোতলে দু চামুচ গ্লুকোজ মিশিয়ে নিন। শেষ করব আর একটি গুরুত্ব পূর্ণ কথা দিয়ে, কোন ধরনের অসুখ কে অবহেলা করবেন না সেটা যতই ছোট হোকনা কেন।  শরীরে দীর্ঘদিন ধরে রোগ পুষে রাখলে পরবর্তীতে জটিল আকার ধারন করে । আর মাথা বাথা বা অন্য বাথায় হুট হাট করে পেইন কিলার খাবেন না । সবাই সুস্থ থাকুন, মনে রাখবেন আপনার সুস্থতা অনেকাংশেই আপনার সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দান করে।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পর তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার . . . . . .

Re: একটু সতর্ক হউন

ওয়াও খুব সুন্দর পোষ্ট আপু

আমি সকালে রুটি খাই....... এক গ্লাস গরম পানির সাথে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খাই

কিন্তু দুধ খাইলে নাকি মোটা হয়ে যায় মানুষ তাহলে কি করব ।

Re: একটু সতর্ক হউন

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পর তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার . . . . . .

Re: একটু সতর্ক হউন

আপু,ভাজা পোড়া খাওয়ার আগে এবং পরে পানি পান কী হজম কম হওয়ার জন্য? ? কেননা আমি জানি যে,খাওয়ার সাথে সাথে পানি খেলে হজমে সমস্যা হয় !

স্নিগ্ধ শুভ্রতায় আমি. . . . .

Re: একটু সতর্ক হউন

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পর তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার . . . . . .

Re: একটু সতর্ক হউন

চিন্তার বিষয়, এখন থেকে অভ্যাস বদলাতে হবে...