টপিকঃ পেপল নিয়ে আরেকপ্রস্থ...
খুবই পুরনো টপিক! বহুবার চায়ের কাপে ঝড় বয়ে গেছে এ নিয়ে। শুধু একটা স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য এই টপিক খুললাম।
গত বছরের জুলাই মাসের এরকমই কোনো এক দিনে সরকারি উচ্চপদস্থ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকজন ব্যাংকারের সঙ্গে একটি বৈঠকে কিছু কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। বিরতিতে চা খাবার ফাঁকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কবে পেপল দেশে চালু হতে পারে সেই বিষয়ে। তাঁরা জানিয়েছিলেন, পেপলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে। প্রাথমিক সমস্ত ঝামেলা শেষ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের (২০১২ মালের) মধ্যেই পেপল চালু হয়ে যাবে। আশায় বুক বাঁধলাম।
সেই সেপ্টেম্বরে পত্রিকার পাতায় দেখেছিলাম, কোনো এক মন্ত্রী (সম্ভবত অর্থমন্ত্রী) আশা দিয়েছিলেন, কাজ অনেকদূর এগিয়ে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতেই পেপল চালু হবে। আগেরবারের বুকের বাঁধন খুলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধলাম।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে কোনো খবর পত্রিকার পাতায় পেলাম না। পেপল ওয়েব সাইটে দু-চারবার চেক করে দেখলাম বাংলাদেশের নাম আছে কিনা। নেই। ফেব্রুয়ারির কোনো এক সময়ে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানলাম- সবকিছু চূড়ান্ত। জুন মাসের আগেই চালু হবে পেপল। নতুন বছর, তাই নতুনভাবে বুক বাঁধলাম- অবশ্যই আশায়।
জুন মাসেও যখন পেপল পেলাম না, ধারণা করলাম, যেহেতু সবকিছু চূড়ান্ত, নতুন অর্থবছর, অর্থাৎ জুলাই থেকে পেপল চালু হবে। তেমন কোনো খবর অবশ্য দেখছি না। আগেরবারে আশায় যে বুক বেঁধেছিলাম, সেই বাঁধন খুলে রেখেছি নতুন করে বাঁধার আশায়। কিন্তু কোথাও থেকে কোনো ধরনের আশ্বাসবাণীও পাচ্ছি না যে, আশায় বুক বাঁধার প্র্যাকটিসটা চালিয়ে যাব। ফলে আশায় মরীচিকা ধরছে খুব দ্রুত।
কেন যেন মনে হচ্ছে, নির্বাচনের আগে তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের মন জয় করতে আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে পেপল চালু হতে পারে। ততোদিনে আশা বিরক্তিতে পরিণত হয় কিনা ভাবছি।