Re: বিষয়ঃ হোমিওপ্যাথি ____ ঔষুধ না কি ফাকি?
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » স্বাস্থ্য » বিষয়ঃ হোমিওপ্যাথি ____ ঔষুধ না কি ফাকি?
চিকিৎসাবিজ্ঞানের শাখা হিসেবে হোমিওপ্যাথির স্বীকৃতি নাই। যদিও আয়ুর্বেদিক কিংবা ইউনানির এগুলোর পর্যন্ত স্বীকৃতি আছে। হোমিওপ্যাথিকওলারা এখন পর্যন্ত তাদের ওষুধের শক্তিমত্তার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দেন, তা সাধারণ রসায়নের সূত্রের বিপরীত।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কীভাবে কাজ করে? বড়দের না হয় প্লাসিবো ইফেক্টে কাজ করে কিন্তু শিশুদের? একবার একজনের কাছে শুনেছিলাম, অনেক সময় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা প্রথাগত ওষুধের বদলে র ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করেন, যা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়- সত্যাসত্য জানা নেই। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বীকৃতি না পাওয়া সত্ত্বেও কিংবা রসায়নের বিপরীতে স্রোতে অবস্থান করা সত্ত্বেও শিশুদের ওপর এর প্রভাব কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে বিশদ জানতে আগ্রহী।
...এটুকু মনে পড়ে, একসময় চলতিপত্র নামক একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিনে ফ র আল হাসান বা ফ র মাহমুদ হাসান নামক এক ব্যক্তি হোমিওপ্যাথ চিকিৎসাকে আক্রমণ করে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। হোমিওপ্যাথ কলেজের অনেক শিক্ষক তখন পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, কিন্তু ফ র ... হাসান সাহেবের সামনে কেউ দাড়াতে পারেন নি।
ফ র আল হাসান যাই বলুক ভাই হোমিও তে কাজ হয় সেটাই হল আসল কথা।
সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে প্রায়ই যেতাম। আমার বন্ধু পড়ত ওখানে। সেই সুবাদে, আমার হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার বন্ধুর সংখ্যা অনেক। তাদের কাছে সামুর লিংক দিতেই সবাই তীব্র প্রতিবাদ জানাল। বলল, যা লিখেছে সেটা নাকি অজ্ঞতা থেকে লিখেছে। তারা সঠিক জিনিষটা জানাতে চায়। বাট, সামুতে একাউন্ট খুলে কেউ সাথে সাথে কমেন্ট করতে পারছে না। আমার মনে হয়, একটা সিদ্ধান্তে না এসে ওদের কথাও শোনা দরকার।
ঠেলা দিলাম
দেখি এর সাথে আরও কিছু যোগ হয় কি না!!!
(রিসেন্ট এক ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে হয়েছে তাও ১ মাস পরের, একজনের রিকোয়েস্টে )
একবার পায়ের পাতায় ধাক্কা লেগে ব্যাথা। এক সপ্তাহ ধরে ভুগলাম। বাপজান হোমিও অষুধ এনে খাওয়ালো। যেই লাউ সেই কদু।
কানের ব্যাথাতেও সেইম কাহিনী। অবশ্য আমার কানের সমস্যা ছোটবেলা থেকেই।
কথা হল....এত জনের বেলায় যে জিনিস কাজ করল(ইভেন পশু-পাখি)...তাহলে আমার বেলাতে কাজ করেনি কেন...আমি কি তাইলে সেলেস্টিয়াল বিয়িং টাইপ কিছু?
আমার বাসায় তিনটা হোমিও ঔষধ সবসময় থাকতো, থাকে।
১। Calendula Q - ক্যালেন্ডুলা হল গাঁদা ফুলের নাম; Q হল পাওয়ার - এটা মাদার টিংচার বা শূণ্য পাওয়ার (অর্থাৎ ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি)। হোমিওপ্যাথিতে সাধারণত সকল ঔষধেরই Q (মাদার), 6, 30, 200, 1M (M=১০০০), 10M, 50M, CM পাওয়া যায়।
নাম শুনে নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন এটা কিসের ঔষধ হতে পারে .... ... জ্বি এটা কেটে ছড়ে গেলে সেখানে দেয়া হয় (খাওয়া না কিন্তু, সরাসরি চামড়ায় প্রয়োগ)। গাঁদা ফুলের পাতার রস দিয়ে কাঁটা ছেড়া সারানোর ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই জানতাম। তবে স্পিরিট মেশানো বলে একটু জ্বলবে। কিন্তু এটা একটা ম্যাজিক ঔষধ।
আমার বউএর নাক দিয়ে রক্ত পড়তো। নাকে সুড়সুড়ি অনুভুতি হলে টিসু পেপার দিয়ে নাকের ভেতর পরিষ্কার করলে সেটাতে দুই-এক ফোটা রক্ত লেগে থাকতো। তখন জাপানে থাকি। নিয়মিত ENT বিশেষজ্ঞের চেম্বারে যেতে হয়, উনি বিভিন্ন ঔষধ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডোজ কমিয়ে বাড়িয়ে দিলেন। দেড় মাস পরেও এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি তবে ঐ ঔষধ খেলে ঘুম পেত। এরপর ফাইনাল পদ্ধতি হিসেবে নাকের ভেতরে ওয়েল্ডিং করে রক্তনালীর ফুটা বন্ধ করলেন -- ওয়েল্ডিং মানে একটা প্লায়ার্সের মত যন্ত্র দিয়ে ঐ ক্ষতটা চিপে বন্ধ করে দিলেন। বউএর চেয়ে আমার জাপানি ভাষার দক্ষতা ভাল ছিল জন্য সব সময় অনুবাদক হিসেবে ওর সাথে আমাকে থাকতে হত, তাই আমার চোখের সামনের সব হত। চিপা দিয়ে বন্ধ করার সময় চামড়া পোড়ার গন্ধ পেয়েছিলাম। যা হোক সেই চিকিৎসাতে সম্ভবত ৩ কি ৪ দিন, বড়জোর এক সপ্তাহ রক্ত পড়া বন্ধ ছিল। তারপর আরেকদিন হাঁচি দেয়ার পর আবার সেই রক্ত পড়া। এবার আমি একটু বিরক্তই হলাম। বললাম নাকে ক্যালেন্ডুলা দাও। আঙ্গুলের ডগায় এক ফোটা দিয়ে ভিজিয়ে সেটা নাকের ভেতরে লাগানো হল। পরদিন থেকেই সমস্যা ভাল ---- নাকের রক্ত পড়ার সমস্যা এরপর গত ৭ বছরে এখনও হয়নি।
বাসায় কেটে গেলে, ছড়ে গেলে ক্যালেন্ডুলা ছাড়া কিছুই ব্যবহার করতে হয় না। বেশি বড় কাটা হলে, সেটাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে, সেই ব্যান্ডেজের উপরে এক-দুই ফোটা করে ক্যালেন্ডুলা দেয়া হয় -- এতে ব্যান্ডেজ ভিজে সোক করে একটু একটু করে ক্যালেন্ডুলা জায়গাতে লাগে --- একটু জ্বলে, কিন্তু দ্রুত এবং কোনো রকম ইনফেকশন না হয়ে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
হোমিও ওষুধের দোকানে গিয়ে বলতে হবে ক্যালেন্ডুলা মাদার টিংচার দেন। আমি সাধারণত এক আউন্সের বোতলে কিনে রাখি -- সম্ভবত ৩০ টাকা দাম। বেশি কিনে রেখে লাভ নাই -- কারন বিশেষত ঠিকভাবে টাইট করে না লাগালে স্পিরিট উড়ে যায় - শুকিয়ে যায়।
কিছু ক্ষত আছে, যেমন চুলকাতে চুলকাতে পায়ের কিছু জায়গা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় -- তখন কিছু পরিমান পমেডের (জেলি) মধ্যে কয়েক ফোটা ক্যালেন্ডুলা দিয়ে সেটা আঙ্গুল দিয়ে ভালভাবে খচাখচি করে মিশিয়ে তারপর সেই ক্রিম বা পমেড ক্ষতস্থানে দেই। এতে জ্বলেও কম, কিন্তু দারুন কাজ হয়। গরমে বেশি হাঁটাহাঁটি করলে এমন এমন জায়গায় ছড়ে যায় যা কাউকে বলা যায় না, ক্যালেন্ডুলা জিন্দাবাদ। আবার আমার মেয়ে ডায়াপারে টয়লেট করে ফেলেছিলো একবার ঘুমের মধ্যে -- আমরা টের পেতে পেতে অন্তত আধাঘন্টা পার হয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছিলো পায়খানা একটু এসিডিক হওয়াতে ওগুলো লাগলে চামড়া ছড়ে যায়, জ্বলে। গামলায় হালকা গরম পানিতে ১৫-২০ ফোঁটা ক্যালেন্ডুলা দিয়ে মেয়েকে দুয়েকবার বসিয়ে রাখি -- এতেই দ্রুত সেরে যায়।
২। Arnica Mont. Q, 30 - আর্নিকা মাদার টিংচার এবং থার্টি - মাদার টিংচার সলুশন আকারে এক আউন্সের বোতলে, আর পাওয়ারেরটা গ্লোবিউলসে (সাদা সাদা চিনির গুল্লিতে) এক ড্রাম (ড্রাম = কড়ে আঙ্গুল সাইজের বোতল)। দাম এক আউন্সের ৩০ টাকার মত, এক ড্রামের দাম ম্যাক্সিমাম ১২ টাকা হতে পারে (সব দেশী)। বিদেশি বোরিক এন্ড ট্যাফেল (বিটি) কোম্পানির ঔষধ কেনা জরুরী না -- ওগুলোর দাম বেশি। শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্থান, জার্মানি, আমেরিকা -- এরকম বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতকৃত ঔষধ আছে (বিটি)। জার্মানি আর আমেরিকাতে হোমিও ঔষধ তৈরী হয় -- এটা জেনেও মানুষ ভাবে হোমিও দেশি সস্তা একটা পদ্ধতি মাত্র!
আর্নিকা হল আঘাতের ঔষধ। ব্যাথা পেয়ে ফুলে নীল হয়ে গেছে -- দিনে ৩/৪ বার ওখানে আর্নিকা লাগাই (এক্সটার্নাল, মানে চামড়াতে ... খাওয়া নহে)। কিছু জায়গায় ব্যান্ডেজ বা তুলা দিয়ে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে সেই তুলাতে মাঝে মাঝে দুই এক ফোটা আর্নিকা মাদার টিংচার ঢালি। বেশ কার্যকর ঔষধ। অন্তত জাপান থেকে আনা স্পোর্টসম্যানদের জন্য আঘাতে লাগানো প্যাড-ব্যান্ডেজের চাইতে দ্রুত কাজ করে।
আঘাত সারা নিয়ে একটা মজার অভিজ্ঞতা হল, কিছু কিছু ব্যাথা শরীরে দৌড়াদৌড়ি করে। আগে হয়তো বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ায় ছিলো, আর্নিকা দেয়ার পর দেখা গেল সেটা পাশের জোড়ায় চলে গেছে। আবার সেখানে ঔষধ।
৩। Cantharis Q -- পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে দেয়ার জন্য। এটা নিয়ে বেশি অভিজ্ঞতা নাই। তবে দুয়েকবার হাতে গরম ছ্যাকা বা তেল পড়ার পর দিয়ে দ্রুত আরোগ্য পেয়েছি।
এছাড়াও বাসাতে প্রচুর ঔষধ আছে। কারণ সমস্যা হলে ডাক্তার চাচাকে (আপন চাচা, নিজেকে হাতুড়ে ডাক্তার বলে দাবী করেন) ফোন দেই, তখন উনি ঔষধ বলে দেন। সাথে না থাকলে সমস্যা -- কারণ হয়তো রাত ১২টায় সমস্যা হয়েছে, ইমিডিয়েটলি ঔষধ দিলে ভাল হয়। গত কয়েক সপ্তাহে জ্বর টাইপের জিনিষগুলো এভাবেই ট্যাকল দেয়া হল।
আমার পিচ্চির একবার ভীষন জ্বর + স্টোমাক আপসেট হল। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিয়েছেন -- বাচ্চাদের এন্টিবায়োটিক সিরাপ। কিন্তু সেই জিনিষ ওর মুখের কাছে নেয়া যায় না। গন্ধ নাকে গেলেই ওয়াক ওয়াক করে বমি, এ কথা শুনে ব্র্যান্ড পাল্টিয়ে দিয়েছে - তাতেও লাভ হয় নাই। তাই সকলে মিলে ওকে চেপে ধরে খাওয়াই -- খুবই মর্মস্পর্শী ব্যাপার। রাতে পেটে গ্যাস, ঢেকুর ইত্যাদি। এরকম ঘটনা কয়েক মাসের ব্যবধানে আরেকবার হল। সেবার একরাতে ওর এই কান্না, বিশেষত বার বার ঔষধ বমি করে করে বিছানা, আমার কোল, শরীর ভাসানো সহ্য করতে না পেরে চাচাকে ফোন দিলাম (রাত সাড়ে ১২ টায়)। উনি যেই ঔষধ বললেন সেটা অনেক আগেই ওনার সাজেশন অনুযায়ী কিনে রাখা ছিল (শুধু ওটা না সম্ভাব্য আরো কয়েকটা ঔষধ কেনা ছিল)। সেই ঔষধ (ইপিকাক ৬) খাওয়ানোর ১০ মিনিটের মধ্যে বাচ্চা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন খাওয়ার রুচি আসলো, ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান বন্ধ -- শরীর দূর্বল, কিন্তু দুষ্টামী আগের মতই - অর্থাৎ শরীরে হিলিং প্রসেস শুরু।
মজার ব্যাপারটা হল কিছুদিন আগে। আমার বাচ্চা গাড়িতে উঠলেই বমি করে - যথারীতি প্রিয় বাবার গা-কাপড় ভাসায়। গাড়িতে সেজন্য সবসময় কাঁথা মজুদ রাখা হয় - বমি ভাব আসলেই মুখের সামনে কাঁথা বিছিয়ে ধরা হয়। ওতে বমি করলে সোক করে নেয়, ফলে অন্য জায়গাগুলো রক্ষা পায়। ব্যাপার হল, একদিন এরকম বমি করার সময় খেয়াল করলাম, ওর এক পর্যায়ে গ্যাস ঢেকুর উঠে। এটা দেখে মাথায় ঝিলিক দিল যে ও যখন অসুস্থ ছিল তখন এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর সময়েও এরকম গন্ধ ঢেকুর উঠতো। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে পরদিন আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় ওকে ইপিকাক ৬ খাওয়ায় রওনা দিলাম --- ম্যাজিক, ভাই ম্যাজিক। পুরা রাস্তায় কোনো বমি ভাব হয়নি। এরপর কৌতুহলী হয়ে Ipecac দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখি এই নামে একটা সিরাপ, বমি হওয়ানোর ঔষধ হিসেবে, ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এলোপ্যাথিতেই ফার্স্ট এইড বক্সে থাকতো। কেউ বিষাক্ত কিছু খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে বমি করিয়ে সেটা বের করানোর জন্য এটা খাওয়ানো হত। পরবর্তীতে আরো গবেষনায় কিছু খারাপ দিক পাওয়াতে এটা বাদ দেয়া হয়। এটা আদার মত একরকম বিশেষ মূল থেকে তৈরী। ফোন করে চাচাকে (কুড়িগ্রামে দাদাবাড়িতে থাকেন উনি) জানালাম। উনি মেটেরিয়া মেডিকা দেখে আরও নিশ্চিত হলেন। পরবর্তী ঘটনা হল, তখন বাড়িতে আমার ছোট ভাই বেড়াতে গিয়েছিল। ওর তিন পিচ্চি'রও গাড়িতে উঠলেই বমির অভ্যাস। আসার সময় ওদের তিনজনকেই ইপিকাক খাওয়ানো হয়েছে কয়েক ঘন্টা পর পর -- কুড়িগ্রাম টু ঢাকা - পুরা রাস্তায় কেউই বমি করেনি। এখন তাই ৪র্থ ঔষধ হিসেবে Ipecac 6, 30 সবসময় সাথে থাকে।
অনেক লম্বা লেখা হয়ে গেল। আমি এখানে ৪টা ঔষধের নাম লিখেছি। ইংরেজি নামগুলো দিয়ে গুগল করলে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » স্বাস্থ্য » বিষয়ঃ হোমিওপ্যাথি ____ ঔষুধ না কি ফাকি?
০.০৮৪৬৯৯৮৬৯১৫৫৮৮৪ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৫৯.৯৯৯৯৩৮২০৮১১৪ টি কোয়েরী চলেছে