টপিকঃ কোটাপ্রথা নিপাত যাবে, মেধাবীরা মুক্তি পাবে
দুঃখিত মাননীয় সরকার
পিএসসি কাকে নিয়োগ দিবে সেটা পিএসসির ব্যাপার,আপনার সেখানে অনধিকার চর্চা না করাই ভাল।
পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এটা আপনার কোন পৈত্রিক সম্পত্তি নয় যে আপনি যা ইচ্ছা তাই করবেন।
আপনি যদি নিজেকে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের উত্তরসূরী মনে করেন তাহলে ভিন্ন কথা।
সামনে নির্বাচন জনগন আপনাকে যে চাকরিটা দিয়েছে সেটা টিকিয়ে রাখতে পারেন কিনা দেখেন,তারপর অন্যের চাকরি নিয়ে মাথা ঘামাবেন।
ভেবেছিলাম আন্দোলন বোধ হয় স্থিমিত হয়ে যাবে। আপনার কাছ থেকে একটি দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করেছিলাম।
কিন্তু হায় একি!!!!!!
আপনি দেখি আমাদের কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিলেন।
আমি ভুলেই গেছিলাম যে আপনি নিজেও "বঙ্গবন্ধু কোটা"-র প্রধানমন্ত্রী। আপনার কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা অনভিপ্রেত। আন্দোলন বুঝি এইবার আর আপনার পেটোয়া বাহিনী দিয়েও ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।
কোটার মূলোত্পাটন আমরা করবই করবো।
আর আপনি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবেন।
"কোটাপ্রথা নিপাত যাবে, মেধাবীরা মুক্তি পাবে "
আজ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাজার হাজার মেধাবী র হতাশার জন্ম দিবে। তিনি এমন ভাবে বললেন যেন ছাত্র সমাজ তার কাছে চাকরি ভিক্ষা চাইছে ; যেন psc তার দলীয় সংগঠন। ছাত্র সমাজকে আবার তার অতীত উজ্জ্বল ভূমিকায় অগ্রসর হতে হবে। না হলে কোটার জীবন শেষ।।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ শুধু আপনার এবং ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার করে নাই, এদেশের আরো আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সেই সময়ে, ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছিল বাংলা মায়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে।
আপনি প্রশ্ন তুলেছেন “তবে কি নারীরা চাকরি করবে না” প্রশ্ন তুলে বলেন, “যারা প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- তারা কি পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চাকরি করবে না?”
হ্যাঁ অবশ্যই করবেন, তবে সেটা যোগ্যতা থাকলে। একজন অযোগ্য ব্যক্তি কি করে এরকম দেশের সর্বচ্চ পর্যায়ের চাকরির আশা করে আমার বোধগম্য হয়না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের চাকরি দেওয়া বা না দেওয়ার কোন আইনী এখতিয়ার নেই। তিনি বড়জোর একটি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘৃণ্যজনকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট করতে পারেন যা তিনি করে চলছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এ ধরণের মন্তব্যও করতে পারেন না। তিনি জনগণের সেবক, একটু খোলাসা করে বললে servant বা চাকর। জনগণ উনাকে মাসিক বেতন দিয়েই নিযুক্ত রেখেছেন। আর একজন সেবক/চাকর হিসেবে কে চাকুরী পাবে বা পাবে না সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনি কে!!! তাঁকে যে ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী চাকুরী না করলে তো তাঁর নিজেরই তো চাকুরী থাকবে না!
আমরা এই প্রজন্ম খুব দূর্ভাগ্যজনক সময়ে বসবাস করছি। এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সে সময়ের মুখোমুখি করতে চাই না। তাই আমরা আমাদের কর্মসূচী অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আমাদের জয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাল্লাহ…
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে
আপনি বলেছেন, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পিএসসি’র অধীনে কোন চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হবেনা। তার মানে পিএসসি’র অধীনে যাবতীয় চাকুরী আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন? তার মানে পিএসসিকে ব্যবহার করে আপনারা নিয়োগ প্রদান করেন? তাইতো বলি প্রশ্নপত্র কেন ফাঁস হয়? আরেকটা কথা সরকারি চাকুরি কি আপনার পারিবারিক সম্পত্তি, যাকে ইচ্ছা তাকে দিবেন? আর কত দিন ক্ষমতায় থাকবেন সে চিন্তা করেন। আমাদের কে নিয়ে না ভাবলেও চলবে। নিজের গদি ঠিক রাখার চেষ্টা করেন। আরতো বেশি দিন নেই, মাত্র কয়েক মাস!!!!!!
কিছু দিন পর বলবে যাদের কোটা আছে তারা শুধু এই দেশ থাকবে……।।
কোটা বিরোধী তথা তারুণ্যের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন নিয়ে শেখ হাসিনার অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের ৪ কোটি ভোটে সীলগালা …।