টপিকঃ সৌর বিদ্যুৎ ও আমার নিজস্ব কিছু কথ।
আজ আমি সোলার প্যানেল থেকে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় সে বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব। এবং সোলার প্যানেল থেকে সূর্য ডোবার পরও বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব কি না সে বিষয়ে আমার নিজস্ব মতামত দেওয়ার চেষ্টা করব।
সূর্যের আলো সোলার প্যানেল এ থাকা সিলিকন,আর্সেনিক এবং অন্য ২/১ টা মৌলের মিশ্রণে তৈরি PNP তে আঘাত করে। ফলে pnp তে থাকা মৌলগুলোর পরমাণু থেকে ইলেকট্রন মুক্ত হয়ে নিচের চিত্রের ন্যায় ধনাত্মক প্রান্তের দিকে এবং হোলগুলো ঋনাত্তক প্রান্তের দিকে প্রবাহিত হয়।
আর ইলেকট্রন প্রবাহ মানেই বিদ্যুৎ প্রবাহ। এভাবেই সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আর এটা একটি কন্ট্রোলার হয়ে যায় ব্যাটারিতে। রাত্রে ব্যাটারিতে সঞ্চিত বিদ্যুৎ দিয়ে বাল্ব, dc ফ্যান, tv ইত্যাদি চালানো হয়।
আর রাত্রে যেহেতু সূর্যের আলো থাকে না সেহেতু সোলার প্যানেল থেকে কোন বিদ্যুৎও উৎপন্ন হয় না। বর্ষাকালে একটানা বৃষ্টির সময় এবং শীতকালে শৈত প্রবাহের সময় তাই এইভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় না।
আমি আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগে থেকে চিন্তা ভাবনা শুরু করি কিভাবে রাত্রে ও সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। ২০১০ এর সেপ্টেম্বরে আমি ঢাকা ছিলাম। সেই সুবাদে গ্রামীণশক্তি (মিরপুর) এবং ব্রাক এর হেড অফিস (মহাখালি) তে যাই এই বিষয়ে তারা আমাকে কারিগরি কোন সহযোগিতা করতে পারবে কিনা। কারণ এই দুই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাবহার বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু তারা আমাকে কোন প্রকার সহযোগিতা না করে পরিষ্কার জানিয়ে দিলো, “আমরা আপনাকে কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারব না। আর তা ছাড়া আমাদের এ ধরনের কোন প্রকার ফ্যাসিলিটি ও নেই। পারলে আপনি নিজেই চেষ্টা করেন। আমাদের সময় নেই যে এই বিষয়ে মাথা ঘামাবো”।
তারপর ও আমি নিজে নিজে অনেক খাটাখাটনি করেও বেশি দূর এগোতে পারিনি। কেন না একে তো আমার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। আর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ছিল না।
তো যাই হোক, আমার প্রজেক্টা ছিল কিভাবে সূর্য ডুবার পরও সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। এটা হতে পারে বিভিন্ন ভাবে।
প্রথমত, বিকল্প কোন আলোর ব্যাবস্থা করা। আলোর তিব্রতা অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। এতে করে আপনি সোলার প্যানেল থেকে শুধুমাত্র ভোল্টেজ পাবেন। আলোর তিব্রতা যতো বেশি হবে ভোল্টও ও ততো বেশি পাবেন। আর শুধু ভোল্টেজ এ কোন কিছু চালানো যাবে না। এর জন্য ভোল্ট এর পাশাপাশি আপনার প্রয়োজন হবে অ্যাম্পেয়ার এর।
দ্বিতীয়ত, এমন একটা পেপার যাতে ফসফরাসের মতো রাত্রে ও আলো পাওয়া যাবে। কিন্তু ফসফরাসের আলো তো ঠাণ্ডা। আর আপনার এক্ষেত্রে মনে হয় গরম অর্থাৎ তাপ ছড়ানো আলো লাগবে।
তৃতীয়ত, ………………ধুর মনে পড়ছে না। অনেক দিন ঘাটাঘাটি করি না তো এই বিষয়ে তাই এত কিছু মনে নাই। অন্য আরেক দিন লিখব।
প্রথম পদ্ধতি নিয়ে আমি নিজে অনেক ঘাটাঘাটি করেছি। ওই সময় আমি ভোল্ট আর অ্যাম্পেয়ার এর ব্যাপারটা এখনকার মতো অত ভালো বুঝতাম না। কিন্তু এখন এই বিষয়টা নিয়ে একটু মাথা ঘামাচ্ছি। আমি সেই সময় আলো পাওয়ার জন্য সাদা L.E.D ব্যাবহার করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সাথে অতি-বেগুনি রশ্মি অথবা ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যাবহার করা উচিত ছিল। তা হলে হয়তো কোন ফল পেলেও পেতে পারতাম।
আপনারদের কি মতামত, তা অবশ্যই জানান।
বিঃ দ্রঃ- ইমেজ আপলোড এর সিস্টেম জানা না থাকায় কোন চিত্র ব্যাবহার করতে পারলাম না। এজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।