২০-৩০ হাজার বাজেটের মধ্যে ৪ ক্যামেরার সিসিটিভি বেজড সিস্টেম হয়ে যাবে। খরচ আরো কমাতে পারেন স্টোরেজ ছাড়া শুধু ডিভিআর কিনে - আপনার যেহেতু ডেটা ব্যাকাপ বেশি দরকার নেই ১৬০-৩০০ গিগা হার্ডডিস্ক নিজে কিনে নিতে পারেন (বা পুরোণো ডিস্ক ব্যবহার)। সিসিটিভি ওয়ালারা ৬.৫-৭ হাজারের ১ টেরাবাইট ডিস্কের দাম কোট করে ১০-১১ হাজার টাকা।
মগের মুল্লুক আরকি। (তবে বেশিরভাগ সাধারণ কাস্টোমারেরই যেহেতু এসব খুঁটিনাটি নিয়ে আইডিয়া থাকে না...) আপনি প্রতিটি প্রয়োজনীয় জিনিসের ইণ্ডিভিজুয়াল আইটেমাইজড বিল চাইবেন ভেণ্ডরের কাছে - তাহলে এসব ফাঁকিগুলো ধরা পড়বে (এরা সাধারণতঃ কোটেশনে পুরো সিস্টেমের টোটাল বিল এ্যামাউন্টটা দেয় ডিটেলসগুলো লুকানোর জন্য)
নিজে করতে চাইলে আপনার এগুলো কিনতে হবেঃ
* সিসিটিভি ক্যামেরা
* কো-এ্যাক্সিয়াল কেবল + কানেক্টর ইত্যাদি
* ডিভিআর (+ হার্ডডিস্ক)
* মনিটর (৪ চ্যানেলের জন্য ১৬" যথেষ্ট)
সব আপনি নিজেই সেটাপ করতে পারবেন, তবে কেবলিংটা কোনো ঝানু লোক দিয়ে করানো উচিৎ। এলাকার ডিশের ছেলেটাকে কিছু ধরিয়ে দিলেই করে দেবে। 
এছাড়া অনলাইনে লাইভকাস্ট করতে চাইলে এ্যানালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার লাগবে (এটার দাম সম্পর্কে আইডিয়া নাই)। স্ট্যাটিক আইপি সহ ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি দিতে হবে ঐ ডিভাইসটিতে। আপনি রিমোট লোকেশন থেকে ওয়েবব্রাউজারে ঐ আইপিতে কানেক্ট করে ভিডিও দেখতে পারবেন।
আইপি ক্যামেরার জন্য ক্যাট-৫/৬ কেবল + আরজে৪৫ কানেক্টর লাগবে। এছাড়া ডিভিআর-এর বদলে এনভিআর লাগবে। এনভিআরে সম্ভবতঃ বিল্টইন মিডিয়া স্টৃমিং সার্ভার থাকবে - সেক্ষেত্রে আর ডিজিটাইজারের প্রয়োজন পড়ছেনা, সরাসরি ডিভাইসটা অনলাইনে দিতে পারবেন।
কিছু রেকমেণ্ডেশনঃ ক্যামেরা এবং ডিভিআর একটু যাচাইবাছাই করে কিনুন। শস্তা মডেলগুলোয় অনেক ফীচার থাকে না। আমার বাসায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছে কয়েক বছর আগে, তারই অভিজ্ঞতা থেকে ২/৩ টি পয়েণ্টঃ
* ইনফ্রা-রেড রেকর্ডিং (অন্ধকারে রেকর্ডিং হবে, এটা আপনার দোকানের জন্য বেশি জরুরী)
* ক্যামেরার রেণ্জ দেখুন সর্বোচ্চ কত মিটার পর্যন্ত কাভার করতে পারে (আলোয় এবং অন্ধকারে)
* মোশন-এ্যাকটিভেটেড রেকর্ডিং (সামনে কিছু নড়াচড়া করলেই শুধু ক্যামেরা অন হবে, এতে ডিস্কস্পেস+বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। তবে আপনার দোকান যদি হাই-ট্রাফিক এরিয়া হয় তাহলে দিনের বেলা/পীকটাইমে এটা আপনার কাজে আসবে না। অবশ্য রাতের বেলা/অফ-পীক ডাউনটাইমে সুবিধা পাবেন)
* ডিভিআর - কেনার আগে নিজে ট্রায়াল দিন, সাধারণ কাজগুলো করে দেখুন। আমার বাসায় শস্তা এক চাইনীজ ডিভিআর লাগিয়েছিলাম (ভেণ্ডর একজন পরিচিত আংকেল
তিনিই দিয়েছিলেন)। অতি জঘন্য ইউজার ইণ্টারফেস। কোনো নির্দিষ্ট তারিখের ভিডিও সার্চ করতে ৩০-৪০টা ক্লিক লাগে
প্রতিটা ভিডিও ফাইল ইণ্ডিভিজুয়ালী সিলেক্ট করতে হয়। এবং খুবই বাজে মানের ইউএসবি পোর্ট - ৪/৫টা ভিডিও এক্সপোর্ট করার পরেই ইউএসবি এরর দেখায়। পেনড্রাইভ খুলে আবার লাগাতে হয়, এবং পুরো প্রসেসটি (ডেট সার্চ -> সিলেক্ট ভিডিও) আবার শুরু থেকে সব কেচেগণ্ডুষ করতে হয়
মোটকথা - ঐ ডিভাইসে কোনো কাজ করা মানেই এক প্রচন্ড বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা।
যাকগে, বাসার ডিভিআর নিয়ে সচরাচর ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয় না বলে বেঁচে গেছি।
ডিভিআর ট্রায়াল দেবার জন্য ভেণ্ডরকে দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ডেটের ভিডিও সার্চ করান, ৫০/৬০টা ভিডিও সিলেক্ট করে ইউএসবি স্টোরেজে এক্সপোর্ট করতে দিন - এই প্রসেসটা সম্যক দেখলেই আপনি বুঝে যাবেন ডিভাইসের সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার ক্যাপাবিলিটি কেমন।
এই টপিক থেকে আমিও লাভবান হলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠানে (১২ তলা বিল্ডিং কাভার করতে) ১০০+ ক্যামেরা দরকার হচ্ছে খুব শিগগীরই। আমরা আইপি-বেজড সিস্টেমে যেতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম যে ভেণ্ডর এসেছিলো তার সব ক্যামেরাই ৪০-৪২ থেকে শুরু (তাও কি এক চাইনীজ ব্র্যাণ্ড) - তাকে গেইট থেকেই গুডবাই দিয়েছি। এর পরের জন ১৮/১৯ থেকে ৪০ হাজার রেন্জের (চাইনীজ, তাইওয়ানীজ, ইউএস বিভিন্ন ব্র্যাণ্ড) ক্যামেরার কোটেশন দিয়েছে। এই টপিক থেকে কিছু গাইডলাইন পেলাম সম্ভাব্য দামের ব্যাপারে। সবাইকে ধন্যবাদ। 
Calm... like a bomb.