টপিকঃ পাস্তা ইউথ ভেজি এন্ড চীজ (Pasta with vegis and cheese)
খুবই সাধারন একটা ট্রাই। যারা রান্নাবাড়া জানে না আমার মত বেকুব!! কিন্তু খাদক তারাও একবার না একবার পাস্তা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছে।
গতকাল পাস্তা নিয়ে আমরা দুই ভাই-বোন একটু এক্সপেরিমেন্ট করলাম তাই শেয়ার করছি। হয়তো আগেও এটা আপনারা করেছেন।
ভাইয়া খেল , আমি বানাইলাম
আর আমাকে মাত্র ২ টেবিল চামচ দিসে খেতে
কিপ্টুস একটা, বেকুবটার জন্য আমার কয়েকবার পেঁয়াজ কাটতে হইছে। প্রতিবার পুড়ায় কয়লা করে ফেলছে পেঁয়াজ , ভাবী দেখলেতো ভাইয়ারে ঝাটা দিয়ে মারত
আচ্ছা তাইলে শুরু করি, যা যা লাগবেঃ
১ বা দুই জনের জন্য উপকরনের মাপ দেওয়া হল। বেশি মানুষের জন্য, হলে পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
উপকরনঃ
#পাস্তা= ২ কাপ ( বড় চায়ের কাপের মাপে হলেও হবে)
#দেশি চীজ/ কটেজ চীজ= ১টা স্লাইস
#চিনি= ১ টেবিল চামচ
#মিক্সড ভেজিটেবল= ১ এবং আধা কাপ
(গাজর, বরবটি, ক্যাপসিকাম, মাশরুম(ইচ্ছা)
#টমেটো সস= ২ টেবিল চামচ
#টমেটো কুঁচি= ১ কাপ
#পেঁয়াজ= মোটা করে কুঁচানো আধা কাপ
#রসুন কুচি = ২ টা কোয়া (যদি দিতে ইচ্ছে না হয় তাহলে বাদ)
#আদা কুচি= ১ চা চামচ ( ইচ্ছা না হলে বাদ)
#পেঁয়াজ পাতা কুঁচি= ১ কাপ
#গোল মরিচ= আন্দাজ মোতাবেক
#কাঁচা মরিচ= ঝাল বেশি দিতে চাইলে দুটা মরিচ মাঝে থেকে কেঁটে দিলে হবে।
#অলিভ ওয়েল/ সয়াবিন তেল= প্রয়োজন মতাবেক। অলিভ ওয়েল দিতে পারলে ভাল।
#লবণ= স্বাদ অনুযায়ী। ( প্রথমে ৩ চিমটি দিলে হবে, লবণ বেশি দেওয়ার চেয়ে কম দেওয়া ভাল, পরে দরকার পরলে আবার দিবেন, নাহলে বেশি ল্বনের জন্য খাওয়া যাবে না)
প্রনালীঃ
১। পাস্তা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
২। একই ভাবে, সবজি সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
৩। ফ্রাই পেন- এ আগে তেল দিয়ে গরম করে; পেঁয়াজ, রসুন, আদা কুঁচি দিয়ে হাল্কা আঁচে ভাজতে হবে (পুড়িয়ে কালা করবেন না, তাইলে হইছে গলা দিয়ে আর নামবে না পরে আপনার
আর পোড়া পোড়া গন্ধে আর খেতে ভালো লাগবেও না পরে)
৪। পেঁয়াজ, আদা নরম হয়ে এলে টমেটো দিতে হবে, এবং আস্তে আসতে নাড়তে হবে।
৫। টমেটো গলে গেলে পাস্তা, সবজি, এক চিমটি গোল মরিচ, কাঁচামরিচ অল্প (ইচ্ছা), টমেটো সস, চিনি, লবণ দিয়ে নাড়তে হবে।
৬। সবশেষে, পেঁয়াজ পাতা কুঁচি, চীজ দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষন ঢাকনা দিয়ে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
এবার গরম গরম পরিবেশন করুন ।
টিপসঃ
#পাস্তা, পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে সিদ্ধ করলে তারাতারি সেদ্ধ হয় আর পরে রান্নার সময় লবণ কম দিলেও চলে। নুডুলস যেমন করে আমরা পানি সেদ্ধ পানি ঝরিয়ে নেই ঠিক একই ভাবে করতে হবে, বেশি নরম যেন না হয়। বেশি নরম হলে যেই সমস্যা হয় হল, যখন ফ্রাই পেন-এ দিয়ে রান্না করা হবে তখন পাস্তা বেশি নরম হয়ে ভেঙ্গে যাবে, অথবা নাড়াচাড়ার সময় সব লেপটে ভুনা হয়ে যাবে, তখন খাবার স্বাদটাই বদলে যাবে।
# ফ্রাই পেন এ সব উপকরন দেওয়ার আগে অবশ্যই ফ্রাই পেনটি আগে গরম করে নিতে হবে। না হলে উপকর দেবার পর, ফ্রাই পেন এ আটকে আটকে থাকবে এবং পুড়ে যাবে। ফ্রাইন পেন গরম হবার পর তেল দিতে হবে। দেবার পর তেলটাকে গরম হবার সময় দিতে হবে। তাইবলে একদম ফুটন্ত গরম নয় ।
#পেঁয়াজ, আদা ছাড়ার সময়; একটু দূর থেকে ফ্রাই পেন-এ ছাড়বেন তাহলে আর গরম তেলের ছিটা গাঁয়ে এসে পড়বে না। সাবধান! (রান্না করতে দিয়ে হাত মুখ পুড়ায় ছাই করে ফেললে আর রান্না না করে রেডিমাড কিনে খাওয়া ভাল )
# সবশেষ যে কথা, চীজ দিয়ে একদম বসিয়ে রাখবেন না ফ্রাইন পেন চুলায়। তা নাহলে, চীজ ফ্রাইন পেন এ আটকে পুঁড়ে যাবে।
এই বার নিজে নিজে চেষ্টা করে দেখুন। প্রথমবার ট্রাই করলে একটু ভুল-চুক হবে
দ্বিতীয় বার করতে গেলে ঠিকমত হবে, কারন তখন আপনি জানবেন প্রথমবার করতে গিয়ে কি কি সমস্যায় হয়েছিল।
সব কথার মূল কথা সব সময়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে কাজ করবেন। খেয়ে এবং দেখতে দুটোই ভালো লাগবে। অল দ্যা বেস্ট ।
বি. দ্রু: ছবি দিতে পারলাম না দুঃখিত। খাবার শেষ হবার পর মনে হইছে ছবি তোলা হয় নাই