টপিকঃ ওজন কমাবেন যেভাবে.......
অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটি পৃথিবীর সর্বত্রই বিরাজমান একটা সমস্যা । এই একটি বিষয়ের সাথে আরো কত সমস্যা যে জড়িত,তার কোনো শেষ নেই । ডায়াবেটিস,হার্ট ডিসিস,ব্লাড প্রেসার এরকম আরো অনেক সমস্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমস্যর কারণ এটি । তাই সকলের উচিত নিজের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা ।
অনেকেই আছেন যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভোগছেন । অনেকেই আছেন এই বিরক্তকর বিষয়টা থেকে বেরিয়ে আসতে চান । নিজেকে সুস্থ আর স্মার্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে চান । আমার কথা হচ্ছে,আপনি যদি এই জিনিশটা উপলব্দি করতে পারেন যে ,আপনি অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভোগছেন অর্থাৎ আপনি যদি একে একটা সমস্যা হিসেবে মনে করেন,তাহলেই কিন্ত আপনি আপনার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাবার দ্বারপ্রান্তে চলে গেলেন । অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি,আপনার ভেতরে ঐ মোটিভেশনটা কাজ করতে হবে ।এটিই আপনাকে অনেকাংশে এগিয়ে দেবে । আপনার নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে আর ধৈর্য রাখতে হবে । মনে রাখতে হবে,"আস্থা,ধৈর্য এবং পরিশ্রম" এই ৩ টি জিনিস আপনার মধ্যে থাকলে আপনি সফল হবেন-ই।
যাহুক,আমি কোনো ডাক্তার নই । তবে নিজের অতিরিক্ত ওজন কমাতে আমি যেসকল নিয়মগুলো অনুসরণ করে সফল হয়েছি আর বিভিন্ন সোর্স থেকে যেসকল তথ্য পেয়েছি,আমি সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম ।
>প্রকৃতপক্ষে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েটিং টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন । ওজন কমাতে ডায়েটিং এর ভূমিকা থাকে ৭০% এবং শারীরিক পরিশ্রম তথা ব্যায়াম এর ভূমিকা থাকে ৩০% । তাই যারা ওজন কমাতে শারিরিক পরিশ্রমের কথা চিন্তা করে শিউরে উঠেন,তারা আমার কথায় একটু আশান্বিত বোধ করতে পারেন এখন । তবে আমি এর মাধ্যমে ব্যায়াম এর প্রয়োজনীয়তাকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছিনা । আমার কথা হচ্ছে,আপনি জিম থেকে ঘণ্টার পর ঘন্টা ঘাম ঝরিয়ে এসে শুধু পেট ভরে খেতেই থাকলেন,তাহলেতো আপনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন না । আপনার মাথায় এই জিনিষ টা রাখতে হবে যে,আপনি প্রতিদিন কত ক্যালরি খরচ করলেন আর কত ক্যালরি গ্রহণ করলেন । আপনাকে ক্যালরি খরচ করতে হবে বেশি এবং ক্যালরি গ্রহণ করতে অর্থাৎ খাদ্য গ্রহন করতে হবে কম ।
> আরেকটা বিষয় আমি ক্লিয়ার করতে চাই,সেটা হচ্ছে খাওয়া নিয়ন্ত্রন মানে খাওয়া ছেড়ে দেয়া নয় । আপনি অবশ্যই খাবেন,তবে সেটা হতে হবে পরিমিত ।
>অনেকেই আছেন যারা দ্রুত ওজন কমাতে সকালের নাস্তা করাও ছেড়ে দেন । এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়,এতে বরং হিতে বিপরীত হয় । কারন শকালের নাস্তা স্কিপ করলে দূপুরে আপনার বেশি খেতে ইচ্ছে করবে ।তখন ওভার-ইটিং এর কারণে আপনার ওজন কমার বিপরীতে উল্ট আরো বাড়বে । তাই সকালে অবশ্যই ভালোভাবে নাস্তা করবেন ।সকালের নাস্তায় একটা ডিম সেদ্ধ রাখতে পারেন । একটা ডিমে থাকে প্রায় ৬৮ ক্যালরি,কিন্ত এর স্পেশালিটি হচ্ছে এটি আপনাকে সারাদিন খিদামুক্ত রাখবে ।একটা ডিম সারাদিন আপনার পেট ভরা থাকার অনুভূতি দিবে,যা দুপূরে আপনাকে বেশি খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে ।
>লেবু ওজন নিয়ন্ত্রনের একটি ভালো নিয়ামক । আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে আধা টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন(চিনি এবং লবণ ছাড়া) এবং এর পরে ব্যায়াম করতে পারেন । এসময় এভাবে লেবুর রস গ্রহন আপনার শরীরের মেটাবলিসম কে বাড়িয়ে দেবে এবং আপনাকে সারাদিন চাংগা রাখবে । আমি নিজে এভাবে সফল হয়েছি ।প্রথম দিকে এভাবে লেবুর রস গ্রহণ আপনার বিরক্তকর লাগবে।তবে দুএক দিন পরে অভ্যাস হয়ে যাবে ।
>রাতে ভাতের বদলে হাতে বানানো ২ টি আটার রুটি খেতে পারেন,সাথে কম তেলে রান্না করা সবজি অথবা অন্য যেকোনো কিছু ।
>ওজন কমাতে বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে দড়ি লাফ(jump on) খুব-ই কার্যকর । প্রতিদিন অন্তঃত ১০০০ বার দড়িলাফ এর অভ্যাস করতে পারলে আপনাকে আর ঠেকায় কে?
যাহূক ,অনেক টিপস দিয়েছি ভাই ।আর লেখতে ভালো লাগছেনা ।আপনাদের আগ্রহ দেখলে পরে একসময় নাহয় আরো কিছু লিখবো । আরেকটা কথা বলে নেই,আমি কোনো ডাক্তার নইরে ভাই । তাই আমার লেখায় ভুল-ত্রুটি একটু ক্ষমার নজরে দেখবেন ।
আমার একলা লাগে ভারী...........