টপিকঃ রেসিপিঃ কলিজা ভুনা
চমতকার এই রান্না, শেয়ার না দিয়ে উপায় কি!! দেখলেই জিভে জল আসে...
চলুন আজ কলিজা রান্না দেখি। তবে সব মশলা বেটে ব্যবহার করা হয়েছে। রান্নায় ভিন্নতা আনতে সব মশলা/ভেজষ পাটা পুতায় বেটে ফেলা হয়েছিল। আপনারা চাইলে আমাদের সাধারন রান্নার মত করেও রান্না করতে পারেন।
উপকরণঃ
- কলিজাঃ হাফ কেজি (সামান্য বেশি হতে পারে)
- পেঁয়াজ বাটাঃ এক কাপ
- আদা বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
- রসূন বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
- জিরা বাটাঃ ১ চা চামচ
- ধনিয়া বাটাঃ ১ চা চামচ
- গোল মরিচ গুড়াঃ এক চিমটি
- দারুচিনিঃ ৩/৪ টুকরা
- এলাচিঃ ৪/৫ টা
- তেজ পাতাঃ ২/৩ টা
- লাল মরিচঃ এক চামচ (ঝাল বুঝে)
- হলুদ গুড়াঃ এক চামচের চেয়ে সামান্য কম
- কাঁচা মরিচঃ ঝাল বুঝে পরিমান মত (বাটা)
- লবনঃ পরিমান মত
- তেলঃ হাফ কাপ বা তার বেশী
- গরম পানিঃ প্রয়োজনে লাগলেই দেয়া হবে।প্রনালীঃ
কলিজা আগে কেনা ছিল। সামান্য সিদ্ব করে পানি ঝরিয়ে ডিপ ফ্রীজে রাখা ছিল বলে কলিজার রং কিছুটা বদলে গেছে। প্রসেসড।
তেল গরম করে লবন যোগে আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা।
অন্যান্য সব মশলা মিশিয়ে নেয়া হয়েছে। যেহেতু এই মিশ্রন গাড় তাই কষানোর সময় বুদ বুদ গায়ে পড়তে পারে, সতর্কতা জরুরী। আগুনের আঁচে লক্ষ রাখতে হবে।
ব্যস, ঝোল হয়ে গেল। ভাল করে কষিয়ে নিন।
এবার কলিজা দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন।
ঢাকনা দিয়ে মিনিট ত্রিশেক রেখে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দেবেন। লক্ষ রাখতে হবে, যেন তলায় না লেগে যায়। প্রয়োজনে আরো পানি দিন। কলিজা নরম না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
শেষ মেষ এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়াবে। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ‘ওকে’ বলুন। ঝোল চাইলে আরো কমিয়ে নিতে পারেন। আমরা একটু ঝোল রেখেছিলাম।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
রুটি দিয়ে জম্বে বেশ।কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
সাহাদাত উদরাজীর অনুমতিক্রমে প্রকাশিত।