আমার সাইকেল চালানোর ইতিহাস বিশাল। ক্লাশ থ্রি অথবা ফোর-এ শিখেছিলাম। বড়ভাই শিখিয়েছিলো।
খুবই ইচ্ছে করত স্কুলে চালিয়ে যাওয়ার। এমনকি বড় হয়ে ভার্সিটি যাওয়ার সময়ও ইচ্ছেটা ছিল। শুধু সমাজের কথা ভেবে পারতাম না।
ইংল্যান্ডে এসে ইচ্ছে পূরণ হয়েছিল। প্রতিদিন প্রায় ৮ মাইল চালাতাম। অবশ্য শখ করে না, বাধ্য হয়েই। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল।এদেশের রোড গুলো অনেক হিলি হওয়াতে উপরে উঠতে অনেক কষ্ট হতো। তবে ফুটপাত দিয়েই চালাতাম, খুব কমই রাস্তা দিয়ে চালাতাম।
পরিবেশ প্রকৌশলী লিখেছেন:
সাইকেল একটা পরিবেশ বান্ধব বাহন। উন্নত বিশ্বে এখন শহরগুলোতে সাইকেল চালানোর জন্য আলাদা লেন রাখা হয়। কিছু ক্ষেত্রে লেনগুলো রাস্তার পাশে, কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির লেন থেকে অনেক দুরে, পার্কের মধ্য দিয়ে। এমনকি ইদানিং কার ফ্রী কমিউনিটি তথা দূষণমুক্ত কমিউনিটি বুঝাতে বাইসাইকেল সিটি নামে একটা টার্মই দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পরিবেশ বান্ধব হওয়ার পাশাপাশি সাইকেল চালানো একটা স্বাস্থ্যকর জিনিষ -- এজন্য অনেকেই এখন বাসায় এক জায়গায় বসে বসে প্যাডেল মারার যন্ত্র চালায়।
উন্নত দেশগুলোতে সাইকেল চালানোর জন্যে অনেক উৎসাহিতও করা হয়। একবার Bonn university, Germany -তে গিয়েছিলাম, পুরো শহরকে সাইকেলের শহর বললেও বাড়িয়ে বলা হবেনা। আমি হাঁটতে গিয়ে বার বার তাদের পথ আটকে ফেলছিলাম। ভাবছিলাম আমাদের দেশে এমন হলে রিকশার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমত। শহর গুলোও আর একটু দূষণ মুক্ত হতে পারত।
ইমরান, একটু সাবধানে চালিও ভাই। দেশের রাস্তাঘাট, ড্রাইভার সবই বিপজ্জনক।
বেদনাদায়ি, তবুও দিনান্তে যে তোমায় ভালবাসি!