ফারহান খান লিখেছেন:"বিজনেস" কোন সেন্সে, ক্লিয়ার করেন 
১। আমরা যারা প্রজন্ম ফোরামের শুরুর দিক থেকে আছি, তখন ফোরামে এত বিজনেস অর্থাৎ ব্যস্ততা ছিলনা। তখন ফোরামে ছিল চমৎকার কিছু গীতিকার, ছড়াকার, প্রযুক্তিবিদ, দার্শনিক, রসিক এবং প্যাচালিক। একে বলা যেতে পারে প্রজন্ম ফোরামের আদিযুগ।। 
২। এরপর শুরু হল বিনিময় প্রথা। অর্থাৎ উপরের গীতিকার, ছড়াকার, প্রযুক্তিবিদ ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যক্তিবৃন্দ আর বিনামূল্যে ছড়া বিলিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেন না। তেনারা পরিলক্ষ করলেন যে ফ্রি-ফ্রিতে ছড়া-কবিতা লিখে তাদের আর পেট চলছে না। তাই শুরু হলো বিনিময় প্রথা অর্থাৎ "অমুক যদি আমার জন্য এই কয়টা কম্পু আর্টিকেল লিখে, দেন আমি তারে এই কয়টা ছড়া গি-ফট দেবো" 
৩। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা গেল, বিনিময় প্রথা একটি প্রথাই মাত্র। এটি দিয়ে কারও পেট চলছে না কারণ কথায় আছেনা "ফোরাম আমাদের কি দিয়েছে?? ফোরাম আমাদের খাওয়ায় না পড়ায় ফোরামের আমি খ্যাতা পুড়ি!!" ইত্যাদি, ইত্যাদি.... কাজেই এককালের মহিরূহ সেইসব কবি-সাহিত্যিক-প্রযুক্তিবিদরা তাদের পেট চালানোর ধান্দায় অতিমাত্রায় "ব্যস্ত" হয়ে পড়লেন এবং প্রজন্ম ফোরামে পার্ট-টাইম চর্চা করতে থাকলেন ব্রেইন ক্লিয়ার রাখার জন্য। এবং তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে অবাধে রেপু দিতে থাকলো আপনার-আমার মত আম-ফোরামিকরা। এভাবে শুরু হল অর্থব্যবস্থা এবং আমরা একে বলতে পারি প্রজন্ম ফোরামের মধ্যযুগ।
৪। অত:পর সেইসব বাঘা-বাঘা কবি-সাহিত্যিক-সাংঘাতিকরা লক্ষ্য করলেন যে, ফোরামের আজাইড়া প্যাচাল আর তাদের অছাম সুপার-ডুপার স্কিল লেভেল আর যেন খাপ খাচ্ছেনা। তারা যেই পরিমাণ স্কিলের অধিকারী তাতে প্রজন্ম তো কোন ছাড় গোটা বাংলাদেশের পুরাটা না হোক চার ভাগের এক ভাগ চালানোর ক্ষমতা তাঁদের আছে। কাজেই তারা তাদের স্ব-স্ব স্কিল লেভেল দিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান খুলে প্রজন্ম ত্যাগ করে চলে গেলেন, জন্ম নিল কোম্পানী প্রথা এবং এই সুযোগে সুযোগসন্ধানী বহিরাগত: কিছু লোক সেইসব মহিরূহের স্থান দখল করে নিয়ে বিকাশ ঘটাতে থাকলো তাদের সুপ্ত প্রতিভার। কিন্তু যেহেতু তারা প্রথম তিন স্তর পার করে আসে নাই, অতএব তাহাদের মধ্যে প্রতিভার প্রকাশ-বিকাশ নিয়ে চলতে থাকলো কাড়াকাড়ি... এভাবে প্রজন্ম ফোরামে শুরু হলো একটি অনিয়ন্ত্রিত বিশ্বযুদ্ধ যার ফলশ্রুতিতে গেল বছরের ২১শে ডিসেম্বর ধ্বংস হয়ে গেল গোটা পৃথিবী এবং মানব সভ্যতা 
৫। পৃথিবী ধ্বংসের সময় যারা বিশাল একটি জাহাজে চড়ে বেঁচে গেল, তারা উপলদ্ধি করতে পারলো যে মানবসভ্যতার গোড়াগুলো প্রাচীন, ভঙ্গুর এবং রহস্যময়। কিন্তু যেহেতু আমাদের ধমনী আর আমাদের এ্যানসেস্টরের ধমনীতে একই মানের রক্ত প্রবাহিত(যদি রক্তে অতিমাত্রায় ভ্যাজালদ্রব্য না মিশিয়ে থাকেন!) অতএব তেনারা যা পারিয়াছেন মোরাও তাহা পারি
...কিন্তু "একজন সদস্যের অবস্থান আরেকজনের সদস্যের উপরে" -এই ধারণাটি মধ্যযুগীয়, ধ্বংসাত্মক এবং সদাসর্বদা পরিত্যাজ্য। "সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে" -এই ধারণাটিই সবচেয়ে যুগোপযগী এবং গঠনমূলক। এভাবেই কালের বিবর্তনে প্রজন্ম ফোরাম প্রবেশ করিল একটি অপার সম্ভাবনাময় যুগে যাকে আমরা বলতে পারি ব্যবসা-বাণিজ্যের আধুনিক যুগ। 
আরণ্যক লিখেছেন:মানতেই হবে- কিছু আছে।
যাহা অমৃত, যাহা সত্য, চিরদিনই রবে তায় 
কিছুই থাকুক আর মিছুই থাকুক তাতে কিবা আসে যায়


অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ
ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল শ ষ স হ ক্ষ ড় ঢ় য়
ৎ ং ঃ ঁ