ফারহান খান লিখেছেন:প্রতিকার চাই
কোন প্রতিকার নাই।
আমার মতে বর্তমানে দুনিয়ার উন্নয়নে সমস্ত পেশাজীবির চেয়ে ডাক্তারদের ইনপুট সবচেয়ে কম! (নো অফেন্স টু ব্রাশু ভাই আপনি ডাক্তারের চেয়ে বেশী আইটিপ্রোফ...
)
চিন্তা করে দেখুন ১৯৪৪ সালের প্রথম কম্পিউটার মার্ক ওয়ান ওজন ছিল ১০,০০০ পাউন্ড। যোগ বিয়োগ করতে পারত সেকেন্ড ৩ টা! তার ৬০ বছর পর এখন সেকেন্ডে ট্রিলিওন যোগবিয়োগ করতে পারা কম্পিউটারের ওজন কয়েক গ্রাম মাত্র। কিছুদিন আগে এক কলিগ একটা প্রোটোটাইপ কম্পিউটার দেখাল যেটার সাইজ একটা থাম-ড্রাইভের মত। স্টিকের একসাইডে ইথারনেট এবং ইউএসবি ইন, অন্য সাইডে এইচ ডিএমআই আউট... দেটস্ ইট!
আর ডাক্তারদের কথা বিবেচনা করেন... ১৮০০ সালে যদি আপনি দাত উঠাতে যেতেন তারা সাড়াসি দিয়ে টেনে দাত উঠাতো। ২০১৩ দাত উঠাতে যান এখনো ওরা সাড়াসি দিয়ে টেনে দাত উঠাবে! কতটা বর্বর চিন্তা করুন। আপনি কি আশা করতে পারেননা একটা ট্যাবলেট যেটা খেলে উপরের পাটির ৩নং দাতটা ৫ মিনিটের মধ্যে টুপ করে পরবে?
এখন পর্যন্ত ইফেক্টিভি কোন এন্টাইভাইরাল নেই। এন্টাইবাইটিগুলোর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। শত ক্যান্সারের একটারও ইফেক্টিভ ট্রিটমেন্ট নেই। এসবের কথা বাদই দিলাম... ভাবতেই অবাক লাগে যে সামান্য মাথায় খুস্কি রোধ করার কোন ইফেক্টিভ ঔসধ নেই!! এসব কেন হচ্ছে জানেন? কারন আজকাল ডাক্তাররা মৌলিক কোন গবেষনাই করে না। ৬ মাস ওভারটাইম করে পয়সা কামায় আর ৬ মাস হাওয়ায়ীতে ভেকেশনে যায়। এই হল ডাক্তারদের টিপিকাল জিবন চক্র।
এখানকার সাধারন ডাক্তারগুলোর কর্মকান্ড একটা কেরানীর মত! আপনকে সিম্টম অনুয়ায়ী টেস্ট করতে দিবে, টেস্টের ফল অনুযায়ী কম্পিউটার সে ঔষধ সাজেস্ট করবে তা আপনাকে দিয়ে দেবে। আগে কাগজে প্রসক্রিপশন লিখত এখন আইটির উন্নতির কল্যানে সেটাও করতে হয়না, এক মাউস ক্লিকে ঔষধের লিস্ট সরাসরি ফার্মেসীতে চলে যায় সেখান থেকে পিকআপ করে নিবেন।
আপনার রোগের জন্য ডাক্তার নিজের মাথা একটুকুও ঘামাবে না। পারে না বলে ঘামায় না তা নয়। অবশ্যই পা,ে, কিন্তু ইচ্ছে করেই ঘামায় না। নিজের চিন্তায় বেলাইনের কোন ঔষধ দিলে সেটায় বিপরীত ফল হলে দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে। অন্যদিকে গদবাধা লাইনে বিপরীত ফল হলে দায়ভার যাবে ইন্সসুরেন্স কম্পানির উপর দিয়ে... এটাও একটা মোটিভ মনে হয়। কিন্তু এটা করতে গিয়ে ডাক্তারা যে স্রেফ একটা ডাটাবেজ সফওযার হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল নেই। আমদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবীরাই সাধারনত ডাক্তার হয়... কিন্তু হায়, মেধার কত অপচয়।
একটা ইঞ্জিনিয়ার আমাদের জীবন ধারা উন্নয়ে যতটুকু ভুমিকা রাখে একটা ডাক্তার তার মেধা অনুযায়ী (ডাক্তারদের মেধা ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে সাধারনত বেশী) ততটুকু ভুমিকা কি রাখে? ভেবে দেখুন একটা ডাক্তারের কি অধিকার আছে একটা আইফোন -৫ ব্যাবাহার করার?
বি:দ্র: অবশ্যই স্পেসিফিকলি অনেকে আছেন এর ব্যাতিক্রম। আমি একবারে জেনারেল ভাবেই কথাগুলো বললাম।