টপিকঃ জ্যামিতির আবিষ্কার
বিভিন্নপ্রকার চিহ্ন ও তাদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের বিচার-বিশ্লেষণকেই জ্যামিতি বলে। আকার-আকৃতি, কোণ ও দূরত্ব কেমন করে পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, জ্যামিতি বলতে তার অধ্যয়নকেই বুঝায়। প্রাথমিক জ্যামিতি দু'ভাগে বিভক্ত, তল-জ্যামিতি ও ঘন-জ্যামিতি। তল-জ্যামিতিতে দু'মাত্রায় অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থযুক্ত চিত্রের বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ থাকে। ঘন-জ্যামিতিতে তিনমাত্রার জ্যামিতিক চিত্রের আলোচনা থাকে। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতাযুক্ত বিভিন্ন ঘনবস্তু (যেমন ঘনক, সিলিন্ডার শঙ্কু, গোলক) প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয় ঘন জ্যামিতিতে।
কেমন করে এই জ্যামিতি আবিষ্কৃত হয়েছিল, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্যামিতির ইংরেজী হল জিওমেট্রী যেটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে। জিও ও মেট্রি দুটি কথা দিয়ে জিওমেট্রি কথাটি তৈরি। 'জিও' মানে ভূমি আর 'মেট্রি' মানে মাপ। সুতরাং 'জিওমেট্রি' কথার অর্থ হলো ভূমি বা জমির মাপ। প্রকৃতপক্ষে, জ্যামিতির বিভিন্ন সূত্রের প্রকৃত আবিষ্কারকদের মধ্যে প্রাচীন মিশরীয়রাও অন্তর্ভূক্ত। প্রতি বছর নীল নদের বন্যায় গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হত। তাতে বিভিন্ন ভূমিখন্ডের সীমাচিহ্ন ধুয়েমুয়ে একাকার হয়ে যেত। তখন নতুন করে জমির সীমানা চিহ্নিত করার জন্য এক উপায় উদ্ভাবনের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই থেকেই জিওমেট্রির উৎপত্তি।
সূত্রঃ সাপ্তাহিক বাঙালী (নিউ ইয়র্ক)