দুইটা পার্ট নিয়েই বিশাল কমেন্ট করতে মন চাচ্ছে। এরকম মিটি পোস্ট আরো চাই ব্রেইণ রিলেটেড। দেখি আমিও সময় পেলে হালকা পাতলা কন্ট্রিবিউট করবো। ভাবছি নিউরোলজী নিয়া রিসার্চ করলে কেমন হয়!
ইনভার ভাই একটা অতি জঘণ্য ডোপামিন Mimicking/provoking ড্রাগ বাদ দিয়েছেন। সেটা হলো মেথ। এই মেথের মতো জঘণ্য ব্রেইণ এফেক্টিং ড্রাগ মনে হয় না আর পৃথিবীতে আছে। এটা নিয়া বিশাল একটা টপিকও লেখছিলাম কোনো কারণে টপিক টা আর পোস্ট করা হয় নাই। মেথ আসলে ব্রেইণে ডোপামিনের যে ফ্লাড ঘটায় সেই ফ্লাডে টানা ২ দিন ফিলিংসে থাকে মানুষ। এই বিশ্রী প্রকৃতির ড্রাগ প্রতিরোধ করার জন্য কতো কিছু করছে ডি,টি,এ কিন্তু কে শুনে কার কথা জায়গায় জায়গায় ব্যংগের ছাতার মতো মানুষ মেথ ল্যব বানাইতেছে। এমন একটা ড্রাগ এত সহজে উৎপাদন করা যায় ভাবতেও অসহ্য লাগে। 
যাই হোক আমি আসলে এম,এইচ,সি প্রোটিণের ব্যাপারে একটু জানতে চাইছিলাম আপনি মনে হয় মিস করে গেছেন। Mesmerizing/intoxicating স্মেলের আইডিয়া আর কি যেখান থেকে এসেছে।
আমাদের শরীরে দুই ধরণের এম,এইচ,সি প্রোটিণ আছে
MHC I & MHC II
বলতে গেলে এই প্রোটিণের কাজ খুবই সোজা। এরাই মূলত আমাদের শরীরের "Self" ভার্সাস "Non-self" আইডেনিটির মধ্যে সীলমোহর বসায় বলতে পারেন। আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা মলিকিউলের এমন একটা জেনেটিক বৈশিষ্ট্য থাকে যেটার কারণে আমরা বুঝতে পারি যে এটা শুধু আমার শরীরের অংশ। আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে কার্যক্ষম রাখার জন্য এর বৈশিষ্ট্য বলে শেষ করার মতো না। শুধু একবার ভাবুন কি হতো যদি একটা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া মলিকিউলকে যদি নিজের বন্ধু বলে আমরা শরীরের ভিতর ইমব্রেইস করে নিতাম। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের শরীরে ডেইলি ওয়ার্ল্ড ওয়ার এক থেকে শুরু করে দশ পর্যন্ত সব চলতে থাকে যা আমরা টের পাইনা। এই ইনভলন্টারী যুদ্ধে আমরা নিহত করি কোটি কোটি শত্রূ। যারা কোনো মতে আমাদের শরীরে বংশবৃদ্ধি করতে পারলে ক্যান্সার থেকে শুরু করে ভয়াবহ যে কোনো রোগ আমাদের খুব সহজেই এটাক করতে পারে। যাই হোক আসল কথা হলো এই যে আমাদের পুরো একটা ন্যাচরাল এবং ভয়ংকর এফিশিয়েন্ট একটা ইমিউন সিস্টেম সেই সিস্টেমে MHC প্রোটিণ হলো একটা হটডগ বান। যেটা নিজের মধ্যে টার্কি, হ্যম, চিকেন সসেজ রেখে বাকিদের প্রদর্শন করে "লুক হোয়াট আই ফাউন্ড"। এর মধ্যে ফরেন কাউকে প্রদর্শন করলেই হইছে আমাদের ইমিউন সিস্টেম সাথে সাথে একটিভেট হয়ে যায় এবং তার কাজ শুরু করে।
এই MHC প্রোটিণের ঘোরাফেরা আমাদের সেবাশিয়াস গ্ল্যন্ড বা ঘর্মগ্রন্থিতেও। সুতরাং, কারও ঘামের গন্ধের মাধ্যমে বা শরীরের গন্ধের মাধ্যমে আমরা অনেকটাই তার আইডেনিটি আন্দাজ করতে পারি। জেনেটিক্যলী, আমাদের টেন্ডেন্সি হলো ডিফরেন্ট MHC প্রোটিণ বাহী লোকদের প্রতি আকর্ষণ প্রদর্শন করা। এজন্য আমরা আমাদের টাইপ MHC প্রোটিণ বাহীদের সাথে এক ধরণের সম্পর্ক মেইনটেইন করি এবং ডিফরেন্ট MHC প্রোটিণ বাহীদের সাথে আরেক ধরণের। ইউজুয়ালী আমাদের ফ্যমিলি বন্ড বা ফ্যমিলি রিলেটেড যাদের কাছে আমরা সিকিউর ফিল করি যে কোনো সিচুয়েশনে এর অন্যতম কারণ এই প্রোটিণ।
একইভাবে আমাদের ভালোবাসার কেমিস্ট্রিতেও আমরা পছন্দ করি ডিফরেন্ট MHC প্রোটিণ বাহীদের এটা হলো ভিন্ন ধরণের এট্রাকশন
এজন্য কারো সাথে দেখা হলে আমাদের মনে হয় কি যেন পরিচিত ঠেকছে এই মেয়েটার ব্যাপারে (ছেলে পার্সপেক্টিভে বলছি)। এবং এভাবেই আস্তে আস্তে আমাদের ট্রাস্ট গড়ে উঠে একটা ফিলিংসের মাধ্যমে এবং কেমিস্ট্রি আরো দৃঢ় হয়। রিসার্চে পাওয়া গেছে যে এরেনজ ম্যরেজে সফলতার root আছে এর অবদান...যত diverse দুইজনের MHC তত স্ট্রং তাদের বন্ড। আরেক রিসার্চে ছেলেদের ঘামের গন্ধ শুকে এক দল মেয়েকে তাদের চ্যুজ করতে বলা হয়
সেখানেও অনেকটা প্রমাণিত হয় এর বিশেষত্ব। এমনকি স্ট্রিপ ক্লাবেও ছেলেরা বেছে বেছে lap-dance নেয় এবং যার থেকে নেয় ঘুরে ফিরে তার থেকেই বার বার নেবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় যদিও তার সাথে আরো অনেক অপশনস একই সময়ে বিদ্যমান থাকে 