নিঃসন্দেহে একটা চিন্তাশীল লেখা। যেকোন সু অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই শুরু করানো উচিত।
বাংলাদেশের পার্সপেকটিভে লেখাটা আরও বেশি সময়োপযোগী। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর মিসিং।
এখানে যে উদাহরনগুলো দেওয়া হয়েছে, তা মূলত সৌন্দর্য বা ডিসেন্সির পর্যায়ে নেই। ব্যাপারটা বরং এক্সপোজিং এর সাথে তুলনা চলে। মেয়েরা ইদানিং নিজেদের এক্সপোজ করার জন্য যথেষ্ট উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
এ ফোরামে হাতে গোনা দু একজন মেয়ে আছে এবং তারা সবাই শালীন। কিন্তু প্রচুর ছেলে আছে, এবং তারা হয়ত ভালো বলতে পারবে, ছেলেরা কি আসলেই নিজেদের সৌন্দর্য বা ফিগার বা মূলত নিজেদেরকে প্রকাশ করার জন্য খুব একটা চিন্তিত? কিন্তু প্রচুর সংখ্যক মেয়ে সেটা করছে। কিন্তু কেন? বাংলাদেশের মেয়েরা অন্য সংস্কৃতি থেকে তাদের সংস্কৃতি বা কৃষ্টি বা মেধা-মনন কিংবা অন্যজিনিসগুলো গ্রহন করার বদলে এমন কিছু জিনিস গ্রহন করছে যাতে আরও বেশি এক্সপোজড হওয়া যায়। আর এখন এটা ছোটবেলা থেকেই হচ্ছে।
যাহোক, এই লেখাটা যিনি লিখেছেন তার লেখার পিছনে একটাই মূলনীতি ছিল আমি মনে করি। তা হল তিনি একজন মুসলমান। তিনি এই বিষয়টাকে আল্লাহর হুকুম হিসেবে জানছেন এবং মানছেন। কিন্তু তার এই লেখায় এটা পুরোপুরি অনুপস্থিত থাকায় অন্ততপক্ষে আমার, এই লেখাটাকে খুব বেশি মুভিং মনে হয় নি।
একজন মুসলমান শিশুকে রুলিংস শিক্ষা দেওয়ার আগে শিক্ষা দেওয়া উচিত আল্লাহ সম্পর্কে। যেন সে আত্নসমর্পন করতে পারে এইভাবে যে, "শুনলাম এবং মানলাম"। তারপর আল্লাহই প্রকৃত বিচারক। আমি জন্মগতভাবে ফ্ললেস হয়ে জন্মাই নি। সালাত, সাওম, পর্দা - এসব আমি ছোটবেলা থেকেই করেছি কিন্তু তারপরেও আমার মাঝে অহং বোধ ছিল যে আমি খুব ভালো (যা প্রমান করে যে আমি কতটা খারাপ)। যতক্ষণ না আমি আল্লাহকে অন্তর থেকে জেনেছি এবং আত্নসমর্পণ করেছি। এখনও আমি ফ্ললেস নই। কিন্তু আমি এখন সেটা মেনে নিচ্ছি এবং তাওবাহ করছি, প্রতি নিয়ত।
এখানে অন্তত ১ ডজন বা হাজার হাজার মানুষ থাকতে পারে যারা রীতিমতো সেইন্ট। তারপরেও এটা সম্পূর্ণ মানবিক বৈশিষ্ট্য যে অনেকের কাছেই এক্সপোজিং পোষাক অস্বস্তিকর লাগতে পারে এমনকি উত্তেজকও লাগতে পারে। মানুষের অনেক বৈশিষ্ট্য থাকে আর এটা সম্পূর্ণ নেচারাল।
সব মানুষই কোন না কোন বাউন্ডারী ঠিকই মেনে চলে। সেটা কারও কাছে সততা, কারও জন্য আরও অনেক কিছু। একজন মুসলমান শুধু আল্লাহ প্রদত্ত বাউন্ডারী মেনে চলে। এর কারন অন্তত আমার জন্য শুধু এটা নয় যে আমি আল্লাহকে সবচে' বেশি ভয় করি। অবশ্যই আমি আল্লাহকে সবচে' বেশি ভয় করি। কিন্তু তারচেয়েও বেশি ভালোবাসি। আমি আল্লাহকে সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার নিজের জীবনের চেয়েও বেশি। আমার সন্তানের চেয়েও বেশি। নতুবা হয়ত মানার চেষ্টা করতাম না।
আর এ কারনেই আমার কষ্টও লাগে, যখন আমার ভালোবাসার স্থানে খামোকাই আঘাত করা হয়।
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা য়াফু্ঊন - (হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল)
তুহীব্বুল য়াফওয়া - (আপনি মাফ করতে ভালবাসেন)
ফা' ফু আন্নী - (আমাকে মাফ করে দিন।)