রণ_এথিক্যাল হ্যাকার লিখেছেন:রিং লিখেছেন:গাধা কে গাধা, চোর কে চোর আর বাঁদরকে বাঁদর বলাটা নিশ্চয়ই অন্যায়/অপরাধ/হিংসা-বিদ্বেষ নয়?
না নয় কিন্তু এগুলা বলতে যেয়ে অনেক বক্তাকেই ওগুলা বনে যেতে দেখেছি। 
সেক্ষেত্রে ত্রুটি বক্তার ব্যক্তিত্বের, বক্তব্যের নয়।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:রিং লিখেছেন:গাধা কে গাধা, চোর কে চোর আর বাঁদরকে বাঁদর বলাটা নিশ্চয়ই অন্যায়/অপরাধ/হিংসা-বিদ্বেষ নয়?
রিং ভাই আপনার সাথে কথা বললেই কেন জানি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়
পূর্বেও অনেকবার হয়েছিলো। তাই এবার যুদ্ধ নয়- নিজের মতামত দেই- আমার মতে মানুষকে গাধা, চোর, বাদর বলাই উচিত নয়। সে যদি সেটা হয়েও থাকে।
তাহলে কি বলা উচিত? চোরকে সাধু, বাদর কে ভদ্র/নম্র কিংবা গাধা কে বুদ্ধিমান???
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:একটা চোরকে আপনি সাধু বানাতে পারবেন না কখনো চোর উপাধিতে ভূষিত করে। মনে করেন- আপনার পকেট থেকে একজন টাকা চুরি করলো। তাকে ধরে কঠিন মাইর, মাথা কামানো, চুনকালি প্লাস জোতার মালা পড়িয়ে পুরো পৃথিবী ঘুরিয়ে আনলেন চোর উপাধি দিয়ে। এতে করে কি আপনি মনে করেন চোরটি ভালো হয়ে যাবে।
আমার তো মনে হয় সে ভালো না হয়ে উল্টো আরো ডাকাতে রূপান্তর হবে এমন কি খুনিও হয়ে যেতে পারে। দেখা যাবে একদিন আপনি লুঙ্গি পড়ে উড়া উড়া মন নিয়ে ফুরফুর বাতাসে ঘুরতে বেরিয়েছেন, হঠ্যাৎ সে চোর একটা নেলকাটারের চাকু নিয়ে আপনার সামনে হাজির হয়ে বাংলা ছবির হিরোর মতো চিৎকার ছাড়লো- "আইজা তোর একদিন তো আমার একদিন, মাত্র ১০ টাকার জন্য মানিজ্জত নিয়ে টান দিয়েছিস, আজ দশ লক্ষ বার নেলকাটারের চাকু দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তোকে মারবো"। বলেই বিকট শব্দে হো হো করে হেসে উঠলো। আর আপনি জান বাচানোর জন্য পড়ি কি মরি স্টাইলে লুঙ্গি টুঙ্গি রেখেই দৌড়াতে শুরু করলেন
। বলেন এমন ঘটনা ঘটলে কি আপনার ভালো লাগবে, নাকি এমন ভাবে চোর বলে মানুষকে আপনি ভালো করতে পারবেন।
আর অপরাধীকে "অপরাধী" যে শুধু আমিই বলছি এমনটা নয়, সারা বিশ্বই বলছে। অবশ্য সারা বিশ্বে আপনার মতো মহামানবের অভাব যেদিন কমবে সেইদিন থেকেই এই যুক্তি দেয়াও কমবে। নিজের অপরাধকে যায়েজ করে নিতে আরো কতো যে হাতুড়ি মার্কা যুক্তি দাঁড় করাবেন আপনারা তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আবারো একটা উদাহার দেই- হাতেম তাই একবার চোর ধরেছিলেন, আবার তাকে ছেড়েও দিয়েছিলেন সেই ইতিহাস তো মনে হয় সবারই জানা। এখন আপনি বলেন তো- ঐ চোর কি আর কখনো তার বাসায় চুরি করবে?
আমার উত্তর হচ্ছে - না, বরং আরো পাহারা দিবে বিনে পয়সায় 
খামোখাই বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা গ্রাম পুলিশ/আনসার বাহিনী গড়া হয়েছে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যে। এককাজ করেন এই বিষয়ে একটা থিসিস করে নিয়ে সোজা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দৌড় দেন। সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে এত সহজ সমাধান আপনার মগজে রয়েছে আর দেশ সেটা ব্যবহার করছে না। সে তো বডই অন্যায়।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আর এই বিনে পয়সায় মানুষকে কিনে নেবার মন মানষিকতা সব মানুষের নেই। তাই আমার মতে চোরকে চোর না বলে ভালো ভাবে বুঝানো দরকার, গাধাকে গাধা না বলে গাধামিটা ধরিয়ে দেওয়া দরকার আর বাদরকে বাদর না বলে আইনস্টাইলের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার এবং বলা দরকার - "মানুষ যে বাদর থেকে এসেছে তার উপযুক্ত প্রমান হচ্ছে এটা"।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে মানুষ সৃষ্টি জগতের সেরা সৃষ্টি এবং তা একটি ভিন্ন জাতি। কোন অন্যপ্রানীর রূপান্তরিত/অপভ্রংশ নয়। আগ্রহ থাকলে এই বিষয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান গ্রন্থের অনুবাদ থেকে জেনে নিতে পারেন।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আমার বাবা বলতেন- মানসম্মান নাকি অর্জন করতে পুরো জীবনটাই কেটে যায় কিন্তু সেই মান সম্মান হারানোর জন্য কোন সময়ই লাগে না।
আপনার বাবা নিশ্চয়ই এখানে বুঝিয়েছেন কর্মফল কে। সুকর্ম সম্মান অর্জনে এগিয়ে নেয় আর কুকর্মে জোটে অপমান আর লাঞ্চনা। আপনি সুকর্ম করা বাদ দিয়ে নানান যুক্তিতে কুকর্মের অপবাদটুকু এড়িয়ে যাবেন এটা নিশ্চয়ই শেখান নাই আপনার পিতা। আর যদি সেটাই হয়ে থাকে তো আগামীতে আমার কথাগুলোর মর্ম বুঝে তারপর যুক্তি দিতে আসবেন।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আজ কয়েকজন লিনাক্স উগ্র কথাবার্থা প্রিয় লোকজনদের জন্য আমি লিনাক্স নিয়ে মাতামাতি করি না, লিনাক্স থেকে কয়েকশত হাত দূর দিয়ে হাটি। ভয়ে থাকতে হয়- না জানি কখন লোকসামনে সরাসরি চোর বলে ফেলে। এই যে লিনাক্স ভীতি আমার সৃস্টি হয়েছে সরি লিনাক্স ভীতি নয় লিনাক্স মানুষদের প্রতি ভীতি তা কিন্তু আপনারাই সৃস্টি করছেন। আপনাদের এমন কথাবার্তা সৃস্টি করছে।
লজ্জা বা ভয়টা আমাদের কারনে নয়, সম্পূর্নই নিজ কর্ম/কর্মলব্ধ "বিশাল সম্মান ভান্ডার"টির কারনেই। সাধারন পাবলিক তো ভয় পাচ্ছে না কিংবা যাঁরা আলোকিত বা আলো খুঁজছে তাঁরা আলো দেখে ভয় পায় না। এগিয়ে যায়। যদিও বা চোখে সয়ে নিতে সময় লাগে তবুও আলোর পানেই ধায়। পিছিয়ে যাঁয় তারাই যাঁদের কর্মকান্ড অন্ধকারেই সীমাবদ্ধ। আলোতে যে তাঁদের স্বরূপ উন্মোচিত হবে, সেই ভয়েই তাঁরা আলোর বিরুদ্ধে/আলোক বর্তিকা ধারকদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা বলেই বেড়াবে।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি আপনারা মনে করেন আমরা নরদমার কীট। আপনাকে আমি আগেও বলেছি এখনো বলি- পারলে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করেন।
ভুল বললেন। সমাধান কেউ কারোরটা করে দেবে না, করে নিতে হবে। আপনি একই অবস্থানে থেকে দুই রকমের কথা বলছেন। সারাদিন অনলাইনে ঘেঁটে একটা টরেন্ট/ক্র্যাক/পাস কি/আনলকার জোগাড়ে ক্লান্ত হতে আপত্তি নাই কিন্তু যদি ওই শ্রমব্যয়েই মুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারের সমস্যার সমাধান করতে সেই একই মানুষ বিরক্তি দেখাবে অবলীলায়।
আপনার বক্তব্যে পরিস্থিতিটা এমন যে -- পুলিশ চোরকে ধরবে কেন? আদালত চোরের সাজার বিধান করবে কেন? ওঁরা চোরকে এনে সরাসরি চুরি করাটাই জায়েজ করে দিক অথবা উচ্চ আয়ের ব্যবস্থা করুক।
পলাশ মাহমুদ ভাই আপনি ভুলে যাচ্ছেন যে চুরি শুধু মাত্র ছিঁচকে চুরিতেই নয় বরংচ পুকুর চুরি পর্যায়ের একটা শিল্প। আপনার মতো হিসাব করলে দেশে দূর্নীতি দমন বা আইন শৃংখলা বাহিনীর কোনই প্রয়োজনীয়তা নাই। আবার আন্তর্জাতিকভাবে যে নীতিমালা বা রীতি রেওয়াজ আছে সেগুলোও মানা যাবে না।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:আপনাকে বলতে হবে না লিনাক্স ব্যবহার করবার জন্য। আমরা নিজেরাই চলে আসবো। আমাদের তো সকল সমস্যা সমাধান করছেনই না।উল্টো বলছেন আমরা চোর, আমরা গাধা, আমরা বাদর।
আপনার অফিস পর্যন্ত নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে গিয়ে সমাধান করে দিয়ে এসেছি এই আমি, রিং। শুধু আপনাকে না এরকম বহু স্থানেই আমি ছুটে যাবার সামর্থ্য থাকলেই ছুটতে থাকি আর বিনামূল্যে/নিখরচায় মুক্তপ্রযুক্তির ব্যবহারিক সহায়তা দিই। আর আজকে এসেছেন আমাকে জ্ঞান দিতে যে আপনাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না!!!
আমার ব্যক্তিগত শ্রমের বিষয়ে আলোচনা বাদ দিই। এই বাংলাদেশে প্রায় শ'খানেক স্বেচ্ছাসেবী ফোরামিক/প্রযুক্তিবিদ আছেন যাঁরা বিভিন্ন ফোরামে বিভিন্ন সময়ে সাধারন ব্যবহারকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, ব্যবহারে সহযোগীতা/সহায়তা দিচ্ছেন। আপনি নিজে যে ফোরামটা চালান সেইটার সিএমএসটাও আমাদের মতো রামছাগলরাই আপনাকে নিখরচায় তৈরি করে ব্যবহার করতে দিচ্ছে। দুম করেই কোন মন্তব্য করবার আগে একটু বুঝে বলুন। পাছে নিজেকেই না "অকৃতজ্ঞ" ভূষিত করে ফেলেন। অবলা গাধা, বানর নিম্নশ্রেনীর প্রাণী কিন্তু সাধারনত অকৃতজ্ঞ হয় না। আর চোরের কৃতজ্ঞতা তো আপনার এই পোষ্টেই বার কয়েক উল্লেখ করেছেন।
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন:মানুষকে সম্মান করতে শিখুন। মানুষ কখনো গাধা, বাদর, চোর হয়ে জন্মগ্রহন করে না, পরিস্থিতিতে পরে তাকে গাধা, বাদর, চোর হতে বাধ্য করে।
ঠিক তাই। আর আমি কখনো মানুষকে গাধা/বাঁদর বলে কোনখানেই উল্লেখ করিনি। আমি বলেছিলাম গাধা কে গাধা বলতে, বাঁদরকে বাঁদর বলতে। আপনি এই রকম মহাজ্ঞানী মার্কা বুঝদার ফোরামিক আছেন জানা থাকলে হয়তোবা উক্তিটা লিখতাম -- গাধা(চতুষ্পদী) কে গাধা বলুন, বাঁদর(শাখামৃগ)কে বাঁদর বলুন।
আর পলাশ ভাই মানুষ যখন প্রথমবার/ছোট কোন অপরাধ করে তখনই এইরূপ খেতাব পায় না। প্রথমবারের ছোট অপরাধকে অপরাধ মনে না করে যখন সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে আর অপরাধ করতেই থাকে তখনই আইনের সাজা তাঁর জন্য কঠোর হয়, সমাজের চোখে অপরাধীর খেতাব পায়। চোর যদি সংশোধিত না হয়ে কিংবা সামান্য আয়ে সন্তুষ্ট না থেকে অতি আয়ের লোভে পড়ে তখন সে হয় পথের ফকির হয় অথবা চৌদ্দশিকের বাতাসে গা-জুড়ায়। দুটো থেকে বাঁচবার রাস্তা একটাই -- অপরাধ করা ছেড়ে দিয়ে সৎভাবে জীবনযাপন করা।