Re: একদা গেমার ছিলাম............
আপনার এই লেখার শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম গেম সম্পর্কিত কোন রিভিউ । কিন্তু ঢুকে দেখি বিশাল কঠ্যিন অবস্থা ......
কেন জানি না- সাইন্স ফিকশন, কম্পু গেম আমাকে কোন কালেই টানে নাই, আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে ঐ যন্ত্রটা ছিল না বলেই হয়তো টানে নাই। আজ যখন এই যন্ত্রটা কাছের হয়েছে তখন সময় কিংবা ধৈর্য্য নাই। তবে হ্যাঁ আমার পুত্র রাফিন এ ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস । কম্পু বা ল্যাপিতে গেম খেলতে বসলে সে আশেপাশের সবকিছু ভুলে যায়, এমনকি নিজের ক্ষুধাও।যেমন বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে তার মা একটু রেষ্টে আছে কী-না উকি দিয়েই বসে যায়। ইদানিং সে অনলাইনে গেম খেলে । তার কাজিনের স্কোর টপকে "ইয়েস" বলে চিৎকার করে উঠে।
অফিস্যাল কাজ ছাড়া ফোরামিং/চ্যাটিং এবং পুত্রের গেমিং এ দেখলে হেড কোয়ার্টার থেকে বিস্তর সাঊন্ডে *রেডিও পিকিং শুনতে হয় ।
(* রেডিও পিকিং একটা সময়ে প্রচুর রেডিও শুনতাম, প্রতিদিন রাতে খুব সম্ভবতঃ ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চীন থেকে বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো রেডিও পিকিং । চীনাদের কন্ঠে ভাঙ্গা বাংলায় "এ অনুষ্টান আপনারা শুনতে পারছেন রেডিও পিকিং থেকে......" শুনতে বেশ লাগতো, এমনকি বাংলা দেশাত্ববোধক, রবীন্দ্র সংগীতও নিজেরা গাইতো। তো বর্তমান সময়ে গিন্নী যখন আমি এবং আমার পুত্র কন্যার উপর **অগ্নি দৃষ্টি বর্ষনের পূর্বক চিৎকার চেচামেচি শুরু হয় তখন আমরা নিজেদের মধ্যে কখপোকথন শুরু করিঃ ঐ যে রেডিও পিকিং শুরু হইসে......কিংবা বাবা রেডিও পিকিং শুরু হবে না তো !
**অগ্নিদৃষ্টিঃ আমার মা এবং আমার গিন্নীর চক্ষু যুগল মাশাল্লা প্রমান সাইজের, মানে গরুর চোউখ আর কি !
ছোট বেলায় কারণে অকারণে মায়ের সেই চোখে চোখ রাঙ্গানি খেতাম, আর এখন বড় বেলায় খাই বউয়ের !!
এবং সাথে আমার পুত্র কন্যারাও ...... )
- তোদের আক্কেল নাই? সারাদিন সারারাত খালি “বলবীর” “বলবীর” খেলিস।
- বলবীর না আম্মা। আমার সোলজাররা “ফলো মি” “ফলো মি” বলে।আমি যদি আবার কম্পিউটারে “বলবীর” “বলবীর” শুনি তাহলে তোদের তিনজনেরই ফুড সাপ্লাই বন্ধ করে দিবো।
ভাগ্যিস দেরিতে হলেও ঢুকে বরাবরের মত আপনার এই অসাধারণ সুখপাঠ্য লেখাটা এক টানে পড়ে ফেললাম, নইলে বলবীর বলবীর কি মিসটাই না কর্তাম
এসো দেই জমিয়ে আড্ডা মিলি প্রাণের টানে !
স্বেচ্ছাসেবকঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।