Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
সাইফুল_বিডি লিখেছেন:অফ টপিকঃ মহাকাশ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই , কিন্তু চাদে মানুষ গেছে এটা নিয়ে আমার অনেক সন্দেহ । আমার একটা প্রশ্ন হল মানুষ চাঁদে গেছে এই কথা শুনেছি , কিন্তু মাত্র একবার ই শুনেছি , অই একবারের পরে কি কেউ চাঁদে যায় নাই ?
গেছে তো। ১২-১৩ জনের মত লোক চাঁদে গেছে।
এ্যাপোলো ১১-এর পরেও অন্তত: ৫/৬টা মানুষের মুন ল্যান্ডিং মিশন হয়েছে। রাশিয়া থেকে একটা কুকুরকেও পাঠানো হয়েছিলো।
এ্যাপোলো ১১-এর গুজবটা কন্সপিরেসী থিওরী ছাড়া আর কিছু না। ঐ কোল্ড ওয়ারের সময় রাশানরাও স্পেসে ম্যানড মিশন পাঠানোর প্রায় ফাইনাল স্টেজে চলে গেছিলো। তাই অনেকে বলে আমেরিকা নাকি নেভাডা ডেজার্টে একটা ফেইক রিহার্সাল করে মূন ল্যান্ডিং নামে চালিয়ে দেয়। ঠিক বিশ্বাস হয় না। এতবড় চাপাবাজি কেউ করতে পারে কি? আর করলেও ৬০ বছর ধরে উন্মোচিত হলো না কেন?
কিন্তু ব্রাশু ভাইয়া, যুক্তি গুলো কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল।
আমি তো যুক্তি গুলি নিখুত মনে হয়েছে।
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
৪৩ ২৯-০৭-২০১২ ০৩:২৭ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন শিপলু (২৯-০৭-২০১২ ০৩:৩০)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
ভাইয়া এই থিওরী কিন্তু সব যায়গায় খাটে না। দেখেন হাদীসে বলে তৃষিত কুকুর কে পানি পান করানর জন্য এক পতিতা বেহেশ্ত পায়। পতিতা তা যে কোন ধর্মের ছিল........
দেখা যাচ্ছে সব ধর্মই খুব হিংসুক না। অবশ্য আমরা যারা ধর্ম মানি বলে দাবি করি। তাদের বেশি ভাগই খুব হিংসুক
আপনি যখন এই ঘটনার কথা বলছেন তখন কনটেক্সটা চলে যাচ্ছে ইসলাম ধর্মে। অন্য কোন ধর্ম থাকছে না। থাকলেও অন্য কোন গড থাকছে না। কারণ আপনি ইসলাম ধর্ম, বেহেশ্ত ইত্যাদিকে বেজ ধরে ফেলছেন। সেক্ষেত্রে ইনভারব্রাস ভাইয়ের প্রাথমিক রেড পিল ব্লুপিলের যুক্তি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। এব সেই অনুষারে আপনার ধর্ম পালন করা বুদ্ধিমানের কাজ।
থিউরি যে সবযায়গায় খাটেনা তার একটি যুক্তিযুক্ত উদাহরণ দিলে বাকিদের বুঝতে সুবিধে হবে।
বাই দ্য ওয়ে, চন্দ্রাভিযানের কন্সপিরেসি নিয়ে আলাদা টপিক করলে ভাল হয়। নয়ত ঈশ্বর, ধর্মের সাথে আমেরিকা, রাশিয়ার পলিটিক্স চলে আসবে যা কিনা একটুও খাপ খায় না।
ব্লগ: shiplu.mokadd.im
মুখে তুলে কেউ খাইয়ে দেবে না। নিজের হাতেই সেটা করতে হবে।
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
আরণ্যক লিখেছেন:ভাইয়া এই থিওরী কিন্তু সব যায়গায় খাটে না। দেখেন হাদীসে বলে তৃষিত কুকুর কে পানি পান করানর জন্য এক পতিতা বেহেশ্ত পায়। পতিতা তা যে কোন ধর্মের ছিল........
দেখা যাচ্ছে সব ধর্মই খুব হিংসুক না। অবশ্য আমরা যারা ধর্ম মানি বলে দাবি করি। তাদের বেশি ভাগই খুব হিংসুকআপনি যখন এই ঘটনার কথা বলছেন তখন কনটেক্সটা চলে যাচ্ছে ইসলাম ধর্মে। অন্য কোন ধর্ম থাকছে না। থাকলেও অন্য কোন গড থাকছে না। কারণ আপনি ইসলাম ধর্ম, বেহেশ্ত ইত্যাদিকে বেজ ধরে ফেলছেন। সেক্ষেত্রে ইনভারব্রাস ভাইয়ের প্রাথমিক রেড পিল ব্লুপিলের যুক্তি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। এব সেই অনুষারে আপনার ধর্ম পালন করা বুদ্ধিমানের কাজ।
থিউরি যে সবযায়গায় খাটেনা তার একটি যুক্তিযুক্ত উদাহরণ দিলে বাকিদের বুঝতে সুবিধে হবে।
সব জায়গায় খাটতে হলে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই হাইপোথিসিস সত্য হতে হবে। এখানে অন্ত একটা উধারণ দেয়া হয়েছে যেখানে হাইপোথিসিসটা বাতিল করা যেতে পারে। তারমানেই এটা সব জায়গায় (প্রতিটি ক্ষেত্রে) খাটে না।
আর বেহেশ্তের বেজ কিন্তু ব্রাশু ভাই ধরেছেন আগে।
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
যাদের হাতে স্যাটেলাইট, মিডিয়া তারা বিশাল কোনো ডজ দিলেও ধরা আসলেও মুশকিল। তবে যাই হোক ব্যাপারটা গর্ব করার মতই
এতটাই কি সহজ? সে সময়কার স্পেস রেসে রাশিয়াই ছিল আমেরিকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সে সময়কার আমেরিকার প্রধান শত্রুও। যদি ঘটনাটা সাজানো হত রাশিয়া নিশ্চয়ই এত সহজে এই ঘটনাটা মেনে নিত না।
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
এতকিছু বুঝিনা । আল্লাহ আছেন এর বড় প্রমাণ হল কোন কিছুই আপনা আপনি সৃষ্টি হতে পারেনা , সবই তাঁর (আল্লাহর) সৃষ্টি । যদি কারো মনে হয় পারে তাহলে প্রমাণ করুন ।
সামাজিক দায়িত্বে অংশ নিতে যোগ দিন এখানে https://m.facebook.com/groups/493231574037172
৪৭ ২৯-০৭-২০১২ ১৪:৪৯ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন invarbrass (২৯-০৭-২০১২ ১৫:০৪)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
সব জায়গায় খাটতে হলে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই হাইপোথিসিস সত্য হতে হবে। এখানে অন্ত একটা উধারণ দেয়া হয়েছে যেখানে হাইপোথিসিসটা বাতিল করা যেতে পারে। তারমানেই এটা সব জায়গায় (প্রতিটি ক্ষেত্রে) খাটে না।
আর বেহেশ্তের বেজ কিন্তু ব্রাশু ভাই ধরেছেন আগে।
আসলে, পাস্কালের বেট অনেক দিক দিয়েই ত্রুটিপূর্ণ। ওগুলো আলোচনা করতে গেলে বিরাট টপিক লাগবে। যেমন, পাস্কাল শুরুতেই পস্চুলেট করে নিচ্ছেন মহাবিশ্ব একসময় শেষ হবে - এটা কি সঠিক ধারণা? what if there is no end?
big-bang => big-crunch অথবা big-rip যাই বলুন, পুরো প্রসেসটা যদি goes on over and over again তাহলে?
একদিক দিয়ে চিন্তা করলে আপনার যুক্তি মোটামুটি ঠিক। ধরে নিলাম, কাহিনীটি নিছক রূপক গল্প না এবং পতিতাটি কোনো না কোনো বেহেশতে যাচ্ছেই। কিন্তু আপনি ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে কি বলতে পারবেন সে স্পেসিফিকালী ইসলামীক জান্নাতেই যাচ্ছে, সেন্টপিটার্সকে পার হয়ে খৃস্টান হেভেন বা মিড্রাশিক জুডাইজমের শামায়িম (স্বর্গ)-এ যাচ্ছে না? (অন্য ধর্মগুলোকে হিসাবেই আনলাম না) যদি না পারেন, তা হলে তো দেখা যাচ্ছে কোনো স্পেসিফিক ধর্মাবলম্বী হয়েও আপনি নাস্তিকদের তুলনায় খুব একটা এ্যাডভান্টেজে থাকছেন না - ব্যাক টু স্কয়্যার ওয়ান। প্যাস্কালের ফর্মূলা খন্ডন করার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ওটাই। (আরো অনেকভাবে ফর্মূলাটাকে বাতিল করা যায়)
বেহেশত/দোযখের রেফারেন্স আমিই দিয়েছিলাম, তবে নিউট্রালী: এটা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। আবার থাকলে ক, খ, গ... এরকম প্রায় ৬ হাজার ভ্যারাইটীর থাকতে পারে, (আবার এই ৬ হাজারের মধ্যেও কমন নাও পড়তে পারে!)। কোনো স্পেসিফিক ধর্মের স্পেসিফিক বেহেশত মীন করা হয় নি।
ডক্টৃন অব হেভেন এ্যান্ড হেল - আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং টপিক। এটা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা আছে।
৪৯ ২৯-০৭-২০১২ ১৫:১২ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন invarbrass (২৯-০৭-২০১২ ১৫:১৪)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
ইনভার ভাই কোরআন দাবী করে এটাই শেষ ধর্মগ্রন্থ। এর মাঝে কোনো ভুল নেই সুতরাং এটাতে যে বেহেশত আছে সেখানেই সবাই যাবে
আব্রাহামিক সব ধর্মই এমন মিউচুয়ালী এক্সক্লুসিভ - প্রতিটিই দাবী করে আমি ফুল এ্যান্ড ফাইনাল, আমি ছাড়া বাকী সব ভুল এবং শুধু আমার লোকই আমার বেহেশতে যাবে এবং বাকী সবাই আমার দোযখে যাবে। আরণ্যক যে কাহিনী উল্লেখ করলেন তা রেয়ার এক্সাম্পল।
নন-আব্রাহামিক অন্যান্য মনোথিইস্টিক ধর্মগুলোও বেশিরভাগই এমন। সে তুলনায় পলিথিইস্টিক ধর্মগুলো আমার কাছে ফ্লেক্সিবল মনে হয়েছে। পলিথীইস্টিক আরণ্যকের ধর্ম সরাসরি না মানলেও তাঁর "বেহেশত'-জাতীয় স্থানগুলোতে আপনার ঠাঁই হতেও পারে, শুধু দুনিয়ায় প্রেসকৃপশন মেনে কিছু স্পেসিফিক আকাম-কুকাম না করলেই আপনি ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। (@আরণ্যক - রূপক অর্থে, লীটারেলী নেবেন না )
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
@আরণ্যক - রূপক অর্থে, লীটারেলী নেবেন না।
আজ্ঞে রুপক অর্থ কি একটু বুঝিয়ে দিয়েন। না আমার জন্য না। আর একজন আবার রুপক অর্থ বুঝেন না।
ইনভার ভাই কোরআন দাবী করে এটাই শেষ ধর্মগ্রন্থ। এর মাঝে কোনো ভুল নেই সুতরাং এটাতে যে বেহেশত আছে সেখানেই সবাই যাবে
যাক নতুন ব্যাখ্যা শুনার সুযোগ হলো।
একটা বিষয় এখানে আসছে যদি আপনি কুয়ার ব্যাঙ না হন, বুদ্ধিমান এবং যথেষ্ট পড়ালেখা করেন। তাহলে ১০০% প্রমান না দিতে পারার পরও আপনি আমাদের মত মেনে নিবেন ঈশ্বর নেই। এখন যদি সব কিছু দেখার পরও আপনি আমাদের মত না মানেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার বুদ্ধি কম বা আপনি কুয়ার ব্যাঙ।
আমি তো জানতাম এরকম দাবি এক প্রকারের লোকরাই করতেন, যারা বলেন হেদায়েত নাই তাই আপনি মহিমা বুঝতে পারছেন না। এখন দেখি সবার সুরই এক।
বোকা এবং কুয়ার ব্যাঙ থাকার পরও কেউ যদি হুমায়ূন বা রবীন্দ্রনাথ বা স্টিভ জব (Zen Buddhism (previously Lutherian)) বা ইবনে সিনার মত ব্যাক্তিত্ব হতে পারে তাহলে থাক না কিছু লোক বোকাই থাক। তাদের বুদ্ধিমান বানানর এত চেষ্টা করে লাভ কি?
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
ইনভার ভাই কোরআন দাবী করে এটাই শেষ ধর্মগ্রন্থ। এর মাঝে কোনো ভুল নেই সুতরাং এটাতে যে বেহেশত আছে সেখানেই সবাই যাবে
আপনি ঠিক কি মিন করেছেন তা বুজলাম না । "কোরআন দাবী করে এটা শেষ ধর্ম গ্রন্থ" এটা কোন ধর্মের ? নিশ্চয়ই ইসলামের । এবার আসুন হিন্দু ধর্মে এখানে বলা হচ্ছে গৌতম বুদ্ধ তাদের ৯ বম আবতার এবং এর পরে তাদের আরেকজন অবতার আসবে । যেহেতু ৯বম অবতার একটা ধর্মের প্রচলন করেছেন সেহেতু ১০ অবতার কিছু একটা তো করবেন । তাহলে ৯বম + ১০ অবতারের প্রচলিত ধর্মের অনুসারীরা কার স্বর্গে যাবে ?
আবার দেখুন যীশুকৃষ্টের অনুসারিরা কার স্বর্গে যাবে , তাদের ধর্মে তো আর নতুন কারো আসার কথা নাই ? তবে তো তাদের ধর্ম বিশ্বাস করতে হবে , কিন্তু তারা নাকি তাদের ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তন করেছে.....
এখন যেহেতু সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সরাসরি বলেন নি যে এই ধর্মটা ঠিক সেহেতু আপনি কিভাবে বুজবেন যে কোনটি সঠিক আর আপনাকে কোনটি অনুসরন করতে হবে । তবে যদি আপনি সৃষ্টিকর্তা লেই বিশ্বাস করেন তাহলে তো আর কথাই নাই ।
আরো কিছু বলার ছিল কিন্তু জ্ঞান স্বল্পতা ও লেখার গতির কারনে লিখতে পারছি না।
৫২ ২৯-০৭-২০১২ ২১:৪০ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন invarbrass (২৯-০৭-২০১২ ২২:২৩)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
বোকা এবং কুয়ার ব্যাঙ থাকার পরও কেউ যদি হুমায়ূন বা রবীন্দ্রনাথ বা স্টিভ জব (Zen Buddhism (previously Lutherian)) বা ইবনে সিনার মত ব্যাক্তিত্ব হতে পারে তাহলে থাক না কিছু লোক বোকাই থাক। তাদের বুদ্ধিমান বানানর এত চেষ্টা করে লাভ কি?
এহেম, এ বিষয়ে আপনার আরেকটু পড়াশোনা করার দরকার আছে যে। যাদের নাম দিলেন তাদের ৭৫%-ই নাস্তিকতার অভিযোগে অভিযুক্ত।
হুমায়ুন আহমেদের ব্যাপারে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
স্টীভ জবস ব্যক্তিগত জীবনে যেন বুদ্ধিজমের কিছু নিয়ম ফলো করতেন (তিনি বিয়েও করেছিলেন একজন যেন মংকের আশীর্বাদে) - তবে তিনি এ্যাথিইস্ট ছিলেন। তাঁর জীবনিমূলক বইটা থেকে একটা কাটিং পেলাম নেটে:
এ্যাপল পর্যায় বাদ দিলে স্টীভ জবসের জীবন একটা ট্রেইন-রেক। এলএসডি এ্যাডিক্ট ছিলেন, হিপ্পি হিসাবে ভারতে গিয়ে বুদ্ধিজমে প্রভাবিত হোন, এক পর্যায়ে ভেজিটেরিয়ান লাইফস্টাইল গ্রহণ করেন আবার ছেড়েও দেন, আবার ধরেন। প্যানকৃয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর সরাসরি সার্জারীতে না গিয়ে কিছু পাগলামী করেন - নিজে ভেজিটেরিয়ান ডায়েট টৃটমেন্ট ডিজাইন করেন, হোমিওপ্যাথী ট্রাই করেন - কোনো কিছুতেই কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওটি টেবলে। সম্ভবত: এই বোকামীর ব্যাপারে তাঁর বায়োগ্রাফীতে ক্ষেদও আছে। জবস বিংশ শতাব্দীর সবচাইতে প্রভাবশালী লোক হতে পারেন, কিন্তু তিনি ভালো রোল মডেল একটুও নন।
ইবন সিনা ওরফে আভিসেনা ইসলামের স্বর্ণযুগের শ্রেষ্ঠতম একজন পলিম্যাথ জিনিয়াস স্কলার। বিশেষ করে তাঁর মেডিসিন-সম্পর্কিত কাজগুলো প্রবাদপ্রতিম - সে যুগে অন্তত: ৬/৭ শতক ধরে ইউরোপের মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর টেক্সটবুকগুলো পড়ানো হতো। ফ্লিকরে একটা ফটোতে দেখেছিলাম প্যারিসের সবচাইতে বড়, ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালটিও তাঁর নামে। মেডিসিন ছাড়াও তিনি ম্যাথস, ফিলোসফী, যুওলজী, বোটানী, আইন ইত্যাদি বিষয়েও প্রচুর অসাধারণ প্রতিভার নিদর্শন রেখে গিয়েছেন। ইবন সিনা মূলত: এ্যারিস্টটল ঘরাণার দার্শনিক ছিলেন (তাঁর এ্যারিস্টটল অব দ্যা ঈস্ট নামে সুখ্যাতি ছিলো)
বাট!... ইবন সিনার অতি-প্রশংসা করতে গিয়ে (সুন্নী) মুসলিমরা যা চেপে যায়:
* আভিসীনা ছিলেন ইসমাইলীয়া - আগা খানীদের মুসলমান গণ্য করতেই অনেকে কুন্ঠা বোধ করেন
* তিনি ওয়াইন & সেক্সের বেশ হার্ডকোর ভক্ত ছিলেন
* আভিসীনা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন - কিন্তু সেই আল্লাহ অনেকটা ডিইস্টিক ঈশ্বরের মত - ডগমাটিক ইসলামের সাথে এর বেশ পার্থক্য আছে। ইসলামের অনেক কিছুই তিনি সরাসরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। মহানবীর বিভিন্ন মিরাকল তিনি রূপকথা বলে নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি জান্নাত/দোযখ অর্থাৎ পুরো আখেরাত ব্যাপারটিই ফ্যান্টাসী হিসাবে বাতিল করে দেন ইত্যাদি
ঈমাম আল-রাজী এবং আল-ঘাজ্জালী তাঁকে কাফির হিসাবে ফতোয়া দেন। এঁরা ছাড়াও আরো কিছু প্রভাবশালী ইমাম আল-হুয়ায়নি, ইবন-তায়মিয়া, ইবন-আল-কাঈম, আল-যাহাবী প্রমুখ মুসলিম স্কলাররাও ইবন-সিনাকে কাফির, ধর্মদ্রোহ (blasphemy & apostacy)-র দায়ে দন্ডিত করেন। অন্যদের ব্যাপারে জানি না, তবে আল-ঘাজ্জালী এবং আল-রাজী দু'জনেই ইসলামে বিরাট প্রভাবশালী ইমাম ছিলেন - এদেঁর মত বড় মাপের স্কলার যখন ইবনসিনার মত রকস্টার দার্শনিক, সাইন্টিস্টকে কাফির বলেন, তখন ডাল মে সাচমুচ কুছ কালা থা।
বিস্তারিত জানতে চাইলে এইখানে ইবন সিনার উপর বাংলায় চমৎকার একটি পোস্ট পড়তে পারেন। সম্ভবত: হোরাস নামে একজন ব্লগার বিভিন্ন "নাস্তিক ইসলামী" মণীষীদের নিয়ে একটা সিরিজ লিখেছিলেন সচলে (@থান্ডারবার্ড ভাই লিংগুলো খুঁজে দিন) এগুলো পড়লে মনে হয় অনেকেই শকড হবেন।
বুঝতেই পারছেন, অল্পস্বল্প জানলে দুনিয়াটা গোলাপময়, সৌরভময় মনে হয়। কিন্তু একটু গভীরে ঢুকতে গেলেই দেখা যায় ব্যাপারস্যাপার অত সহজসরল না... বাস্তবের কাছে জিলীপির প্যাঁচও মার খেয়ে যায়... take off those rose-tinted glasses, brother, reality is far more exciting!
৫৩ ২৯-০৭-২০১২ ২২:০৭ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন আরণ্যক (২৯-০৭-২০১২ ২২:০৮)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
ইবনে সিনা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ। কিন্তু সেখানে পড়ে যা বুঝলাম তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তার মতবাদের সাথে অনেকের মত পার্থক্য আছে। কেউ কেউ তাকে কাফের বলেছেন।
কাফের ফতোয়াকে অস্বীকার করে ইবনে সিনার কবিতাটা তুলে দিলাম:
"আমার মত কাউকে ব্লাসফেমীর দায়ে অভিযুক্ত করা সহজ কিংবা সহজলভ্য নয়
আমার চেয়ে দৃঢ় বিশ্বাস আর নেই
আমার মত কেউ যদি অধার্মিক হয়ে থাকে
তবে পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম নেই
তিনি ওয়াইন & সেক্সের বেশ হার্ডকোর ভক্ত ছিলেন
এটা কোথায় পেলেন? আমি অবশ্য লিংক গুলি এখনও পড়িনি। সময় নিয়ে পড়তে হবে।
আর জবসের ধর্ম উইকি থেকে নেয়া। ওখানে এটাই লেখা আছে। আর প্রথম আলোতে যে ফিচার পড়েছিলাম তাতেও একই কথা ছিল।
বেশি জানলেই কেউ নাস্তিক হয়ে যাবে এরকম কথার কোন যুক্তি আছে কি? আস্তিকরা সবাই কি খুব কম জানেন? কিছু মনে করবেন না আমার এক বন্ধু আছেন, সে কোন বিষয়ে যুক্তি দিতে হলে বলে তুমি কোরআন পড় তাহলে দেখবে আমার কথাই ঠিক। আমি যদি ৫০% (২/৪) ভুল উদাহরণ দিয়েই থাকি তাহলেই তো জোড় দিয়ে বলার তো কিছু নেই বেশি জানলেই অন্য রকম ভাবতে বাধ্য হব। আমার ভুলের জন্য বা কম জানার জন্য তো আর সত্য বদল হতে পারে না।
আর আমার কাছে কোনটা সত্য তা কেউ চাপিয়ে দিতে পারে না। বুঝে শুনে আমি নিজে তা ঠিক করব। তবে আমার ঠিক করা ভুলও হতে পারে। তেমনি অন্যের টাও ভুল হতে পারে। দৃষ্টিঙ্গির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেক ব্যাখ্যাও নির্ভর করে।
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
বেশি জানলেই কেউ নাস্তিক হয়ে যাবে এরকম কথার কোন যুক্তি আছে কি?
জ্ঞানীদের আলোচনায় বাধা দেওয়ার জন্য দুঃখিত, তবে অল্প জ্ঞান নিয়েও একটা কথা বলতেছি, ছোট থাকতে আমি literally বিশ্বাস করতাম যে দাড়িয়ে থেকে পানি খেলে সেটা আমার পেটে না গিয়ে শয়তানের পেটে যাবে, বাট পরে মানবদেহ নিয়ে জানার পর এখন জানি এটা পুরাই ফেইরি টেল। ব্যাপারটা এরকমই। ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থের দাবি হচ্ছে ইটস ১০০% রাইট, একমাত্র এই পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান অনুসরন করলেই মুক্তি। কিন্তু ধর্মের বিভিন্ন দাবি নুন্যতম কমন সেন্স থাকলেই দেখা যায় হাস্যকর ফেইরি টেল ছাড়া কিছুই না। সো ধর্মের সব কথা ১০০% রাইট এটা কিন্তু এমনিতেই মিথ্যা প্রমানীত হয়ে যাচ্ছে, ভিত্তিটাই ভেংগে যাচ্ছে না তাহলে ?
হ্যা এটা বলা যাবে যে এগুলো রুপক অর্থে, কিন্তু ব্যাপারটা এমন, যতদিন প্রমানিত হচ্ছে না Rule X যুক্তিহীন ততদিন এটা literally right, বাট যখন প্রমানিত হচ্ছে এটা যুক্তিহীন তখনই মুড চেন্জ করে সেটাকে রুপক বানিয়ে দেওয়া হয়। আপনাকে কোট করলাম দেখে আপনাকে উদ্দেশ্য করে বললাম ভাববেন না, আসলে আশাপাশে কিন্তু এরকমই দেখে আসছি।
বিশ্বাস জিনিসটা বড়ই বিচিত্র। কোন ট্রিগার্ড ইভেন্ট (ব্রাশু ভাইয়ের ক্ষেত্রে হয়ত সেটা ছিল নিষ্পাপ শিশুটির মৃত্যু) না ঘটার আগ পর্যন্ত, যতই বুঝুন, যতই জানুন, ইউ ক্যান্ট জাম্প আউট অব দ্যা কুয়া।
৫৬ ২৯-০৭-২০১২ ২২:২৭ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন arnob216 (২৯-০৭-২০১২ ২২:৩০)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
কিছুদুর পড়ে আমার ব্রেইন ক্র্যশ করেছে।
তবুও বড়দের মাঝে কিছু নরমাল প্রশ্ন করি।
১) কোরআন নিয়ে ননইসমালিক মানুষরা কি মনে করেন? এটা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে? একা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এতো জটীল একটা জিনিষ লিখেছেন? যদি একজন এর পক্ষে এটা অসম্ভব ধরি তাহলে এটা আসলে কোথা থেকে তৈরি?
২) মেজর ২ ধর্ম ক্রিশ্চিয়ানিটি আর ইসলাম অনেকটাই এক। ইসলাম কে ক্রিশ্চিয়ানিটির আপগ্রেডেড ভার্শন মনে হয়। তাহলে ধর্ম হিসেবে এই ২ এর একই কি সেরা নয়? (আরেকটু ডিটেইলস এ গেলে ইসলাম আগায় যাবে)।
৩) আরেকটি জিনিষ জানতে চাই। ২০০০ বছরের ইতিহাস নিশ্চয়ই এতো বিকৃতি হয় নি। আমার প্রশ্ন হলো নবী আর রাসুলরা তাহলে সত্যিই পৃথিবীতে ছিলো এবং তারা তাদের আগের নবীদের অস্বীকার করেছেন কি? না করলে ধর্মে বিশ্বাসটা একটু জোরদার হয়।
4) আর এন্ড রেজাল্ট যাই হোক, ধার্মিক জীবন তো আমার কাছে বেটার লাগে (সেটা যে ধর্মই হোক)। আল্লাহ বা দেবতা যাকেই কেউ একটুও ভয় পাবে সে কি কম আকাম করবে না?
5) @সারিম:
আবার দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব আমাদের ধর্মে বাধা। একজন আমাকে বললো এতে নাকি ক্যলসিয়াম বের হয়ে যায় শরীর থেকে, এটা কি সত্যি?
৫৭ ২৯-০৭-২০১২ ২২:৩৮ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন বর্ষণ (২৯-০৭-২০১২ ২২:৩৯)
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
ট্রিগার্ড ইভেন্ট (ব্রাশু ভাইয়ের ক্ষেত্রে হয়ত সেটা ছিল নিষ্পাপ শিশুটির মৃত্যু)
অথবা মোমেন্ট অফ এনলাইটমেন্ট
@ব্রাশু ভাই
ইবনে সিনা'র বিষয়ে যেটা বললেন সেরকমই একটা ইনফো পড়েছিলাম(সম্ভবত উইকিতে)।পাশ্চাত্য দর্শন বলতে যে জিনিসটা বোঝায় তার ভিত তৈরি করে দিয়েছিল মূলত মুতাযিলা মতবাদের অনুসারীরা।ইসমাইলিয়রাই কি মুতাযিলা মতবাদের অনুসারী ছিল?
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
অর্ণব ভাইয়া টপিকের অলিখিত রুলজ মনে হচ্ছে ধর্মের মধ্যে সাইড-বাই-সাইড কম্প্যরিসন না করা। ধার্মিক জীবন বেটার কারণ মানুষের ব্রেইণ স্ট্রাকচারটা ঐভাবে গঠিত যে সবকিছুতেই আমাদের লেফট সাইড (ব্রেইনের) সেন্স মেইক করতে চায়। এবং ধর্ম হচ্ছে তার সবচেয়ে সহজ উপায়। কেন? ঈশ্বর বলেছেন তাই করতে হবে। কি হলো? ঈশ্বর শাস্তি দিয়েছেন এটা উনার পরীক্ষা
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
কিছুদুর পড়ে আমার ব্রেইন ক্র্যশ করেছে।
তবুও বড়দের মাঝে কিছু নরমাল প্রশ্ন করি।
১) কোরআন নিয়ে ননইসমালিক মানুষরা কি মনে করেন? এটা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে? একা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এতো জটীল একটা জিনিষ লিখেছেন? যদি একজন এর পক্ষে এটা অসম্ভব ধরি তাহলে এটা আসলে কোথা থেকে তৈরি?
২) মেজর ২ ধর্ম ক্রিশ্চিয়ানিটি আর ইসলাম অনেকটাই এক। ইসলাম কে ক্রিশ্চিয়ানিটির আপগ্রেডেড ভার্শন মনে হয়। তাহলে ধর্ম হিসেবে এই ২ এর একই কি সেরা নয়? (আরেকটু ডিটেইলস এ গেলে ইসলাম আগায় যাবে)।4) আর এন্ড রেজাল্ট যাই হোক, ধার্মিক জীবন তো আমার কাছে বেটার লাগে (সেটা যে ধর্মই হোক)। আল্লাহ বা দেবতা যাকেই কেউ একটুও ভয় পাবে সে কি কম আকাম করবে না?
১।http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=499
২।ইসলাম খ্রিস্টিনিয়াটির আপগ্রেডেড ভার্সন নয় বরং জরথুস্ত্রবাদের কাট-কপি-পেস্ট।
৪।আপনার তাই মনে হয়।
‘কোন ব্যক্তি যদি একজন ক্ষুধার্তকে অন্নদান ও একজন পথিকের মাল লুণ্ঠণ করে, একজন জলমগ্নকে উদ্ধার করে ও অন্য কাউকে হত্যা করে অথবা একজন গৃহহীনকে গৃহদান করে এবং অপরের গৃহ করে অগ্নিদাহ, তবে তাহাকে ‘দয়াময়’ বলা যায় কি? হয়ত তাহার উত্তর হইবে – ‘না’। কিন্তু উপরোক্ত কার্যকলাপ সত্ত্বেও ঈশ্বর আখ্যায়িত আছেন ‘দয়াময়’ নামে। … জীব জগতে খাদ্য-খাদক সম্পর্ক বিদ্যমান। যখন কোন সবল প্রাণী দুর্বল প্রাণীকে ধরিয়া ভক্ষণ করে, তখন ঈশ্বর খাদকের কাছে দয়াময় বটে, কিন্তু তখন কি তিনি খাদ্য-প্রাণীটির কাছেও দয়াময়? যখন একটি স্বর্প একটি ব্যাঙকে ধরিয়া আস্তে আস্তে গিলিতে থাকে, তখন তিনি স্বর্পটির কাছে দয়াময় বটে। কিন্তু ব্যাঙটির কাছে তিনি নির্দয় নহেন কি? পক্ষান্তরে তিনি যদি ব্যাঙটির প্রতি সদয় হন, তবে সর্পটি অনাহারে মারা যায় না কি? … কাহারো জীবন রক্ষা করা যদি দয়ার কাজ হয় এবং হত্যা করা হয় নির্দয়তার কাজ, তাহা হইলে খাদ্য-খাদকের ব্যাপারে ঈশ্বর সদয়ের চেয়ে নির্দয়ই বেশী। তবে কতগুন বেশী তাহা তিনি ভিন্ন অন্য কেউ জানে না, কেননা তিনি এক একটি জীবের জীবন রক্ষা করার উদ্দেশে অসংখ্য জীবকে হত্যা করিয়া থাকেন। কে জানে একটি মানুষের জীবন রক্ষর জন তিন কয়টি মাছ, মোরগ, ছাগল ইত্যাদি হত্যা করেন?… কেহ কেহ মনে করেন ঈশ্বর সদয়ও নহেন এবং নির্দয়ও নহেন। তিনি নিরাকার নির্বিকার ও অনির্বচনীয় এক সত্তা। যদি তাহা নাই হয়, তবে পৃথিবীতে শিশুমৃত্যু, অপমৃত্যু, এবং ঝড়, বন্যা, মহামারী, ভুমিকম্প ইত্যাদি প্রাণহানিকর ঘটনাগুলির জন্য তিনিই কি দায়ী নহেন?’
কিংবা
ঈশ্বর কি অন্যায়-অবিচার-অরাজগতা নিরোধে ইচ্ছুক, কিন্তু অক্ষম?
তাহলে তিনি সর্বশক্তিমান নন।
তিনি কি সক্ষম, কিন্তু অনিচ্ছুক?
তাহলে তিনি পরম দয়াময় নন, বরং অপকারী সত্ত্বা।
তিনি কি সক্ষম এবং ইচ্ছুক -দুটোই?
তাহলে অন্যায়-অবিচার-অরাজগতা পৃথিবীতে বিরাজ করে কিভাবে?
তিনি কি সক্ষমও নন, ইচ্ছুকও নন?
তাহলে কেন তাঁকে অযথা ‘ঈশ্বর’ নামে ডাকা?
Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
যখন একটি স্বর্প একটি ব্যাঙকে ধরিয়া আস্তে আস্তে গিলিতে থাকে, তখন তিনি স্বর্পটির কাছে দয়াময় বটে। কিন্তু ব্যাঙটির কাছে তিনি নির্দয় নহেন কি? পক্ষান্তরে তিনি যদি ব্যাঙটির প্রতি সদয় হন, তবে সর্পটি অনাহারে মারা যায় না কি?
এর থেকেই বোঝা যায় বিশ্বের আপাত-শৃঙ্খলার পিছনে কতখানি Chaos, বিশৃঙ্খলা লুকিয়ে আছে। ইন্টেলিজেন্ট ঈশ্বরের ডিজাইনে এতোটা বিশৃঙ্খলা থাকা সম্ভব নয়।