টপিকঃ উমরা করলাম।
আসসালামু ওয়ালাইকুম,
আপনারা সবাই নিশ্চই অবগত আছে, আমি কোথায় আছি।
হ্যাঁ, আপনাদের দোয়ায় ভাগ্যক্রমে আমি মক্কাতেই আছি গত প্রায় ৯ বছর। (আলহামদুলিল্লাহ)
তো, আমার বাসা থেকে পবিত্র কাবা শরীফ ২ রিয়ালের ভাড়া। বিভিন্ন কাজে মাঝে মাঝেই যাওয়া লাগে পবিত্র এ ঘরটির আশেপাশে। বিশেষ করে যখন দেশে টাকা পাঠানো লাগে এবং যখন দুরের কোন শহর থেকে কোন ফ্রেন্ড আসে মক্কাতে।
যাইহোক, কাজের ঝামেলার কারনে খুব বেশি উমরা করা হয় না। তবে প্রতি মাসে অন্তত একটা করে উমরা করার চেষ্টা করি।
তো কয়েকদিন আগে গেয়েছিলাম উমরা করতে । সাথে আমার কোং আরো দুজন।
নাইট শিফট অফিস থাকাই ইশার নামাজের সময় সিদ্ধান্ত নিলাম উমরা করতে যাবার। মানে রাত দুটোই অফিস শেষ করে তারপর যাবো উমরা করতে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিলাম। এবং ডিউটি শেষে এক ফ্রেন্ডের গাড়িতে করে চলে গেলাম উমরা মসজিদ (মসজিদে আয়শা)।
আপাতত মসজিদে আয়শার ছবি শেয়ার করতে পারছিনা। আগামিতে করবো ইনশাল্লাহ।
সেখানে দু রাকাত নামাজ পড়ে আবার রওনা দিলাম কাবা শরিফের উদ্দেশ্যে।
যখন বাইতুল্লাহ পৌছালাম তখন রাতের বাজে আনুমানিক ২.৩০ মিনিট। দেখলাম অন্য সময়ের তুলনায় বেশ ফাকা ফাকা। (হইতো মাঝ রাত হবার কারনে)
কাবা শরীফ ৭ বার প্রদিক্ষীন করা খুব তাড়াতাড়িই হয়ে গেল। তারপর দু-রাকাত নামাজ আদায় করলাম। ঘড়ির দিকে খেলায় করিনি। কিছুক্ষনের ভিতরেই শুনতে পেলাম তাহাজ্জত নামাজের আজান। আমরা তখন সাফা-মারওয়া দৌড়াচ্ছি। সাফা-মারওয়ার নিচে ভিড় হবার কারনে চলে গেলাম দোতলায়। সেখানে একদমি ফাঁকা। ৪ বার দৌড়ানোর পরে কাবার দিকে চেয়ে দেখি প্রচুর জ্যাম।
যখন উমরা শেষ হল ভাবলাম বাসায় যেয়ে ফজর আদায় করবো। কিন্তু ততক্ষনে ফজরের আযান দিয়ে দিল। তাই এক রাকাতে ১ লক্ষ্য রাকাতের সোয়াব আর মিচ করলাম না। কাবা ঘরেই ফজরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরে এলাম।
হাল্কা একটা গোসল দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এবার ছবি দেখেন আর তার নিচে দুটো বাড়তি ঘটনা বলবো। (বেশ মজার)
১.
২.
৩.
১. ভিডিও
(প্রথম ঘটনা) ওমরা শেষ করে আসলাম যেখানে জুতা রেখেছিলাম সেখানে । জুতার বক্স নাম্বার ৪০৩।
৪০৩ নাম্বার বক্সের উপর দেখলাম একটা পাসপোর্ট পাকিস্তানি ভিতরে দেখলাম কিছু রিয়াল ( ১১০+) এবং কিছু পাকিস্থানি রুপি (জানিনা কত) । হয়তো কারো কাছ থেকে পড়ে গেছে এবং সেটি কেউ পেয়ে সেভাবেই রেখে গেছে। ভেবেছিলাম অফিসে জমা দিয়ে আসি। পরে ভাবলাম অল্প কিছু টাকা ও পাসপোর্ট , এটা কেউ নিবে না। একটু পরেই যার জিনিস সে এসে নিয়ে গেল ।
(দ্বীতিয় ঘটনা) বাসা থেকে বেরোবার সময় পায়ের দিকে খেয়াল না করেই চলে গেছিলাম। গাড়িতে উঠে দেখি স্যান্ডেল দু-পায়ের দুখান। ভাবলাম ভালই হল, এরকম দেখলে হয়তো কেউ নেবে না। বাট ঘটনা ঘটলো তার উলটো। মানে জারা ক্লিনার তারা দুপায়ের দুখান দেখে ঝাড়ু দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো।
যার কারনে আমার দুজোড়া স্যান্ডেল অকেজো হয়ে গেলো। এখন বাসার দু-পায়ের দুখান দিয়ে অজু ও গোসলে ইউজ করি।