স্বপ্নিল, তোমার লেখা দিনকে দিন প্রাঞ্জল হচ্ছে...। গল্পটা সম্পর্কে খুব অদ্ভুত একটা ফিলিংস হল, শুনে হাসলে কিন্তু পুরো বাঁশ ঝাড় নিয়ে হাজির হবো তোমাকে দেওয়ার জন্য...। বুইঝো কিন্তু। 
"মরেই যদি যাই, ত এতোদিনে যার কাছে কিছু চাই নি, চেয়েও পাই নি, তাকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি? ভালবাসার একটা অনন্য রূপ হলো নিজে জ্বলে যাওয়া, তবু তার কাছে আঁচ না পৌছানো। এই ত গল্পের শেষ। কেন বিদায় ঘন্টায় তাকে ডেকে চির কান্নায় ডুবিয়ে যাওয়া। " 
তারমানে এই নয় যে তোমার গল্পটার মতো ফিনিশিং হতে পারবে না। খুব পারবে। তবে প্রথম দিকটা পড়ে মনে হল তোমার মধ্যে অন্য ধাঁচের কিছু গল্প প্রভাব বিস্তার করেছে মনে হয়। তাই কিছুটা কি যেন বলে অতিপ্রাকৃতিক ভাব আনার ক্ষীণ প্রয়াস...। 
এই কমেন্টটা করা হয়ে গেল রিং ভাইয়ের লেখার কারনে। এতো রূঢ় বাস্তবতার গল্প এতো চমৎকার করে বলে গেছেন যে কেমন বোকা বোকা, হতভম্ব মতো লাগছে নিজেকে। হঠাৎ হঠাৎ কিছু এরকম হৃদয়পর্শী গল্প, জং ধরা মগজে এক অতি সূ্ক্ষ আশ্চর্য এক চেতনা, চিন্তা জাগায়। কই যে আছি আমি এখনও। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত।
আমার কাছে সেই মানুষগুলো অবাক করা, যারা অনেক কষ্ট নিয়ে অল্পতেই খুশি হয়ে যায়। এই ইব্রাহীমটাও। শরীর খারাপের চূড়ান্ত অবস্থার মাঝেও একটু খানি দুধ পেলে এই চিলতে হাসি দিয়ে দেয়...। আর আমার চোখে পানি চলে আসে। আমি কত অল্পতেই নালিশ করি, আর অন্যরা কত কষ্ট চেপেও হাসি মুখে আমার মন ভালো করে দিতে বসে যায়। তখন মনে হয় "আমি ঠিক জানি না আমি এমন কেন? কিংবা তোমরা এমন কেন?"।
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা য়াফু্ঊন - (হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল)
তুহীব্বুল য়াফওয়া - (আপনি মাফ করতে ভালবাসেন)
ফা' ফু আন্নী - (আমাকে মাফ করে দিন।)